সংক্ষিপ্ত

২০১৬ সালে হায়দরাবাদের CSIR সেন্টার ফর সেলুলার অ্যান্ড মলিকুলার বায়োলজি, কেরল বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারিজ অ্যান্ড ওশান স্টাডিজ, লন্ডন ও জার্মানি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষক যমজ সন্তানের কারণ জানতে কোডিনহি গ্রাম পরিদর্শন করেন। 

ভগবানের আপন দেশে চলে ভগবানের মর্জি। তাই হয়তো এখনও পর্যন্ত কোন বিজ্ঞান বা বিশেষজ্ঞ এই রহস্যের সমাধান করতে পারেননি। কিসের কথা বলছি? চলুন আপনাদের নিয়ে যাই ভগবানের আপন দেশ হিসেবে পরিচিত কেরলে। সেখানে কোডিনহি নামের একটি জায়গা রয়েছে। এই এলাকায় প্রবেশে করা আগেই একটি সাইনবোর্ডে লেখা রয়েছে, 'ভগবানের নিজের যমজ দেশে আপনাকে স্বাগত'। রাজধানী কোচি ছেকে ১৫০ কিলোমিটার দূরে এই গ্রাম। মাত্র ২ হাজার পরিবারের বাস। কিন্তু এই গ্রামের বিশেষত্ব হল এই যে গ্রামের অধিকাংশ মা-ই যমজ সন্তান প্রসব করেন। 

এই দেশে প্রতি ১ হাজার জনের মধ্যে ৯ জন যমজ সন্তান। কিন্তু কোডিনহি একটি ব্যতিক্রমী নাম। এখানে এক হাজার জনের মধ্যে ৪৫১ জনই যমজ। যা বিশ্বেও নজিরবিহীন। 

কেই এই ঘটনা, তার কী কোনও বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা রয়েছে? 
২০১৬ সালে হায়দরাবাদের CSIR সেন্টার ফর সেলুলার অ্যান্ড মলিকুলার বায়োলজি, কেরল বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারিজ অ্যান্ড ওশান স্টাডিজ, লন্ডন ও জার্মানি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষক যমজ সন্তানের কারণ জানতে কোডিনহি গ্রাম পরিদর্শন করেন। তথ্য সংগ্রহ করেন। বিশেষত স্থানীয় বাসিন্দাদের চুল আর লালর নমুনা সংগ্রহ করেছিলেন তারা। কিন্তু এখনও পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে কোনও গবেষণা রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়নি।

অনেকেই মনে করেন, জিনগত কারণে এই ঘটনা ঘটে। অনেকের মতে গ্রামের আবহাওয়া, জল আর বাসাতের কারণেই যমজ সন্তানের জন্ম হয়। অনেক বিশেষজ্ঞের মত খাদ্যাভ্যাসের কারণে এই গ্রামে যমজ সন্তানের জন্ম হয়। তবে কোনও কিছুই প্রমাণিত হয়নি। যদিও কোডিনহি বিশ্বের একমাত্র গ্রাম নয় যেখানে যমজ সন্তানের সংখ্যা বেশি। ভিয়েতনাম, ব্রাজিলেও এই জাতীয় গ্রাম রয়েছে। ইগবো ওরার কিছু পরিবার রয়েছে যেখানে তিন বা ততোধিন যমজ সন্তান রয়েছে একটি পরিবারে। এই গ্রামটিকে বিশ্বের টুইন ক্যাপিটাল অফ দ্যা ওয়ার্ল্ড বলা হয়। 

তবে এই গ্রামে যমজ সন্তানের রহস্য উদঘাটনও অনেকটা রহস্যে মোড়া। প্রথম দিকে কেই বিষয়টি তেমন গুরুত্ব দেয়নি। একটি স্কুলে দুই যমজ বোন ছিল। তারাই প্রথম বুঝতে পারে তাদের ক্লাসে ৮ জোড়া যমজ রয়েছে। পরে তারাই খুঁজে বার করে স্কুলে ২৪ জোড়া যমজ সন্তান রয়েছে। এই খবর ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই খবরের শিরোনামে চলে আসে কোডিনহি। দেখা যায় ২৮০ জোড়া যমজ রয়েছে একটি পাড়ায়। তারপর বিশেষ উদ্যোগে গ্রামের পরিবারগুলি যমজ বিষয়ে যাবতীয় তথ্য প্রদান করে।