ডজনখানেক সামরিক কুকুরকে কাবুলে ফেলে আসার অভিযোগ উঠল মার্কিন সেনার বিরুদ্ধে। ভাইরাল হওয়া ছবিটি কি সত্যি, কী জানালো পেন্টাগন।
মঙ্গলবার, ৩১ আগস্ট মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তানে তাদের ২০ বছরের দীর্ঘ যুদ্ধের অবসান ঘটায়েছে। তবে বেশ কিছু মার্কিন নাগরিক এবং তাদের আফগান মিত্র এখনও আফগানিস্তানে রয়ে গিয়েছে। তবে মার্কিন সেনাবাহিনিরও সকলকে কি সরিয়ে নিয়ে গিয়েছে আমেরিকা? প্রশ্ন উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া একটি ছবি থেকে। দাবি করা হচ্ছে, মার্কিন সেনা সকলল মানুষ সদস্যদের আফগানিস্তান থেকে সরিয়ে আনলেও, সামরিক বাহিনীর কুকুরদের খাঁচা বন্দি করে কাবুলে ফেলে রেখে এসেছে মার্কিন সেনা।
৩১ অগাস্ট এএসবি নিউজের পক্ষ থেকে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম টুইটারে দুটি ছবি পোস্ট করা হয়। যে ছবিদুটিতে ডজন খানেক খাঁচাবন্দি কুকুরকে দেখা যাচ্ছে। একটি ছবিতে কুকুরদের খাঁচার পিছনে একটি ভাঙা মার্কিন সামরিক কপ্টারও দেখা গিয়েছে। সঙ্গের ক্যাপশনে এএসবি নিউজ জানিয়েছিল, 'মার্কিন সামরিক বাহিনী আফগানিস্তানে কয়েক ডজন সার্ভিস কুকুর রেখে গিয়েছে। অলাভজনক সংস্থা 'ভেটেরান শেপডগস অব আমেরিকা' এই প্রাণীদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ করছে।
মঙ্গলবার, এই ছবি ভাইরাল হতেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে শোরগোল তৈরি হয়। এমনিতেই তাড়াহুড়ো করে সেনা প্রত্যাহার নিয়ে এই মুহূর্তে কোনঠাসা জো বাইডেন প্রশাসন। তার উপর এই সামরিক পরিষেবা দেওয়া কুকুরদের ফেলে আসার ছবি তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে।
পরে অবশ্য বাইডেন প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই খবরটি ভুয়ো বলে দাবি করা হয়। মার্কিন সামরিক সদর দফতর পেন্টাগনের প্রেস সেক্রেটারি জন কিরবি টুইট করে জানান 'ভুল প্রতিবেদন সংশোধন করার জন্য (বলছি), মার্কিন সামরিক বাহিনী হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে খাঁচায় (বন্দি) সামরিক বাহিনীর কুকুর-সহ কোনও কুকুরকে ফেলে আসেনি। অনলাইনে প্রচারিত ছবিগুলো কাবুলের একটি ছোট পশু উদ্ধারকেন্দ্রের তত্ত্বাবধানে থাকা প্রাণীদের (ছবি), আমাদের তত্ত্বাবধানে থাকা কুকুরদের নয়।'
আরও পড়ুন - ইন্টারনেট ছাড়াই কাটাতে হতে পারে বেশ কয়েকটা দিন, আসছে তীব্র সৌরঝড় - সতর্ক করলেন গবেষকরা
আরও পড়ুন - মহিলা হয়ে তালিবানের সাক্ষাতকার, গড়েছিলেন নজির - সেই সাংবাদিকেও পালাতে হল, দেখুন
প্রসঙ্গত, অগাস্ট মাসের শুরুর দিকে, কাবুলের ভারতীয় দূতাবাসে নিপাপত্তার দায়িত্বে থাকা, মায়া, রুবি এবং ববি নামে ভারতীয় সামরিক বাহিনীর তিনটি কুকুরকে ইন্দো-তিব্বত বর্ডার পুলিশ বা আইটিবিপি-র সদস্যদের সঙ্গেই কাবুল থেকে সরিয়ে এনেছিল ভারতীয় বায়ুসেনা।