সেনা প্রত্যাহারের পাশাপাশি সোমবার কাবুলে মার্কিন কূটনৈতিক উপস্থিতিও স্থগিত করা হল। আফগানিস্তান নিয়ে এরপর আমেরিকার ভাবনা কী?
শুধু আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার সম্পূর্ণ করা নয়, সোমবার ৩০ অগাস্ট থেকে আফগানিস্তানে মার্কিন কূটনৈতিক উপস্থিতিও আপাতত স্থগিত করা হল। কাবুলের মার্কিন দূতাবাসে আর একজনও কর্মী অবশিষ্ট নেই। মার্কিন বিদেশ সচিব অন্টনি ব্লিঙ্কেন জানিয়েছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাদের কূটনীতিক কার্যক্রম কাতারের রাজধানী দোহায় সরিয়ে নিয়েছে। আপাতত সেখান থেকেই আফগানিস্তানের সঙ্গে কূটনৈতিক যোগাযোগ রাখবে আমেরিকা।
তবে, এখনও অল্প সংখ্যক মার্কিন নাগরিক আফগানিস্তানে রয়ে গিয়েছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন বিদেশ সচিব। সংখ্যাটা ২০০-র কম, সম্ভবত ১০০-র কাছাকাছি বলে দাবি করেছেন তিনি। তবে, যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ ত্যাগ করতে ইচ্ছুক প্রত্যেক আমেরিকানকে সাহায্য করবে বাইডেন প্রশাসন বলে, আশ্বস্তও করেছেন ব্লিঙ্কেন। সেইসঙ্গে শীর্ষ মার্কিন কূটনীতিক আরও বলেছেন, আপগান সরকারের মাধ্যমে নয়, রাষ্ট্রসংঘের বিভিন্ন সংস্থা এবং এনজিওগুলির মতো স্বাধীন সংস্থাদের মাধ্যমে আফগান জনগণকে এরপরেও মানবিক সহায়তা প্রদান করে যাবে আমেরিকা। তালিবান বা অন্য কেউ এই সেই প্রচেষ্টায় বাধা দেবে না বলেই আশা প্রকাশ করেছেন মার্কিন স্টেট সেক্রেটারি। তিনি আরও বলেছেন, আফগানিস্তানে নিরবচ্ছিন্নভাবে শান্তি বজায় রাখার জন্য আমেরিকার নির্দিষ্ট পরিকল্পনা আছে।
এর াগে মার্কিন জেনারেল কেনেথ এফ ম্যাকেনজি আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার এবং মার্কিন নাগরিক ও আফগানদের মিত্র সরিয়ে নেওয়ার সামরিক অভিযানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন। তিনি জানান, মার্কিন সময় অনুয়ায়ী সোমবার বিকাল সাড়ে তিনটেয় শে, মার্কিন কার্গো সি-১৭ বিমানটি হামিদ কারজাই বিমানবন্দর ছেড়ে রওনা দেয়। ওই সর্বশেষ মার্কিন ইভাকুয়েশন ফ্লাইটে করেই আফগান মাটি ছাড়েন মার্কিন কমান্ডার, এবং মার্কিন রাষ্ট্রদূত।
আরও পড়ুন - মহিলা হয়ে তালিবানের সাক্ষাতকার, গড়েছিলেন নজির - সেই সাংবাদিকেও পালাতে হল, দেখুন
আরও পড়ুন - Viral Video - নায়কের মর্যাদায় আফগানিস্তানে ফিরল বিন-লাদেনের ডানহাত, দেখুন
অন্যদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, গত ১৭ দিনে মার্কিন ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ইভাকুয়েশন অভিযান পরিচালনা করেছে মার্কিন সেনা। মার্কিন নাগরিক, মিত্রদেশগুলির নাগরিক এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আফগান মিত্ররা সহ মোট ১,২০,০০০-এরও বেশি মানুষকে আফগান মাটি থেকে সরিয়ে এনেছে আমেরিকা, বলে দাবি করেছেন তিনি। ৩১ অগাস্টের বেশি আফগানিস্তানে মার্কিন উপস্থিতির মেয়াদ না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে অনেক সমালোচনা হয়েছে। বাইডেন জানিয়েছেন, এটা জয়েন্ট চিফদের এবং সমস্ত মার্কিন কমান্ডারদের সর্বসম্মত সুপারিশ ছিল। এই বিষয়ে মঙ্গলবার বিকালে তিনি বিশদে জানাবেন।