সাগরদিঘীতে অশনি সংকেত, 'হাত' আর 'পদ্ম' কাঁটায় ছিন্ন হওয়ার আশঙ্কায় জোড়া ফুল

  • তৃণমূলের ২০১১তে প্রথম জয় সাগরদিঘী বিধানসভায়
  • কিন্তু এবার প্রেস্টিজ ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে তৃণমূলের
  • তিন দলের হাড্ডাহাড্ডি লড়াই, ঝাঁপিয়েছে সব পক্ষই 
  • কংগ্রেস তুলে ধরছে তৃণমূলের আমলের অনিয়ম 

Asianet News Bangla | Published : Apr 4, 2021 11:55 AM IST

মুর্শিদাবাদে তৃণমূলের  একেবারে ২০১১ সালে প্রথম জয়ী সাগরদিঘী বিধানসভা কেন্দ্রে  এবার প্রেস্টিজ ইস্যু লড়াই হয়ে দাঁড়িয়েছে শাসক দলের কাছে ।কারণ ওই কেন্দ্রে এবার তিন দলের হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। সব পক্ষই ঝাঁপিয়ে পড়েছে। বিজেপি সংখ্যালঘু ভোট টানতে মাফুজা খাতুনকে প্রার্থী করেছে। বিজেপির প্রতীক দেখে হিন্দু সম্প্রদায়ের অনেকেই যেমন ভোট দেবেন, আবার সংখ্যালঘু মহিলা ভোটারদেরও একটা বড় অংশ তাদের সমর্থন করবে বলে বিজেপি আশাবাদী। তৃণমূলের হাতিয়ার উন্নয়ন। তাদের জমানায় এই বিধানসভা কেন্দ্রে কী কী কাজ হয়েছে সেটা তারা তুলে ধরছে। অন্যদিকে কংগ্রেস তুলে ধরছে তৃণমূলের আমলে অনিয়ম।

 

আরও পড়ুন, মোদীর 'দিদি' সম্বোধনে আপত্তি TMC-র, প্রধানমন্ত্রীকে নিশানা করতে গিয়ে কিছু চাপা পড়ল কি 


এলাকার বাসিন্দারা বলছেন, তিন দলের প্রার্থীর মধ্যে একটা অদ্ভুত মিল রয়েছে। তাঁরা তিনজনই বহিরাগত। তাই এই ইস্যুতে কেউ তারা পরস্পরকে আক্রমণ করতে পারছে না। আর ভূমিপুত্র প্রার্থী না হওয়ায় তিন দলেরই নেতা কর্মীদের মধ্যে কাজ করছে অভিমান। তারা প্রকাশ্যেই মুখ খুলেছে। কংগ্রেসের একটা অংশ প্রার্থীকে মেনে নিতে না পেরে রাস্তায় মিছিল করেছে। সেই অংশটি এখনও প্রচারে নামেনি। বিজেপিরও অনেক নেতা-কর্মী প্রার্থীকে মেনে নিতে পারেনি। তারাও বিদ্রোহ করেছিল। তৃণমূলের অন্দরমহলেও রয়েছে ক্ষোভ। যদিও তিন দলেরই নেতৃত্বর দাবি, মান অভিমান মিটে গিয়েছে। এখন সকলেই দলের হয়ে কাজ করছে।

 

আরও পড়ুন, 'কয়লাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত পিসি-ভাইপো', ৯০০ কোটি লুটের অভিযোগ শুভেন্দুর 


 তৃণমূল নেতৃত্বর দাবি, বিজেপি বিভাজনের চেষ্টা করেও সফল হবে না। এই এলাকার মানুষ কাজ দেখে ভোট দেবে। বাম জমানায় এই এলাকার অনেক গ্রামে বিদ্যুৎ পৌঁছয়নি। এখন সব গ্রামেই আলো জ্বলে। লোডশেডিংয়ের সমস্যা মিটে গিয়েছে। উলাডাঙার মতো প্রত্যন্ত গ্রামে সেতু হয়েছে। দলের নেতা খলিলুর রহমান বলেন, এই কয়েক বছরে কী কী কাজ হয়েছে তা এই এলাকার মানুষ চোখের সামনে দেখেছেন। মানুষ আমাদেরকেই সমর্থন করবেন। 

আরও পড়ুন, নির্বাচন কমিশনে এবার করোনা সংক্রমণ, আক্রান্ত পর্যবেক্ষকদের রাখা হয়েছে আইসোলেশনে  

 

অন্যদিকে বিজেপির দক্ষিণ মুর্শিদাবাদ জেলার সভাপতি গৌরীশঙ্কর ঘোষ বলেন, সাগরদিঘির মানুষ পরিবর্তন চাইছে। অনিয়মের বিরুদ্ধে ওই এলাকার বাসিন্দারা আমাদের ভোট দেবেন"। কংগ্রেস নেতা হাসনুজ্জামান বলেন, প্রচারে বেরিয়ে মানুষের ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। এই কেন্দ্র নিয়ে আমরা আশাবাদী। এলাকার বাসিন্দারা বলছেন, এবারে সাগরদিঘির অঙ্ক ক্রমশ জটিল হচ্ছে। তৃণমূল আবার ক্ষমতায় ফিরবে,  না ভোট কাটাকুটির অঙ্কে কংগ্রেস এগিয়ে যাবে,  নাকি বিভাজনের ভোটে পদ্ম ফুটবে তা ২ মে’র পরেই পরিষ্কার হবে। সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছে সকলে সাগরদিঘিকে কেন্দ্র করে।

Share this article
click me!