'করোনা আবহে সিবিআই এই নীতি গ্রহণ করতে পারে না' নারদকাণ্ডে ৪ জন প্রাক্তন এবং বর্তমান মন্ত্রীকে গ্রেফতারের পরেই সিবিআই এর মাধ্য়মে পরোক্ষভাবে কেন্দ্রীয় সরকারকে নিশানা করলেন অধীর চৌধুরী। এবং সিবিআইয়ের দিকে ছুঁড়ে দিলেন একাধিক প্রশ্ন। একুশের নির্বাচনে বিরোধী দল হিসেবে আশানুরূপ ফল না হওয়ার পর এদিন ফের তৃণমূল কংগ্রেসের সমর্থনেই কি পুরোনো সুর ফিরল অধীরের মুখে, চাপান উতোর রাজনৈতিক মহলে।
আরও পড়ুন, 'আগে আমাকে গ্রেফতার করুন, না হলে CBI দফতর ছাড়ব না', বিস্ফোরক মমতা
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেছেন,নারদকাণ্ডে পশ্চিমবঙ্গের ৪ জন প্রাক্তন এবং বর্তমান মন্ত্রীকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। আমার বক্তব্য খুব সামান্য। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার যেন বাংলার কেউ না হয়। কাউকে ধরব, কাউকে ছাড়ব, সিবিআই এই নীতি গ্রহণ করতে পারে না। সর্বোপরী যাদেরকে এই করোনার আবহে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাঁদের কীকরে নিরাপত্তা-সুস্বাস্থ্য দেওয়া যাবে, এই প্রশ্নটাও আমার মধ্যে রয়েছে। নারদ-শারদ এই বাংলায় বহু পরিচিত দুনীর্তির ঘটনা। বিচার ব্যবস্থা-তদন্তকারী সংস্থা আছে, সব ঠিক আছে। কিন্তু এটা বড় জটিল সময়। সারা বাংলা করোনায় আক্রান্ত। মানুষের মধ্যে ত্রাহি ত্রাহি রব উঠেছে। মানুষ আজ দিশেহারা। এই অবস্থায় গ্রেফতার করাটা কি সমীচিন হয়েছে, এ প্রশ্ন আমার মধ্যে আছে, আমি এই প্রশ্ন অবশ্যই সিবিআইকে করব।'উল্লেখ্য, ফিরহাদ সহ ৪ প্রাক্তন এবং বর্তমান মন্ত্রীকে গ্রেফতারের পরেই কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হলো সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্স। বন্ধ করে দেওয়া হল সিজিও কমপ্লেক্সের দুটি প্রধান গেট। কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা বলয়ে মুড়ে ফেলা হয়েছে সিজিও কমপ্লেক্স। যদিও ইতিমধ্যেই পৌছে গিয়েছেন ফিরহাদের আইনজীবি । বাইরে শুরু হয়েছে তৃণমূল কর্মীদের বিক্ষোভ।
অপরদিকে, এদিন ফিরহাদকে গ্রেফতারের পর সকাল ১০ টা ৪৭ মিনিটে নিজাম প্য়ালেসে পৌছন মমতা।সূত্রের খবর, সিবিআই আধিকারিকদের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়েছেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন আগে তাঁকে গ্রেফতার করতে হবে, তা না হলে তিনি সিবিআই দফতর ছাড়বেন না। জানা গিয়েছে, নিজাম প্যালেসের ভিতরে গ্রেফতার তৃণমূল নেতাদের আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলছেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রসঙ্গত, সোমবার সকালেই নারদ কাণ্ডে সিবিআই-এর হাতে গ্রেফতার হন ফিরহাদ হাকিম। চেতলায় তাঁর বাসভবন থেকেই গ্রেফতার করা হয় রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রীকে। গ্রেফতারির সময় স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের বাধার মুখে পড়তে হয় কেন্দ্রীয় সংস্থার গোয়েন্দাদের। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরাও। ফিরহাদ হাকিমের দাবি, গ্রেফতারির আগে তাঁকে আগাম কোনও নোটিশও দেওয়া হয়নি। এবং এই একই ঘটনার তদন্তে কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র এবং প্রাক্তন তৃণমূল কংগ্রেস ও প্রাক্তন বিজেপি নেতা শোভন চট্টোপাধ্যায়কেও নিজাম প্যালেসে সিবিআই দফতরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আইপিএস অফিসার এসএমএস মির্জাকেও আনা হবে। জানা গিয়েছে, এদিনই নারদ কাণ্ডের তদন্তে, রাজ্যের ৪ প্রাক্তন মন্ত্রী এবং এক আইপিএস অফিসারের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট পেশ করছে সিবিআই।