সংক্ষিপ্ত

  • নারদাকাণ্ডে ফিরহাদকে গ্রেফতারির পর উত্তাল রাজ্য-রাজনীতি
  •  বিনা নোটিশেই চেতলার বাসভবন থেকে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে
  •  মদন মিত্র ,শোভনকেও সিবিআই দফতরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে 
  • এদিন নারদকাণ্ডের তদন্তে  আদালতে চার্জশিট পেশ করছে সিবিআই 

নারদাকাণ্ডে ফিরহাদকে গ্রেফতারির পর উত্তাল রাজ্য-রাজনীতি। এদিন বিনা নোটিশেই চেতলার বাসভবন থেকে গ্রেফতার করা হয় রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে। ইতিমধ্যেই পৌছে গিয়েছেন ফিরহাদের আইনজীবি এবং রত্নাও। বাইরে শুরু হয়েছে তৃণমূল কর্মীদের বিক্ষোভ।  জানা গিয়েছে, এদিনই  নারদ কাণ্ডের তদন্তে, রাজ্যের ৪ প্রাক্তন মন্ত্রী এবং এক আইপিএস অফিসারের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট পেশ করছে সিবিআই। নিজ‍্যাম প্যালেসে এসে পৌঁছালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

 

 

আরও পড়ুন, Live Covid 19- কোভিডে বাংলায় একদিনে মৃত ১৪৭ , নারদাকাণ্ডে গ্রেফতার ফিরহাদ, বিক্ষোভ তৃণমূল কর্মীদের  

 

 

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে বিধানসভা নির্বাচনের মুখে নারদের স্টিং অপারেশনের মুখে শাসকদলের একাধিক নেতা-মন্ত্রী-সাংসদকে টাকা নিতে দেখা গিয়েছিল। সেই ভিডিও দেখেছিল সারা পশ্চিমবঙ্গ তথা দেশ। এবং যার বড়সড় প্রভাব পড়েছিল রাজ্য-রাজনীতিতে।  সিবিআই সূত্রে খবর, যে সময়ে এই মামলা শুরু হয়েছিল , তখন সাংসদ ছিলেন শুভেন্দু। তাই তাঁর ক্ষেত্রে অনুমদন দেবেন লোকসভার অধ্যক্ষ। উল্লেখ্য়, নারদামামলায় অভিযুক্ত তৎকালীন ৪ বিধায়কের বিরুদ্ধে সিবিআইকে চার্জশিট পেশ করার অনুমতি দিয়েছেন ইতিমধ্য়েই রাজ্যপাল। এই চার বিধায়ক হলেন ববি হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র এবং শোভন চট্টোপাধ্যায়। এদের মধ্যে প্রথম তিন জন আবার নির্বাচনে জিতে বিধায়ক হয়েছেন। প্রথম তিনজনই তৃণমূলরে। কিন্তু পরবর্তীতে বিজেপিতে যোগ দেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। পার্থী না করায় বিজেপি থেকে পদত্যাগ করেন শোভন। এখন প্রশ্ন উঠেছে, এই চার বিধায়কের জন্য বিধানসবার অধ্যক্ষের অনুমতি কি চাওয়া হয়েছেল। বিমান বন্দ্য়োপাধ্যায় এই প্রসঙ্গে বলেছেন, 'কোনও চিঠিই পাইনি।' এরপর সিবিআইয়ের একটি সূত্র জানায়, রাজ্যপালের থেকে চার্জশিট দেওয়ার অনুমতি পাওয়ার ফলে দুর্নীতি দমন আইনের সাত নম্বর ধারায় তাঁদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট জমা দেওয়া হবে।' 

আরও পড়ুন, সিবিআই-এর হাতে গ্রেফতার ফিরহাদ হাকিম, নিজাম প্যালেসে মদন-শোভন 

 


প্রসঙ্গত, সোমবার সকালেই নারদ কাণ্ডে সিবিআই-এর হাতে গ্রেফতার হন ফিরহাদ হাকিম।  চেতলায় তাঁর বাসভবন থেকেই গ্রেফতার করা হয় রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রীকে। গ্রেফতারির সময় স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের বাধার মুখে পড়তে হয় কেন্দ্রীয় সংস্থার গোয়েন্দাদের। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরাও। ফিরহাদ হাকিমের দাবি, গ্রেফতারির আগে তাঁকে আগাম কোনও নোটিশও দেওয়া হয়নি। এবং এই একই ঘটনার তদন্তে কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র এবং প্রাক্তন তৃণমূল কংগ্রেস ও প্রাক্তন বিজেপি নেতা শোভন চট্টোপাধ্যায়কেও নিজাম প্যালেসে সিবিআই দফতরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।  আইপিএস অফিসার এসএমএস মির্জাকেও আনা হবে। জানা গিয়েছে, এদিনই  নারদ কাণ্ডের তদন্তে, রাজ্যের ৪ প্রাক্তন মন্ত্রী এবং এক আইপিএস অফিসারের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট পেশ করছে সিবিআই।