রাজ্যের সকল জেলাকে টপকে কৃষক বন্ধু প্রকল্পে রেকর্ড গড়ে মুর্শিদাবাদে ১২০ কোটি টাকার অধিক কৃষকদের অ্য়াকাউন্টে। 'এই প্রকল্প নিয়েও শাসকদল অনিয়ম করছে', অভিযোগ বিজেপি এবং কংগ্রেসের।
রাজ্যের সকল জেলাকে টপকে কৃষক বন্ধু প্রকল্পে রেকর্ড গড়ে মুর্শিদাবাদে ১২০ কোটি টাকার অধিক কৃষকদের অ্য়াকাউন্টে। অন্যান্য সকল জেলাকে পিছনে ফেলে দিয়ে কৃষকবন্ধু প্রকল্পের রেকর্ড অঙ্কের টাকা এসে পৌঁছল মুর্শিদাবাদ জেলার চাষিদের কাছে। মাত্র এক মাসের মধ্যে ১২০ কোটি টাকার অধিক প্রায় সাড়ে চার লক্ষ চাষির কাছে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে বলেই শনিবার সংবাদমাধ্যমকে জানালেন মুর্শিদাবাদ জেলা প্রশাসনের কর্তারা।
আরও পড়ুন, এশিয়া সুন্দরীদের দৌড়ে মলদহের মেয়ে, থাইল্য়ান্ডের বিউটি কনটেস্টে অংশ নেবেন মধুপর্ণা
২০১৮-১৯ আর্থিক বর্ষ থেকে এই প্রকল্প চালু হয়েছিল। শুরু থেকে এখনও পর্যন্ত কৃষকবন্ধু প্রকল্পের মোট ৩৪৫কোটি টাকা জেলায় এসেছে। এই প্রকল্পে দু’ভাবে টাকা পাওয়া যায়। চাষিদের কৃষিকাজ করার জন্য দু’বার টাকা দেওয়া হয়। আবার কোনও কৃষকের অস্বাভাবিক মৃত্যু হলেও পরিবারকে টাকা দেওয়া হয়। প্রকল্প চালুর পর থেকে এখনও পর্যন্ত অস্বাভাবিক মৃত্যুর জন্য ৭৫কোটি টাকা এই জেলায় বরাদ্দ করা হয়েছে। মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের কৃষি কর্মাধ্যক্ষ সাহানাজ বেগম এদিন বলেন,"খুব খুশির খবর যে এবছর আমাদের জেলা রাজ্যের অন্যান্য জেলা থেকে প্রথম স্থান অধিকার করেছে কৃষক বন্ধু প্রকল্পে।অধিকাংশ চাষির অ্যাকাউন্টে টাকা পৌঁছে গিয়েছে। কিছু টেকনিক্যাল সমস্যার জন্য অল্প সংখ্যক চাষির অ্যাকাউন্টে টাকা পৌঁছয়নি। সমস্যা সমাধান করে তাদের অ্যাকাউন্টেও দ্রুত টাকা পাঠিয়ে দেওয়া হবে"।
আরও পড়ুন, 'কলকাতা যখন লন্ডন', মমতাকে চরম কটাক্ষ দিলীপের
এদিকে মুর্শিদাবাদ জেলা কৃষিদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, এই জেলার বাকি থাকা চাষিদের নামও কৃষকবন্ধু প্রকল্পে নথিভুক্ত করার জন্য তোড়জোড় শুরু হয়েছে। তারজন্য আগামী দিনে ক্যাম্প করা হবে। জেলার কৃষি আধিকারিক তাপস কুণ্ডু বলেন, মুর্শিদাবাদের অধিকাংশ চাষির নাম কৃষকবন্ধু প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত হয়ে রয়েছে। কিছু চাষি বিভিন্ন কারণে নাম নথিভুক্ত করেননি। তাঁদেরও এই প্রকল্পের আওতায় নিয়ে আসা হবে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী দিনে আবার দুয়ারে সরকার কর্মসূচি চালু হতে চলেছে। প্রতিটি ব্লকেই বিশেষ ক্যাম্প করা হবে। সেখানে চাষিরা কৃষকবন্ধু প্রকল্পের জন্যও আবেদন করতে পারবেন। এছাড়া কৃষকরা ব্লক অফিসে গিয়েও এই প্রকল্পের নাম নথিভুক্ত করতে পারবেন। ডোমকলের এক কৃষক বাবর আলী বলেন, কিছুদিন আগেই অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকেছে। বর্ষায় চাষ করার জন্য ভালো খরচ হয়। সরকারের দেওয়া টাকা হাতে আসায় অনেক সুবিধা হয়েছে। গত বছরও টাকা পেয়েছিলাম। আর
এক চাষি দৌলতাবাদের আমজাদ শেখ বলেন, সরকারের এই প্রকল্পের টাকা পাওয়ায় চাষ করতে অনেক সুবিধা হয়েছে। আগে চাষের জন্য লোকের কাছে টাকা ধার নিতে হতো। পরে তা সুদ সহ ফেরত দিতে হতো। কিন্তু এখন চাষ শুরু করার আগে কারও কাছে হাত পাতা দরকার হয় না"। যদিও বিরোধী কংগ্রেস ও বিজেপির একযোগে অভিযোগ, এই প্রকল্প নিয়েও শাসকদল অনিয়ম করছে। চাষিদের ভুল বুঝিয়ে টাকা হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে। বিজেপির জেলা সভাপতি গৌরীশঙ্কর ঘোষ বলেন, কেন্দ্রও চাষিদের সহযোগিতা করার জন্য প্রকল্প চালু করেছে। তৃণমূল প্রথম দিকে এই প্রকল্প রাজ্যে চালু করতে দেয়নি। বহু কৃষক পরিবারকে তারা বঞ্চিত করেছে। রাজ্য সরকারের কৃষকবন্ধু প্রকল্প থেকেও কাটমানি নিচ্ছে"।
আরও পড়ুন, ভাইরাসের ভয় নেই তেমন এখানে, ঘুরে আসুন ভুটানে
আরও দেখুন, মাছ ধরতে ভালবাসেন, বেরিয়ে পড়ুন কলকাতার কাছেই এই ঠিকানায়
আরও পড়ুন, রাজ্য়ের সর্বনিম্ন সংক্রমণ এই জেলায়, বৃষ্টিতে হারাতেই পারেন পুরুলিয়ার পাহাড়ে
আরও দেখুন, বৃষ্টিতে বিরিয়ানি থেকে তন্দুরি, রইল কলকাতার সেরা খাবারের ঠিকানার হদিশ
আরও দেখুন, কলকাতার কাছেই সেরা ৫ ঘুরতে যাওয়ার জায়গা, থাকল ছবি সহ ঠিকানা
আরও পড়ুন, বনগাঁ লোকাল নয়, জাপানে ঠেলা মেরে ট্রেনে তোলে প্রোফেশনাল পুশার, রইল পৃথিবীর আজব কাজের হদিস