সিএএ, এনআরসি সহ একাধিক ইস্যুতে বিজেপি আক্রমণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন গীতাঞ্জলী স্টেডিয়ামে বক্তব্য রাখার সময় সাময়মিক বিশৃঙ্খলারও সৃষ্টি হয়। মুখ্যমন্ত্রী যখন ভাষণ দিচ্ছিলেন, সেই সময় সভা থেকে তাঁদের দাবি দাওয়া সরব হন বেশ কয়েক মানুষ। ঘটনার জেরে সাময়িক বিশৃঙ্খলার পরিস্থিতি তৈরি হয়। সভায় উপস্থিত থেকে সবাইকে শান্ত করার চেষ্টা করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়।
আরও পড়ুন-'রাজীবের চেয়ে বড় অভিনেতা আর হয় নাকি', প্রাক্তন বনমন্ত্রীকে কটাক্ষ সোহমের
পুরুলিয়ার সভাতেও একই ঘটনা ঘটেছিল। স্বনীর্ভর বেশ কয়েকজন লোক তাঁদের দাবি জানান মমতার সভাস্থল থেকে। সেই সময় সভা থেকে মেজাজ হারিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। পরে অবশ্য শান্ত হয়ে তাঁদের দাবির কথা শুনেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এবারের গীতাঞ্জলী স্টেডিয়াম থেকেও কিছুটা উষ্মা প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ''সভায় এসে কোনও কিছু চাওয়া যায় না। তার জন্য নির্দিষ্ট পদ্ধতি আছে। সেইভাবে করলে আমি নিশ্চয় দেখব। আমাকে চমকে ধমকে কিছু করা যাবে না। নির্বাচনের আগে কেউ এসে বলছে ওটা করে দিতে হবে, ওটা করে দিতে হবে। সেটা পারব না। তাতে ভোট না দিলে দেবেন''।
আরও পড়ুন-দুর্ঘটনার কবলে শুভেন্দুর কনভয়, একটুর জন্য রক্ষা পেলেন শিশির পুত্র, আহত নিরাপত্তারক্ষী
পাশাপাশি তিনি বাঙালি আবেগ টেনে বলেন, ''বাংলায় থেকে যাঁরা বাংলাকে খাটো করেন। তাঁদের কেউ ক্ষমা করবে না। তৃণমূল কংগ্রেসের বিকল্প তৃণমূলই। ওরা দাঙ্গা চায়, আমরা দাঙ্গা চায় না। এই যে পরিযায়ী শ্রমিকরা বিপদে পড়লে বাক্সের উপরে শিশুকে নিয়ে যাচ্ছে। তখন তাঁদের ঘরে ফেরার জন্য ট্রেন দিল না। এবার চোরেদের দিল্লি নিয়ে যাচ্ছে চাটার্ড বিমানে করে''। এছাড়াও রাজ্যের উন্নয়মূলক কাজগুলি নিয়ে সাধারণ মানুষের কাছে তুলে ধরেন মমতা। তিনি বলেন, ''রাজ্যে বিনামূল্যে রেশন দেওয়া হচ্ছে। বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড দেওয়া হচ্ছে''।