সম্প্রতি দিল্লি সফর শেষ করে রাজ্যে ফিরেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। আর তারপরই দিল্লিতে ডাক পড়ল শুভেন্দু অধিকারীর। সূত্রের খবর, আজ রাতেই দিল্লি যাচ্ছেন তিনি। তাঁকে দিল্লিতে ডেকে পাঠিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা। আগামীকাল সেখানে নাড্ডার সঙ্গে বৈঠকে বসবেন তিনি।
সূত্রের খবর, বাংলায় বিজেপির পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক কী হবে, রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতি ও দলের সাংগঠনিক অবস্থা নিয়ে আলোচনা হতে পারে ওই বৈঠকে। কারণ সামনে থেকে এখন বঙ্গ বিজেপিকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন শুভেন্দু। আর সেখানে এই মুহূর্তে দলের মধ্যে ভাঙন লক্ষ্য করা গিয়েছে। প্রায় প্রতিদিনই বিজেপি থেকে তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন কোনও না কোনও নেতা। সেই ভাঙন রুখতে কী পদক্ষেপ প্রয়োজন তার রূপরেখা স্থির হতে পারে বৈঠকে।
রাজ্য়পালের পাশাপাশি বাংলার ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে সরব হয়েছিলেন শুভেন্দুও। কয়েকদিন আগে তাঁর নেতৃত্ব বিজেপি বিধায়করা রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। রাজ্যপালের কাছে একাধিক অভিযোগ জানিয়েছিলেন তাঁরা। আর এরপরই ১৫ জুন দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন রাজ্যপাল। ১৭ জুন সস্ত্রীক রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করেন তিনি। সূত্রের খবর, রাষ্ট্রপতির কাছে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে নোট জমা দিয়েছিলেন। এরপর দু'দফায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গেও বৈঠক করেছিলেন তিনি। সেখানেও রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও ভোট পরবর্তী হিংসার প্রসঙ্গে উঠে এসেছিল। আর তিনি রাজ্যে ফিরে যাওয়ার পরই দিল্লিতে ডাক পড়ল শুভেন্দুর। এমনকী, রাজ্যপাল দিল্লি থেকে ফেরার পরই গতকাল তাঁর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন শুভেন্দু। এই পরিস্থিতিতে নাড্ডার সঙ্গে শুভেন্দুর বৈঠক অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই দিল্লি গিয়েছিলেন শুভেন্দু। সেইসময়ও তাঁর সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন জেপি নাড্ডা। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সঙ্গেও বৈঠক করেন শুভেন্দু। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গেও আলাদা করে দেখা করেছিলেন। শুভেন্দু জানিয়েছিলেন, রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে। ভোট পরবর্তী হিংসায় ঘরছাড়া বিজেপি কর্মীদের বিষয়ে কথা বলেছেন তিনি। এছাড়া বাংলায় বিজেপির সংগঠন নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়েছিল।