নন্দীগ্রাম নিয়ে তৃণমূল-বিজেপি হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। আগে থেকেই এই বিধানসভা কেন্দ্রের গুরুত্ব থাকলেও শুভেন্দু বিধায়কল পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর আরও গুরুত্ব বেড়েছে। ৭ জানুয়ারি নন্দীগ্রামে সভা করার কথা ছিল মুখ্যমন্ত্রীর। কিন্তু শেষ মহূর্তে স্থগিত হয়ে যায়। সেই নন্দীগ্রাম দিবসে মাঝরাতে গিয়ে শহিদদের শ্রদ্ধা জানালেন শুভেন্দু। অন্যদিকে, ভোট চারটে নাগাদ সভা করে তৃণমূল কংগ্রেস। শহিদদের শ্রদ্ধা জানানো কার্যত প্রতিযোগিতার পরিণত হয়।
আরও পড়়ুন-রাজ্যের সাহায্য মিললেই কৃষকরা সরাসরি পাবে টাকা, মমতাকে চিঠি কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রীর
বৃহঃস্পতিবার রাত বারোটা নাগাদ ভাঙাবেড়িয়া গ্রামে শহিদ বেদিতে শ্রদ্ধা জানান শুভেন্দু অধিকারী। ওই বিধানসভা কেন্দ্রের প্রাক্তন বিধায়ক তিনি। সেখানে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, ''৭ জানুয়ারি ঘটনার পর ৮ জানুয়ারি শহিদদের দেহ আমি তুলেছিলাম। পাশাপাশি, তৃণমূলকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, ২০১১ সাল থেকে কাউকে দেখা যায়নি এই নন্দীগ্রামে। ভোট আসতে আনাগোনা বেড়েছে। ভোট মিলটে আবার বন্ধ হয়ে যাবে''।
আরও পড়ুন-২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে জয় কার, বিপেজি না তৃণমূলের, কি বলছে জ্যোতিষশাস্ত্র
এরপরই, এদিন ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির ব্যানারে নন্দীগ্রামে ভোর ৪টে নাগাদ সভা করেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি। সভায় বক্তব্য রাখেন ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির নেতা শেখ সুফিয়ান। তিনি দাবি করেন, নন্দীগ্রামে গুলি চালনার দিন সেখানে ছিলেন না শুভেন্দু। নন্দীগ্রাম দিবসে কার্যত মাঝ রাত থেকেই হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলল বিধায়কহীন বিধানসভা কেন্দ্রে।