কেন্দ্র এক, দল আলাদা- বৈশালী ডালমিয়ার চ্যালেঞ্জ বহিরগাত তকমা ঘোচাবার

  • পিতার মৃত্যুর পরে পরেই রাজনীতিতে যোগ দেন তাঁর কন্যা বৈশালী ডালমিয়া
  • রাজনীতিতে প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গেই তিনি টিকিট পেয়ে যান
  • বালি কেন্দ্র থেকে ২০১৬ সালে ভোটে লড়েছিলেন বৈশালী
  • পাঁচ বছর পর ফের তিনি ভোটের ময়দানে, ওই বালি কেন্দ্রেই

Asianet News Bangla | Published : Apr 9, 2021 8:55 AM IST

তাপস দাস, প্রতিনিধি- বাংলা তথা ভারতীয় ক্রিকেট প্রশাসনে অবিসংবাদী নাম জগমোহন ডালমিয়া। জগমোহন মারা যান ২০১৬ সালে। পিতার মৃত্যুর পরে পরেই রাজনীতিতে যোগ দেন তাঁর কন্যা বৈশালী ডালমিয়া। 

রাজনীতিতে প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গেই তিনি টিকিট পেয়ে যান। বিধানসভা ভোটে লড়ার টিকিট। বালি কেন্দ্র থেকে ২০১৬ সালে ভোটে লড়েছিলেন বৈশালী। জিতেও যান। পাঁচ বছর পর ফের তিনি ভোটের ময়দানে, ওই বালি কেন্দ্রেই। তবে অন্য দলে। 

আরও পড়ুন- 'কেন্দ্রীয়বাহিনীকে ঘিরতে' বলে কমিশনের নোটিশ পেলেন মমতা, কারণ দর্শাতে হবে ২৪ ঘন্টার মধ্য়েই

রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, ডোমজুড়ের বিধায়ক যখন উল্টো গাইতে শুরু করেছিলেন, তখনই তাঁর সুরে সুর মেলাতে শুরু করেন বৈশালী। প্রকাশ্যে সমালোচনা করেন প্রশান্ত কিশোরেরও। এরপরেই তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। এর কিছুদিন পরেই জল্পনার অবসান ঘটিয়ে তিনি যোগ দেন বিজেপিতে, সঙ্গে ছিলেন রাজীব ব্যানার্জি, রুদ্রনীল ঘোষেরা।

এবারের ভোটে তাঁর টিকিট পাওয়ার পরও পথ মসৃণ হয়নি বৈশালী ডালমিয়ার। বহিরাগত বলে তাঁর বিরুদ্ধে পোস্টার পড়েছে। তবে বৈশালীর দাবি, তিনি বহিরাগত নন আদৌ। তাঁর বাড়িও রয়েছে এখানে। 

বৈশালী ডালমিয়া ২০১১ সালের ভোটে বালি বিধানসভা কেন্দ্র থেকে জিতেছিলেন ৫২ হাজার ছশো চুয়ান্ন ভোট পেয়েছিলেন। তিনি হারিয়েছিলেন তাঁর নিকটতম  প্রতিদ্বন্দ্বী সিপিএমের সৌমেন্দ্রনাথ বেরাকে। তার আগের দফায় এই আসনে জিতেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সুলতান সিং। সুলতানের চেয়ে ৩.৫৪ শতাংশ কম ভোট পেয়েছিলেন বৈশালী। এবার তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী সিপিএমের দীপ্সিতা ধরও। দীপ্সিতা জওহরলাল নেহরু ইউনিভার্সিটির স্কলার। আর তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিদ্বন্দ্বী রাণা চ্যাটার্জি। 

আরও পড়ুন- ওজনদার প্রার্থী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, তিনি কি টানা ২৫ বছর রাজ করবেন বেহালা পশ্চিমে

বৈশালী ডালমিয়া কোটিপতি প্রার্থী। তাঁর স্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ২ কোটি ১৯ লক্ষ ৩০ হাজার ৯৫৫ টাকা। এর মধ্যে নগদ অর্থ সাড়ে তিন লক্ষের কিছু বেশি। বৈশালী ডালমিয়া তাঁর হলফনামায় জানিয়েছেন, তাঁর কোনও গহনা নেই। তবে তাঁর একটি মার্সিডিজ বেঞ্জ গাড়ি রয়েছে, ২০১৫ সালের, যার দাম ৩৯ লক্ষ টাকা। হাওড়ার বালির রামনবমীতলায় তাঁর একটি দোতলা বাড়ি রয়েছে, যার মোট আয়তন ১৬৫১ বর্গফুট।

Share this article
click me!