Durga Puja: দশভূজা নয়, ১০৩ বছরের হাওড়ার শ্রীমানী পরিবারের দেবী দুর্গা পূজিত হন হরগৌরী রুপে

বাংলার বনেদি বাড়ির পুজোর মধ্যে অন্যতম  ১০৩ বছরের হাওড়া মাকড়দহ শ্রীমানী পরিবারের দুর্গা পুজো। তবে শ্রীমানী পরিবারে দেবী দুর্গা দশভূজার বদলে পূজিত হন  হরগৌরী রুপে । 

Asianet News Bangla | Published : Sep 28, 2021 10:03 AM IST

বাংলার বনেদি বাড়ির পুজোর মধ্যে অন্যতম ( 103 years  old)  ১০৩ বছরের হাওড়া মাকড়দহ শ্রীমানী পরিবারের দুর্গা পুজো (Durga Puja )। তবে ( Shrimani Family in Howrah ) শ্রীমানী পরিবারে দেবী দুর্গা দশভূজার বদলে পূজিত হন  হরগৌরী রুপে । ১৯১৮ সালে বাড়ীর দালানে দেখতে পান ঠাকুর হরগৌরীর কাঠামো । ঠাকুরের আদেশ ভেবে তারপর থেকেই শুরু হয় দেবী দুর্গার আরাধনা ।

  

আরও পড়ুন, Durga Puja: ২০০ বছরের পুরনো হাওড়ার পাল বাড়ির দুর্গাপুজোয় আজও সিঁদুর খেলা হয় অষ্টমীতে

প্রসঙ্গত, হাওড়া মাকড়দহ অঞ্চলে বসবাস ছিল তৎকালীন সময়ে শর্করা ও ঘিয়ের ব্যবসাদার কেদারনাথ শ্রীমানী ও তার দুই পুত্র বিশ্বনাথ ও হরিপদের । আজ থেকে একশ তিন বছর আগে অর্থাৎ ১৯১৮ সালের এক ভোরে বিশ্বনাথ শ্রীমানীর স্ত্রী (বড় মা) সকালে বাড়ীর দালানে জল সরাতে গেলে দেখতে পান ঠাকুর হরগৌরীর কাঠামো । ঠাকুরের আদেশ ভেবে তারপর থেকেই শুরু হয় দেবী দুর্গার আরাধনা । তবে দেবী দুর্গা এখানে দশোভূজা নয় । তাঁকে আরাধনা করা হয় হরগৌরী রূপে । মা দুর্গা প্রতিবছর তার স্বামী শংকর মহাদেব ও তার চার সন্তান লক্ষ্মী, গণেশ, কার্তিক, ও সরস্বতীকে নিয়ে পূজিত হন এই শ্রীমানী পরিবারে । তাদের পুজোয় কোনও বলির প্রথা নেই । দেবীকে তখনকার দিনে এক মণ চালের নৈবেদ্য দেওয়া হতো ও একই সঙ্গে নারকেলের তৈরী সমস্ত মিষ্টান্ন পূজার প্রসাদ হিসেবে প্রদান করা হতো দেবী সন্মুখে । তাছাড়া থাকতো বিভিন্ন ধরনের ফল । দূরদূরান্ত থেকে হাজার হাজার মানুষ আসতেন এই পুজোয় অংশ নিতে । পুজোর চার দিন থাকতো বাড়িতে সকলের জন্য ভোজের আয়োজন ।

Durga Puja: ২৫০ বছর পুরোনো বর্ধমানের দে পরিবারে হরগৌরী রূপে পূজিত হন দেবী দুর্গা

প্রতিবছর জন্মাষ্টমীর দিন প্রথা অনুসারে কাঠামো পুজো করে শুরু হতো হরগৌরী প্রতিমা নির্মাণের কাজ । তবে করোনাকালে এ বছর আর বাড়ীর দালানে তৈরি হচ্ছে না প্রতিমা । তা আনা হবে কুমোরটুলি থেকে । তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বদলে গিয়েছে পুরনো দিনের সেই পুজোর আয়োজন । পরিবারের অধিকাংশ লোকেরাই কর্মসূত্রে এখন রয়েছেন বিদেশে । তবে ষষ্ঠীর দিন সকালেই চলে আসেন হাওড়া মাকড়দহের বাড়িতে । চার-পাঁচটা দিন কিভাবে যে কেটে যায় তা কেউ বুঝতেই পারেন না । আর বিসর্জনের সময় এখনো পর্যন্ত দেবীকে নিয়ে যাওয়া হয় মানুষের কাঁধে করে । সেই সময় মাকে সিঁদুর দান করার জন্য মাকড়দহ মাকড়চন্ডী মন্দিরে প্রতীক্ষা করেন হাজারো মানুষ । তাই একশো তিন বছরেও পুজোর আয়োজনে আগের মতন সেই এলাহি ব্যবস্থা না থাকলেও, আগেকার সেই ঐতিহ্য এখনো বজায় রেখেছে হাওড়া মাকড়দহ শ্রীমানী পরিবার ।

  আরও পড়ুন, ভাইরাসের ভয় নেই তেমন এখানে, ঘুরে আসুন ভুটানে  

আরও দেখুন, মাছ ধরতে ভালবাসেন, বেরিয়ে পড়ুন কলকাতার কাছেই এই ঠিকানায়  

আরও দেখুন, বৃষ্টিতে বিরিয়ানি থেকে তন্দুরি, রইল কলকাতার সেরা খাবারের ঠিকানার হদিশ  

আরও দেখুন, কলকাতার কাছেই সেরা ৫ ঘুরতে যাওয়ার জায়গা, থাকল ছবি সহ ঠিকানা  

 

Share this article
click me!