টি২০ বিশ্বকাপ চলাকালীন অনলাইন বেটিং চক্রে জড়িত থাকার অভিযোগে তিনজনকে গ্রেফতার করল বর্ধমান থানার পুলিশ। ধৃতদের কাছ থেকে চারটি মোবাইল ফোন, নগদ ১ লক্ষ ৫০ হাজার ৪৫০ টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ।
এই মুহূর্তে দুবাইতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে টি২০ বিশ্বকাপ (T20 World Cup)। আর তার বেটিং চক্রের (Betting Racket) যোগ পাওয়া গেল বর্ধমানে (Burdwan)। টি২০ বিশ্বকাপ চলাকালীন অনলাইন বেটিং চক্রে জড়িত থাকার অভিযোগে তিনজনকে গ্রেফতার করল বর্ধমান থানার পুলিশ (Burdwan Police)। ধৃতদের কাছ থেকে চারটি মোবাইল ফোন (Mobile Phone), নগদ ১ লক্ষ ৫০ হাজার ৪৫০ টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। বর্ধমানের নতুনগঞ্জের পুরাতনচক এলাকার ঘটনা।
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, পুরাতনচক এলাকার বাসিন্দা জসিম ইকবালের বাড়িতে এই বেটিংয়ের আসর বসত। গোপন সূত্র থেকে খবর পেয়ে বর্ধমান থানার পুলিশ জসিম ইকবালের বাড়িতে অভিযান চালায়। তখনই সেখান থেকে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। জসিম ছাড়াও গ্রেফতার করা হয়েছে সোমনাথ মণ্ডল, শেখ আজিজকে। প্রথমে ধৃতদের আটক করে জেরা করেছিল পুলিশ। তখনই তারা বেটিং চক্র চালানোর কথা স্বীকার করে নেয়। তারপরই এই তিনজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সোমনাথ ও শেখ আজিজের বাড়ি বর্ধমানের খাগড়াগড় ও আলুডাঙা এলাকায়। বৃহস্পতিবার তাদের বর্ধমান আদালতে তোলা হয়। পুলিশের তরফে আরও জানানো হয়েছে, শুধুমাত্র ক্রিকেট নয়। অন্যান্য ক্ষেত্রেও অনলাইন বেটিং চক্রের সঙ্গে জড়িত এরা।
আরও পড়ুন- 'সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছাড়লাম', এইমস থেকে ছুটি পেয়ে টুইটারে চিকিৎসকদের ধন্যবাদ রাজ্যপালের
আরও পড়ুন- শারজা আন্তর্জাতিক বইমেলায় আমন্ত্রণ মমতাকে, বিদেশমন্ত্রকের অনুমতি পাওয়া নিয়ে সংশয়
ওই তিনজনের কাছ থেকে নগদ ১ লক্ষ ৫০ হাজার ৪৫০ টাকা ও চারটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করে তা বাজেয়াপ্ত করেছে বর্ধমান থানার পুলিশ। আর কে কে এই বেটিং চক্রের সঙ্গে জড়িত, তা এখনও জানা যায়নি। তবে ধৃতদের জেরা করে এই চক্রের সঙ্গে বাকি কেউ যুক্ত রয়েছে কিনা তা জানার চেষ্টা করবে পুলিশ।
আরও পড়ুন- গোয়া-ত্রিপুরা নিয়ে আশাবাদী, কত সংখ্যক আসন পাবে তৃণমূল, জানালেন অনুব্রত
প্রসঙ্গত, এর আগেও বেটিং চক্রের সঙ্গে জড়িতদের খোঁজ মিলেছিল বর্ধমানে। আইপিএলের মরশুমে বেটিং চক্রের খবর পেয়ে প্রথমে দু'জন, তারপর আরও একজনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। ধৃতদের কাছ থেকে নগদ ৬৫ হাজার টাকা ও বেশ কয়েকটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। পূর্ব বর্ধমানের মেমারি থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছিল। ধৃতরা মূলত অনলাইনের মাধ্য়মে বেটিং চক্র চালাত বলে জানা গিয়েছিল। এই চক্র চালানোর জন্য কাজে লাগানো হত বিভিন্ন অ্য়াপ ও ওয়েবসাইট। চট করে অচেনা কারও সঙ্গে খেলা নিয়ে বাজি ধরত না ধৃতরা। নির্দিষ্ট এলাকায় পরিচিতরাই আইপিএল বেটিং-এ অংশ নিত। এমনকী, তাদের মোবাইল ফোন ঘেঁটে বেশ কয়েকটি অ্যাপ ও ওয়েবসাইটের সন্ধান পেয়েছিলেন তদন্তকারীরা। এগুলি মূলত বেটিং করতে ব্যবহার করা হয় বলে জানা যায়। এই অ্য়াপের মাধ্যমে ধৃতরা আর্থিক লেনদেনও করত।