শান্তিকেতনে গণধর্ষণের শিকার আদিবাসী নাবালিকা, ধর্ষণের চেষ্টায় গায়ে আগুন ময়নাগুড়ির নির্যাতিতার

ফের গণধর্ষণ রাজ্যে। হাঁসখালির পর এবার শান্তিনিকেতন। কোপাই নদীর তীরে গণধর্ষণের শিকার আদিবাসী নাবালিকা।  এদিকে শান্তিনিকেতনের পাশাপাশি আরও একটি নৃশংস ঘটনা ঘটেছে উত্তরবঙ্গে। 

Web Desk - ANB | Published : Apr 15, 2022 9:53 AM IST / Updated: Apr 15 2022, 03:24 PM IST

ফের গণধর্ষণ রাজ্যে। হাঁসখালির পর এবার শান্তিনিকেতন। কোপাই নদীর তীরে গণধর্ষণের শিকার আদিবাসী নাবালিকা। ওই নাবালিকাকে উদ্ধার করে এই মুহূর্তে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদিকে শান্তিনিকেতনের পাশাপাশি আরও একটি নৃশংস ঘটনা ঘটেছে উত্তরবঙ্গে। উত্তরবঙ্গের ময়নাগুড়িতে আরও এক নাবালিকাকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে। এখানেই শেষ নয়, ধর্ষণের চেষ্টার পর অপমান ঢাকতে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় উত্তরবঙ্গের ওই নাবালিকা। এদিকে গায়ে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করলেও প্রাণে বেঁচে গিয়েছে ওই নাবালিকা। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই নাবালিকাকে জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

শান্তিকেতন-চড়ক মেলা দেখে ফেরার পথে, নাবালিকাকে কোপাই নদীর ধারে নিয়ে যায় ৫ যুবক

জানা গিয়েছে, শান্তিকেতনের গণধর্ষণের ঘটনায়, ওই নাবালিকাকে কোপাই নদীর ধারে নিয়ে যায় ৫ যুবক। কোপাই নদীর পাড়ে নিয়ে গিয়েই নাবালিকাকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। পুলিশ সুপার নগেন্দ্র ত্রিপাঠি নিজে ওই গ্রামে গিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। সুপার জানিয়েছেন যে, ইতিমধ্যেই কয়েকজনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। ধর্ষিতা নাবালিকাকে বোলপুর নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়েছে। জানা গিয়েছে একজন ছেলের সঙ্গে চড়ক মেলা দেখে ফেরার পথে, তাঁদেরকে মারধর করে বলে অভিযোগ। সেখান থেকে ৫ জন অভিযুক্ত তাঁকে তুলে নিয়ে যায়। সেখান থেকে কোনওভাবে পালিয়ে যায় সঙ্গী ছেলেটি। এরপরেই নাবালিকাকে কোপাই নদীর ধারে তুলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। রাস্তার অব্ধকার থাকার সুযোগ নিয়েই এই ঘটনাটি ঘটানো হয়েছে বলে অভিযোগ। 

আরও পড়ুন, 'আমাকে বলেছিল, ধর ওকে রেপ করব', হাঁসখালিকাণ্ডে সিবিআই-র কাছে এল ভয়াবহ তথ্য

ময়নাগুড়ি-নাবালিকাকে জামা কাপড় ছিড়ে তাঁর গোপনাঙ্গে হাত দেয় বলে অভিযোগ

অপরদিকে, উত্তরবঙ্গের ময়নাগুড়িতে আরও এক নাবালিকাকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়। অপমান ঢাকতে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় ওই নাবালিকা।গায়ে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করলেও শেষ অবধি প্রাণে বেঁচে যায় ওই নাবালিকা। এরপরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই নাবালিকাকে জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। উল্লেখ্য, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি উত্তরবঙ্গের ময়নাগুড়ির ধর্মপুর এলাকায় এক নাবালিকাকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ ওঠে স্থানীয় অজয় রাম নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে। তার জামা কাপড় ছিড়ে তাঁর গোপনাঙ্গে হাত দেয় বলে অভিযোগ। নাবালিকার চিৎকার শুনে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত। এরপর ময়নাগুড়ির থানার দ্বারস্থ হয় নির্যাতিতার পরিবার।  এই ঘটনা অভিযুক্ত সন্দেহ একজনকে গ্রেফতার করা হলেও দ্বিতীয়জন এখনও অধরা। অভিযোগ দায়েরের কয়েকদিনের মধ্যেই আদালত থেকে জামিন নেয় অভিযুক্ত। 

আরও পড়ুন, 'আত্মহত্যা করার ছেলে নয় নিরঞ্জন', ঝালদাকাণ্ডে প্রত্যক্ষদর্শীর বাড়িতে সিবিআই, দীর্ঘ জেরা আইসি-কে

আরও পড়ুন, মাঝদুপুরে মটনকষা বা ইচ্ছে হলেই ইলিশ খান পাত পেড়ে, পয়লাবৈশাখে ডেলিভারি দেবে রাজ্য

তৃণমূলকে কাঠগড়ায় তুলেছে বিজেপি

এদিকে অভিযোগ প্রত্যাহার করতে প্রাণনাশের হমকি দেওয়া হয়েছিল নির্যাতিতাকে। সেই চাপ সহ্য করতে না পেরে শেষ অবধি আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় ওই নাবালিকা। এই ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জলপাইগুড়ির পুলিশ সুপার দেবর্ষি দত্ত। এদিকে এই ঘটনায় তৃণমূলকে কাঠগড়ায় তুলেছে বিজেপি। এদিকে বাইশ সালে পা দিতেই রাজ্যের একের পর এক ধর্ষণের ঘটনা ঘটে চলেছে। মাটিয়া, হাঁসখালির পর এবার শান্তিকেতন ইস্যুতে ফের তোলপাড় রাজ্য।

Share this article
click me!