সংক্ষিপ্ত
তপন কান্দু খুনের তদন্তে অবশেষে ঝালদা থানার আইসি-কে জিজ্ঞাসাবাদ করল সিবিআই। মোট ৭ ঘন্টার দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদ চালান সিবিআই অফিসারেরা। সেই সঙ্গে কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু হত্যার প্রত্যক্ষদর্শী মৃত নিরঞ্জন বৈষ্ণবের বাড়িতেও যান তদন্তকারীর দল।
তপন কান্দু খুনের তদন্তে অবশেষে ঝালদা থানার আইসি-কে জিজ্ঞাসাবাদ করল সিবিআই। ঝালদা থানার আইসিকে মোট দুই দফায় জেরা করেছেন তদন্তকারীর দল। প্রথম পর্বে জিজ্ঞাসাবাদ চলে তিন ঘন্টা এবং দ্বিতীয় পর্বে চলে ৪ ঘন্টা। অর্থাৎ মোট ৭ ঘন্টার দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদ চালান সিবিআই অফিসারেরা। সেই সঙ্গে কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু হত্যার প্রত্যক্ষদর্শী মৃত নিরঞ্জন বৈষ্ণবের বাড়িতেও যান তদন্তকারীর দল।
সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার ঝালদার বন দফতরের বাংলোয়, সিবিআই-র অস্থায়ী ক্যাম্পে পৌছন ঝালদা থানার আইসি সঞ্জীব। সাধারণ পোশাকে কালো কাঁচ ঢাকা গাড়িতে সোজা ঢুকে যান ভিতরে। প্রথম পর্বে জিজ্ঞাসাবাদ চলে তিন ঘন্টা এবং দ্বিতীয় পর্বে চলে ৪ ঘন্টা। অর্থাৎ মোট ৭ ঘন্টার দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদ চালান সিবিআই অফিসারেরা। গতকাল সকাল থেকে প্রায় রাত অবধি এই দুই দফায় জেরা পর্ব চলে।
আরও পড়ুন, 'আমাকে বলেছিল, ধর ওকে রেপ করব', হাঁসখালিকাণ্ডে সিবিআই-র কাছে এল ভয়াবহ তথ্য
ঝালদা কংগ্রেস কাউন্সিলর হত্যাকাণ্ডে ইতিমধ্য়েই নিহত কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু-র বাড়িতে গিয়ে স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দু-সহ পরিবারের অন্যদের সঙ্গে কথা বলেছেন সিবিআই আধিকারিকরা।পুরুলিয়ার ঝালদায় কংগ্রেসের কাউন্সিলর হত্যাকাণ্ডে গুরুতর অভিযোগ তোলেন স্ত্রী। নিহত কাউন্সিলর তপন কান্দুর স্ত্রী পূর্ণিমাদেবীর অভিযোগ, 'তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জন্য তপন কান্দুকে চাপ দিচ্ছিলেন খোদ ঝালদা থানার আইসি। এমনকি কথা না শুনলে গুম করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি পর্যন্ত দেওয়া হয়েছিল বলে দাবি করেন পূর্ণিমাদেবী। তিনি আরও বলেন,' এই ঘটনায় সরাসরি যুক্ত ঝালদা থানার আইসি। তাঁকে সঠিকভাবে জেরা করা হলে দোষীদের ধরা সম্ভব হবে।'
পুরুলিয়া ঝালদায় কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু খুন হওয়ার পর গঙ্গা দিয়ে কম জল গড়ায়নি। সিবিআই কেস হাতে নেওয়ার আগে ঝালদা থানার আইসি সঞ্জীব ঘোষকে দৌষী নয় বলেই সাব্যস্ত করেছিল রাজ্য পুলিশের গঠন করা সিট। কিন্তু কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে ইতিমধ্যেই তদন্তে নেমেছে কেন্দ্রীয় তদন্তাকারী সংস্থা সিবিআই। তারপরেই ক্রমশ চাপ বেড়েছে ঘটনায় নাম জড়ানো ব্যাক্তিদের।
আরও পড়ুন, ধৃত সত্যবানের হোটেল থেকেই কি তপন কান্দু খুনের ষড়যন্ত্র ? বিস্ফোরক তথ্যের তদন্তে সিবিআই
অপরদিকে, ঝালদাকাণ্ডে প্রত্যক্ষদর্শী নিরঞ্জলান বৈষ্ণবের রহস্যমৃত্যুতেও সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুকে একেবারে সামনে থেকে খুন হতে দেখেন নিরঞ্জন বৈষ্ণব। উল্লেখ্য, গত ১৩ মার্চ ঝালদায় খুন হয়েছিলেন তপন কান্দু। সেই সঙ্গে তাঁর সঙ্গে ছিলেন বন্ধু নিরঞ্জন। এদিকে রহস্যজনকভাবে এর পরপরই রহস্যজনকভাবে বাড়ি থেকে তারই ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। পাওয়া যায় সুইসাইড নোটও। বৃহস্পতিবার মৃত নিরঞ্জন বৈষ্ণবের বাড়িতেও যান তদন্তকারীর দল। গিয়ে গোটা এলাকা খতিয়ে দেখেন। নিরঞ্জনের বৌদি পবিতা বৈষ্ণব জানিয়েছেন, 'দেওয়ের মোবাইলটি ঘটনার পর থেকেই উধাও। তাতে তথ্য পাওয়া যেতে পারে। আত্মহত্যা করার ছেলে নয় নিরঞ্জন।'