শুক্রবার নববর্ষে কয়েক মিনিটের ঝড়ের তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড তুফানগঞ্জ। ক্ষতিগ্রস্থ শতাধিক বাড়ি। ভেঙেছে প্রচুর গাছ। এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন।
শুক্রবার নববর্ষে কয়েক মিনিটের ঝড়ের তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড তুফানগঞ্জ। বৃহস্পতিবার রাত থেকে বৃষ্টি শুরু হয়েছিল। তাই সকালেও বৃষ্টিই জারি থাকবে বলে সবাই আশা করে বসেছিল, কিন্তু ঝড় এসে যে কয়েকমিনিটের মধ্যেই এমন তাণ্ডব হবে তা কেউ ভাবতে পারেনি। মুহূর্তের ঝড়ে লণ্ডভণ্ড কোচবিহারের তুফানগঞ্জের ২ নং ব্লকের গ্রাম পঞ্চায়েত উত্তর রামপুর আশ্রম পাড়া। ক্ষতিগ্রস্থ শতাধিক বাড়ি। ভেঙেছে প্রচুর গাছ। এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন।
জানা গিয়েছে, এই তাণ্ডবলীলায় একজনের মৃত্যুও হয়েছে। আহত হয়েছেন অনেকেই। এই আহতদের আলিপুর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। একাধিকগাছ রাস্তার উপর পড়ে গোটা এলাকা বিভীষাকাময় হয়ে রয়েছে। এমনকী আলিপুরদুয়ারের বারোবিশা থেকে কোচবিহারের রামপুর রাজ্য সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। একাধিক বিদ্যুৎ-র খুঁটি এসে পড়েছে রাস্তায়। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধারকাজ চলছে। হাজির রয়েছে দমকলের কর্মীরাও।
আরও পড়ুন, 'আমাকে বলেছিল, ধর ওকে রেপ করব', হাঁসখালিকাণ্ডে সিবিআই-র কাছে এল ভয়াবহ তথ্য
স্থানীয় সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার রাত থেকেই কোচবিহারের তুফানগঞ্জের ২ নং ব্লকের গ্রাম পঞ্চায়েত উত্তর রামপুর আশ্রম পাড়ায় শুরু হয় বৃষ্টি। ঝোড়ো হাওয়াও ছিল। কিন্তু এমনটা যে শুরু হবে , তা কেউ ভাবেননি। নববর্ষের সকাল থেকেই ঝড়ের তাণ্ডব দেখা যায়। যার জেরে লণ্ডভণ্ড হয়ে যায় গোটা গ্রাম। প্রায় ১০০ টি বাড়ির উপরে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। হাওয়া অফিস থেকে জানানো হয়েছে, দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা দিয়েছে। যা ফলে সপ্তাহের মাঝামাঝি বিস্তীর্ন এলাকায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তাপমাত্রা কী থাকবে খুব একটা উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন নেই।শুধুমাত্র পশ্চিমের চার জেলা পুরুলিয়া বাঁকুড়া ঝাড়গাম এবং পশ্চিম মেদিনীপুরে তাপ প্রবাহের সর্তকতা। তাপমাত্রা পৌঁছাবে চল্লিশের ঘরে। এখন কোনও নতুন ওয়েদার সিস্টেম নেই। শুধুমাত্র বিহারের ওপর একটা ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে এর প্রভাব পড়বে সরাসরি উত্তরবঙ্গে। তাই উত্তরবঙ্গে বৃষ্টি হবে।
আরও পড়ুন, মাঝদুপুরে মটনকষা বা ইচ্ছে হলেই ইলিশ খান পাত পেড়ে, পয়লাবৈশাখে ডেলিভারি দেবে রাজ্য
অপরদিকে রাজ্য জুড়ে গরম বেড়েই চলেছে। তাপামাত্রার সঙ্গে আদ্রতা ব্যাটিং করছে। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, আগামী ৪-৫ দিন তাপমাত্রায় সেরকম পরিবর্তন হবে না। দক্ষিণবঙ্গে আরও বাড়বে গরম। যদিও এবার হাঁসফাঁস অস্বস্তির মাঝে মিলেছে নববর্ষের দিন থেকেই কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির পূর্বাভাস। উত্তরবঙ্গে আরও কয়েকদিন বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস। মূলত গত মাঝে সন্ধ্যের পর হাওয়া চলাচল করলেও সেটা বন্ধ হয়েছে। সকাল পেরোতেই রোদের তেজ ঠিকরে বেরোচ্ছে। কালবৈশাখীর আশায় দিন গুণছে বঙ্গবাসী। তবে কালবৈশাখী আদৌ সম্ভাবনা আছে কিনা এবিষয়ে কিছু পরিষ্কার করে বলেনি হাওয়া অফিস।