গোপনাঙ্গে হাত দেওয়ায় আত্মহত্যার চেষ্টার জের, ১২ দিন লড়াইয়ের পর ময়নাগুড়িতে নির্যাতিতার মৃত্যু

উত্তরবঙ্গের ময়নাগুড়ির ধর্মপুর এলাকায় ওই নাবালিকাকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ ওঠে স্থানীয় অজয় রাম নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে। তার জামা কাপড় ছিড়ে দেয়। তাঁর গোপনাঙ্গে হাত দেয় বলে অভিযোগ।

Web Desk - ANB | Published : Apr 25, 2022 11:51 AM IST / Updated: Apr 25 2022, 05:37 PM IST

লড়াই শেষ। টানা ১২ দিনের পর মৃত্যু হল ময়নাগুড়ির নির্যাতিতা নাবালিকা। উত্তরবঙ্গের ময়নাগুড়িতে ওই নাবালিকাকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়। অপমান ঢাকতে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় ওই নাবালিকা।গায়ে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে সে। এরপর তাঁকে আশঙ্কা জনক অবস্থায় ভর্তি করা হয়েছিল উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে। সোমবার সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। নাবালিকার মৃত্যু খবর জানিয়েছেন তাঁর বাবা। 

গোপনাঙ্গে হাত দেয় বলে অভিযোগ

উত্তরবঙ্গের ময়নাগুড়িতে ওই নাবালিকাকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়। অপমান ঢাকতে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় ওই নাবালিকা।গায়ে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করলেও শেষ অবধি প্রাণে বেঁচে যায় ওই নাবালিকা। এরপরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই নাবালিকাকে জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। উল্লেখ্য, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি উত্তরবঙ্গের ময়নাগুড়ির ধর্মপুর এলাকায় ওই নাবালিকাকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ ওঠে স্থানীয় অজয় রাম নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে। তার জামা কাপড় ছিড়ে দেয়। তাঁর গোপনাঙ্গে হাত দেয় বলে অভিযোগ। নাবালিকার চিৎকার শুনে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত। এরপর ময়নাগুড়ির থানার দ্বারস্থ হয় নির্যাতিতার পরিবার।  এই ঘটনা অভিযুক্ত সন্দেহ একজনকে গ্রেফতার করা হলেও দ্বিতীয়জন এখনও অধরা। অভিযোগ দায়েরের কয়েকদিনের মধ্যেই আদালত থেকে জামিন নেয় অভিযুক্ত। 

আরও পড়ুন, ধর্ষণের ভিডিও দেখিয়ে তরুণীকে অসংখ্যবার ধর্ষণ, শিউরে উঠেছে কোন্নগরবাসী, ধৃত ৪

আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় ওই নাবালিকা

এদিকে অভিযোগ প্রত্যাহার করতে প্রাণনাশের হমকি দেওয়া হয়েছিল নির্যাতিতাকে। সেই চাপ সহ্য করতে না পেরে শেষ অবধি আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় ওই নাবালিকা। এই ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জলপাইগুড়ির পুলিশ সুপার দেবর্ষি দত্ত। এদিকে এই ঘটনায় তৃণমূলকে কাঠগড়ায় তুলেছে পুলিশ।  রাজ্যে ফের আরও একটা মৃত্যু উদ্বেগ বাড়াল প্রশাসনের।  কিন্তু কথা হচ্ছে আর কত ধর্ষণ হবে পশ্চিমবঙ্গের বুকে, কেন এই নৃশংসঘটনাগুলিতে যবনিকা টানা যাচ্ছে না, কেন রাজ্যের অপরাধ মনষ্কদের লাগাম পড়ানো যাচ্ছে না, ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠেছে সমাজের স্তরে। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে ছাত্রী-মহিলা-গৃহবধূ একা বাইরে বের হতে রীতিমতো আতঙ্কে থাকছে। গ্রাম বাংলা, মফস্বলে শুনশান এলাকাগুলিকেই টার্গেট করছে ধর্ষণকারীরা। তবে পৈশাচিক ধর্ষণের ঘটনার হাজারো উদাহরণ রয়েছে কলকাতার বুকে। দেগঙ্গা, মালদহ, মাটিয়া, হাঁসখালি, ময়নাগুড়ি, শান্তিনিকেতন একের পর এক ধর্ষণ হয়েই চলেছে রাজ্যে। প্রায় প্রতিসপ্তাহেই একাধিক গণধর্ষণের ঘটনা উঠে আসছে। কোথাও খুনের হুমকি, কোথাও ধর্ষণের পর হত্যা, কোথাও আবার ধর্ষণের পর দেহ দাহ করা হচ্ছে। ভয়াবহ একের পর এক ঘটনা ঘটেই চলেছে পশ্চিমবঙ্গে।

আরও পড়ুন, 'আমাকে বলেছিল, ধর ওকে রেপ করব', হাঁসখালিকাণ্ডে সিবিআই-র কাছে এল ভয়াবহ তথ্য

আরও পড়ুন, যৌন সঙ্গমের পরেই কি খুন, বীরভূমের কীর্ণাহারে বিধবা মহিলার দেহ উদ্ধার

Share this article
click me!