ছোটবেলার বন্ধুকে ফিরে পাওয়া মুখের কথা নয়। তা আপনি বলবেন কেন মুখের ছবি দেওয়া আস্ত বই একটা খুলে বসে আছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, সেখানে খোঁজ করলেই তো মশাই ফিরে পাওয়া যায়। তা ঠিক, তবে সেই সুবিধা নিতে পারে না এমন মানুষও তো অনেক আছেন। অনেকেরই স্য়োশ্যাল মিডিয়ায় অ্যাকাউন্ট নেই, এমন মানুষের সংখ্যা শহরে প্রচুর। তবে এবার সেই ফেসবুকের দৌলতে নয়, এবার ৩৯ বছর পর দুই বন্ধুকে মেলাল হ্যাম রেডিও।
আরও পড়ুন, মান্থলি-সিজন টিকিটের মেয়াদ বাড়ছে, বুধবার থেকে মিলবে আরও বেশি লোকাল ট্রেনও
'দুই শৈশব বন্ধুকে মেলাতে পেরে আমরা খুশি'
যা পারল না কেউ, তা পারল হ্যাম রেডিও। ব্যারাকপুরের নোনা চন্দন পুকুরের বাসিন্দা মিসেস চন্দনা মিত্র (বোস) এর থেকে অনুরোধ আসে, তাঁর শৈশবের বন্ধু সাবিতা রায়কে খুঁজে বের করে দেওয়ার জন্য। এমনটাই কথোপকথন হয়, ত্রিপুরার এইচএএম রেডিও ক্লাব এবং পশ্চিমবঙ্গ রেডিও ক্লাবে। এরপরেই খবর আসে,'আমরা তার বন্ধু উদয়পুর, জেলা গোমতী, জগন্নাথ দিঘি, পশ্চিম পাশে পেয়েছি। মিসেস সাবিত্রা এখন ত্রিপুরা সরকারের পল্লী উন্নয়ন বিভাগের একান্ত সচিব হিসাবে কর্মরত আছেন। আমরা ৩৯ বছর পরে দু'জন শৈশব বন্ধুকে পুনরায় একত্রিত করতে পেরে খুশি, যাদের কোনও এফবি অ্যাকাউন্ট নেই।'
আরও পড়ুন, 'ভাত-ডাল-পটলভাজা খেয়ে ভাট বকলেন', শাহ-সফর ঘিরে বিস্ফোরক নুসরত
আলো হয়ে জ্বলে থাকে
ব্যাস তারপর আর কি, মিরাক্যল। কিন্তু কথা হল এই দুই বন্ধু, যারা একদমই সোশ্যাল মিডিয়ায় অভ্যস্ত নয়। এমন মানুষকে প্রায়শই বাড়িতে ধমক খেতে হয়। যে কিছুই জানে না, বোঝে না বলে। এদিকে এই জেনারেশনের ছেলে-মেয়েদের সোশ্যাল মিডিয়ায় হাজারে হাজারে ফেসবুক ফ্রেন্ড। তাঁদের সময় কোথায়। তবে দারুন মনখারাপের দিনে এই আন'স্মার্ট' মানুষগুলিই কিন্তু মন পড়তে জানে। ভালবেসে কাছে টেনে নেয় সবার আগে। আর তখন সোশ্যাল মিডিয়ার বন্ধুগুলি শুধুই সবুজ আলো হয়ে জ্বলে থাকে। ৩৯ বছর বাদেও এমন শিকড়ের টানে ফিরে আসে কোথায়।