অপহরণের পর টানা ১১দিন মহিলা ও তাঁর ২ মেয়েকে নির্যাতন, আদালতের দ্বারস্থ নির্যাতিতা

প্রকাশ্য রাস্তা থেকে এক মহিলা ও তাঁর দুই মেয়েকে অপহরণের অভিযোগ উঠল প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে। টানা ১১ দিন ঘরে আটকে রেখে তাঁদের উপর যৌন ও শারীরিক নির্যাতন চালানো হয় বলে অভিযোগ। পরে মোটা টাকা দিয়ে মুক্তি পান তাঁরা।

Asianet News Bangla | Published : Jul 13, 2021 6:35 AM IST / Updated: Jul 13 2021, 12:12 PM IST

প্রকাশ্য রাস্তা থেকে এক মহিলা ও তাঁর দুই মেয়েকে অপহরণের অভিযোগ উঠল প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে। টানা ১১ দিন ঘরে আটকে রেখে তাঁদের উপর মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন চালানো হয় বলে অভিযোগ। পরে মোটা টাকা দিয়ে মুক্তি পান তাঁরা। মুক্তি পাওয়ার পর থানায় অভিযোগ জানাতে যান ওই মহিলা। কিন্তু, তাঁর অভিযোগ নিতে অস্বীকার করে মালদার মোথাবাড়ি থানার পুলিশ। পাঠানো হয় ইংরেজবাজারে। ইংরেজবাজার থানাও বিষয়টি নিয়ে তুমুল জলঘোলা করে। অবশেষে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন ওই মহিলা। আদালতের নির্দেশে ইংরেজবাজার থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তারপরই পলাতক অভিযুক্ত। 

আরও পড়ুন- আসানসোল পুলিশের জালে ৭ রহস্যময় যুবক, পিছনে জামতাড়া গ্যাং না অন্য কিছু, তদন্তে পুলিশ
             
সন্তানদের নিয়ে স্বামীর সঙ্গে মুম্বইয়ের থানেতে ছিলেন ওই মহিলা। সেখানে তাঁর স্বামী কন্ট্রাক্টরের কাজ করতেন। স্বামীর পৈত্রিক ভিটে মালদার মোথাবাড়িতে। সেখানে ছেলের নামে একটি জমি কিনেছিলেন তাঁর স্বামী। এদিকে গত বছর জুন মাসে তাঁর স্বামীর মৃত্যু হয়। তাঁদের টাকার প্রয়োজন ছিল। সেই সময় মোথাবাড়ির বাসিন্দা অবিরাম মণ্ডলের থেকে বেশ কিছু টাকা ধার নেন। এরপর ওই জমি বেচে টাকা মিটিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু, ছেলে নাবালক হওয়ায় আদালতের অনুমতি নিয়ে জমি বিক্রি করা প্রয়োজন ছিল। তার জন্যই তিনি মালদায় গিয়েছিলেন। 

আরও পড়ুন- 'দাদা' বলে ডাক, তারপরই সব শেষ, মঙ্গলকোটে খুন তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি

 

তাঁর অভিযোগ,  ১১ মে অবিরাম মণ্ডল দলবল নিয়ে তাঁকে ও তাঁর দুই মেয়েকে মালদা শহরের রথবাড়ি মোড় থেকে অপহরণ করে। তাঁদের মোথাবাড়ি এলাকায় একটি ঘরে আটকে রেখে সাড়ে চার লক্ষ টাকা দাবি করে। তার সঙ্গে চলতে থাকে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন। টানা ১১ দিন পর এক আত্মীয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে কোনরকমে কিছু টাকা দিয়ে সেখান থেকে মুক্তি পান। 

আরও পড়ুন- শিক্ষামন্ত্রীকে সোশ্যাল মিডিয়ায় কুরুচিকর মন্তব্যের অভিযোগ, গ্রেফতার ব্যবসায়ী

মুক্তির পর পুলিশে অভিযোগ জানাতে গেলেও সমস্যা তৈরি হয়। তাঁর অভিযোগ, মোথাবাড়ি থানায় গেলে তারা বলে ইংরেজবাজার থানায় যেতে। কিন্তু ইংরেজবাজার থানা বিষয়টি নিয়ে জলঘোলা করতে থাকে। এদিকে, বাকি টাকার জন্য অবিরাম লাগাতার হুমকি দিয়ে যাচ্ছিল। তাই বাধ্য হয়ে তিনি মালদা জেলা আদালতের দ্বারস্থ হন। গোটা বিষয়টি নিয়ে জেলা আদালত ইংরেজবাজার থানাকে এফআইআর দায়েরের পর ঘটনার তদন্ত করে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। এদিকে তারপর থেকেই পলাতক অভিযুক্ত অবিরাম ও তার সাগরেদরা। 

Share this article
click me!