Corruption: হর্টিকালচার প্রকল্পে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে, কটাক্ষ BJP-র

একশো দিনের হর্টিকালচার প্রকল্পের অধীনে কলা চাষে লক্ষ লক্ষ টাকার দূর্নীতি করার অভিযোগ উঠল তৃণমূল পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে।ইংরেজদের মতো সবটাই লুট করা হচ্ছে বলে কটাক্ষ ছুড়েছেন বিজেপির মালদা জেলা যুব মোর্চার সহসভাপতি সুমিত সরকার।

Asianet News Bangla | Published : Sep 18, 2021 4:12 AM IST / Updated: Sep 18 2021, 09:47 AM IST


মলদহ-তনুজ জৈন : একশো দিনের হর্টিকালচার প্রকল্পের অধীনে কলা চাষে লক্ষ লক্ষ টাকার দূর্নীতি করার অভিযোগ উঠল তৃণমূল পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে।মহকুমা শাসকের দপ্তরে লিখিত ভাবে অভিযোগ জানিয়েছে পঞ্চায়েতের বিরোধী দলনেতা। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই,'ইংরেজদের মতো সবটাই লুঠ করা হচ্ছে', বলে কটাক্ষ ছুড়েছেন বিজেপির মালদা জেলা যুব মোর্চার সহসভাপতি সুমিত সরকার।

আরও পড়ুন, 'রাহুল নন, মোদীর বিকল্প মুখ মমতাই', 'জাগোবাংলা'-প্রতিবেদন নিয়ে বিস্ফোরক অধীর

মলদহের চাঁচল-১ নং ব্লকের খরবা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার সাহাবাজপুর সংসদের ঘটনায় চাঞ্চল‍্য ছড়িয়েছে।খরবা গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরোধী দলনেতা মুরতুজ আলম চাঁচলের মহকুমা শাসক দপ্তরে লিখিত ভাবে অভিযোগ জানিয়েছেন।অভিযোগ পেয়ে তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন মহকুমা শাসক কল্লোল রায়।চাঁচল-১ নং ব্লকের বিডিও-র সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে জানান তিনি। অভিযোগ প্রমানিত হলে কড়া পদক্ষেপ করা হবে। প্রশাসন ও পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গেছে,উদ‍্যানপালন বিভাগে কলাচাষ করে চাষিরা যাতে স্বনির্ভর হন,সেজন‍্য এমজিএনআরইজিস প্রকল্পে ২০২০-২১ অর্থ বর্ষে প্রায়  ৩ লক্ষ ২৭ হাজার ৮২ টাকা করে  হার্টিকালচারে বরাদ্দ হয়েছিল।খরবা পঞ্চায়েত এলাকার বিভিন্ন সংসদের চাষিরা সেই সুযোগও পায়।পরিপ্রেক্ষিতে ওই এলাকার  সাহাবাজপুর সংসদেও কতিপয় চাষি হার্টিকালচার প্রকল্পের আওতাধীন হন।

আরও পড়ুন, 'উত্তর প্রদেশে গিয়ে উপদেশ দিন', শিশুদের জ্বর নিয়ে পরামর্শ দিতে গিয়ে ফিরহাদের নিশানায় রাজ্যপাল

তবে অভিযোগ তোলা হচ্ছে , প্রধান ও উপপ্রধান  ওই এলাকার ১১ জন উপভোক্তার  প্রাপ‍্য অর্থ না দিয়ে তা আত্মসাৎ করা হয়েছে।পঞ্চায়েত কর্মীদের মদতেই প্রকল্পে টাকা নয়-ছই হয়েছে বলে অভিযোগ বিরোধী দলনেতা মুরতুজ আলমের। তিনি বলেন,এলাকায় হার্টিকালচার প্রকল্পের কলাচাষ হলেও উপভোক্তারা তাদের প্রাপ‍্য পায়নি।জমিতে বর্তমানে কলা গাছের দেখা নেই।বিকল্প ফসল চাষ বেছে নিয়েছে কৃষকরা।প্রাপ্র‍্য পেলেও তা হাতেগোনা।পঞ্চায়েতে বিষয়টি জানতে চাওয়া হলে গুরুত্ব পাওয়া যায় না।ঘটনা তদন্তের দাবি জানিয়েছি প্রশাসনকে ।তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন চাঁচলের এসডিও। গোটা ঘটনা ভিত্তিহীন, বলে দাবি করেছে খরবা গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সইমুদ্দিন। তিনি বলেন,'নিয়ম মেনেই হার্টিকালচার প্রকল্পের কাজ হয়েছে।চাষিদের সার দেওয়া হয়েছে।উপভোক্তাদের একাউন্টে টাকা ঢোকানো হচ্ছে।তবে লকডাউনের পরে কিছুটা সমস‍্যা হয়েছিল তাই হইতো পায়নি।তবে কেউ প্রাপ‍্য থেকে বঞ্চিত হবে না। পঞ্চায়েত সবার,সবাইকেই গুরুত্ব দেওয়া হয়', বলে আশ্বাস দিয়েছেন উপপ্রধান।  

আরও পড়ুন, 'পুরুলিয়ায় আক্রান্ত ২৩৭ শিশু, আর উনি এখন নির্বাচনে ব্যস্ত', মমতাকে তোপ শুভেন্দুর
সাহাবাজপুরের উপভোক্তা গোলাম এজদানি জানান,'দশ কাঠা জমিতে কলা চাষ করেছিলাম।গাছে দেওয়ার জন‍্য সার পেয়েছিলাম।তবে প্রাপ‍্য পেয়েছি মাত্র হাতেগোনা।জমিতে বেড়া,নিড়ানি ও শ্রমিকের খরচ রয়েছে।সেই টাকাতে হয়নি। আরও টাকা পাওয়ার কথা।কিন্তু এখনও তা পাচ্ছি না। তৃণমূলের গ্রাম পঞ্চায়েতগুলি দূর্নীতির আখড়া হয়ে উঠেছে।ইংরেজদের মতো সবটাই লুট করা হচ্ছে বলে কটাক্ষ ছুড়েছেন বিজেপির মালদা জেলা যুব মোর্চার সহসভাপতি সুমিত সরকার।পাল্টা জবাবে মালদা জেলা তৃণমূল কমিটির সাধারণ সম্পাদক সামিউল ইসলাম বলেন,'তৃণমূল সরকার আসার পরে এলাকায় অনেক উন্নয়ন হয়েছে।উন্নয়ন দেখে সহ‍্য হয়না বিরোধীদের।পঞ্চায়েতে কি হচ্ছে সেটা দেখা হবে।তবে বিজেপির কোনো অস্তিত্ব নেই চাঁচল এলাকায়।'

  আরও পড়ুন, ভাইরাসের ভয় নেই তেমন এখানে, ঘুরে আসুন ভুটানে  

আরও দেখুন, মাছ ধরতে ভালবাসেন, বেরিয়ে পড়ুন কলকাতার কাছেই এই ঠিকানায়  

আরও দেখুন, বৃষ্টিতে বিরিয়ানি থেকে তন্দুরি, রইল কলকাতার সেরা খাবারের ঠিকানার হদিশ  

আরও দেখুন, কলকাতার কাছেই সেরা ৫ ঘুরতে যাওয়ার জায়গা, থাকল ছবি সহ ঠিকানা  

 

Share this article
click me!