লতা মঙ্গেশকরের মৃত্যুর পর হিন্দু শাস্ত্র মতে পরলৌকিক ক্রিয়া করলেন হাওড়ার অমর বিলুই।
লতা মঙ্গেশকর, সেলেব থেকে শুরু সাধারণ মানুষ, বারে বারে বলেছেন, তিনি ঠিক যেন ঘরের মানুষ, কাছের মানুষ। এবার তার আরও এক প্রমাণ মিলল জগতবল্লভপুরে। এই অঞ্চলের মাজুর বাসিন্দা অমর বিলুই (Amar Bilui) , বয়স ৫৫ বছর। লতা মঙ্গেশকরের মৃত্যুর (Lata Mangeshkar Death) পর হিন্দু শাস্ত্র মতে পরলৌকিক ক্রিয়া করলেন হাওড়ার তিনি। জগৎবল্লভপুরের মাজু গ্রামে একটি ছোটো টেলারিং শপের মালিক তিনি। বছর পঞ্চান্নর অমর বিলুয়ের ছোটবেলা থেকেই গান (Lata Mangeshkar Song) শুনতে ভালো লাগত। বড় হয়ে দর্জির দোকান করার পরে সারাদিন দোকানে বাজাতেন লতা মঙ্গেশকরের গান। মাজুর অপর এক বাসিন্দা অশোক সিংহ বলেন, অমরবাবু দোকানে যেখানে বসে কাজ করতেন সেখানেই নিজের মাথার ওপরে লাগিয়েছিলেন সুর-ম্রাজ্ঞী লতা মঙ্গেশকারের (lata Mangeshkar Photo) একটি ছবি। ছোটবেলা থেকেই তারা দোকানে শুনতেন লতা মঙ্গেশকরের গান। কয়েক বছর আগে মাতৃ বিয়োগ হয় অমর বাবুর।
ভক্তিতে শ্রদ্ধায় লতা মঙ্গেশকারকেই মায়ের সমান আসনে বসান তিনি। অমর বিলুই জানান, লতা মঙ্গেশকারের মৃত্যুর পর সাত দিনের অশৌচ পালন করেছেন তিনি, মেনেছেন সকল নিয়ম। বৃহস্পতিবার ঘাটের কাজ করে শুক্রবার বিধিমতে করবেন শ্রাদ্ধানুষ্ঠান। এমনকি তারপরের দিন করবেন নিয়মভঙ্গের অনুষ্ঠানও। সেদিন অতিথি আপ্যায়নের ব্যাবস্থাও করেছেন। নিজের বাড়িতেই প্যান্ডেল করেছেন। অতিথিদের ইতিমধ্যেই আমন্ত্রন জানানো হয়েছে। অমরবাবু এদিন আরো জানান, জন্মদাত্রী মায়ের বেলায় যেমনভাবে পারলৌকিক কাজকর্ম করেছিলেন, এবারে মানস মায়ের বেলায়ও সেইভাবেই হবিষ্যান্ন ভোজন করেছেন। এইকদিন বাড়িতে সকাল থেকেই মাইকে বাজছে সুর-সম্রাজী লতা মঙ্গেশকারের গান।
আরও পড়ুন- 'চক্রান্ত' করে চিকিৎসককে পাঠানো হচ্ছে সেফহোমে, বিএমওএইচ-কে ঘিরে বিক্ষোভ স্থানীয়দের
প্রসঙ্গত, ৬ ফেব্রুয়ারি সকলকে কাঁদিয়ে চির নিদ্রায় লতা মঙ্গেশকর। রবিবার গোটা দেশ জুড়ে নেমে এসেছিল শোকের ছায়া। সেদিন সকালেই প্রয়াত হন সুর-সম্রাজ্ঞী লতা মঙ্গেশকর (Lata Mangeshkar), চোখের জলে এদিন ভেসেছে গোটা বিশ্বের ভক্তমহল। ভারতের জন্য এদিনটা ছিল এক অভিশাপ, তিন প্রজন্ম ধরে যে মানুষের কণ্ঠস্বর রাজত্ব করেছে, তিনি চির নির্দ্রায়, সকাল থেকেই বিটাউনের (Bollywood News) ব্যস্ততা ছিল তুঙ্গে। শেষবার শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করার সুযোগ ছাড়তে নারাজ ছিলেন সকলেই। প্রতিটা মানুষের জীবনেই এদিন ছিল শোকের ছায়া। প্রতিটা পরিবারেই ছিল মর খারাপের সুর। তাঁর প্রয়াণে অর্ধদিবস ছুটিও ঘোষণা করেছিল রাজ্য সরকার।