সংক্ষিপ্ত
দীর্ঘদিন থেকে ধুঁকছিল শীতলগ্রাম প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র। অবশেষে মাত্র তিন সপ্তাহ আগেই ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিলাঞ্জনা সাহা নামে এক মহিলা হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক কাজে যোগদান করেন। কিন্তু, খুব কম দিনের মধ্যেই পরিষেবা দিয়ে মানুষের মন জয় করে নেন তিনি।
হোমিওপ্যাথি (Homeopathy) চিকিৎসকের (Doctor) সেফহোমে (Safe Home Duty) ডিউটি দেওয়ার প্রতিবাদে বিএমওএইচকে (BMOH) ঘিরে ধরে বিক্ষোভ (Agitation) দেখালেন গ্রামবাসীরা। পরে পুলিশের আশ্বাসে গ্রামবাসীরা বিএমওএইচকে ঘেরাও মুক্ত করেন। ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের (Birbhum) নলহাটি ২ নম্বর ব্লকের শীতলগ্রাম প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে (Shitalgram Primary Healthcare Center)।
দীর্ঘদিন থেকে ধুঁকছিল শীতলগ্রাম প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র। অবশেষে মাত্র তিন সপ্তাহ আগেই ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিলাঞ্জনা সাহা নামে এক মহিলা হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক কাজে যোগদান করেন। কিন্তু, খুব কম দিনের মধ্যেই পরিষেবা দিয়ে মানুষের মন জয় করে নেন তিনি। আর তাঁর পরিষেবা পেয়ে বেশি খুশি হন স্থানীয় বাসিন্দারা। তবে এবার তাঁর ডিউটি দেওয়া হয়েছে সেফহোমে। শীতলগ্রাম স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আর থাকতে পারবেন না তিনি।
এরকম একজন জনদরদি চিকিৎসককে হঠাৎ করে সেফ হোমে ডিউটিতে পাঠানোর প্রতিবাদে আন্দোলনে নামেন গ্রামবাসীরা। বুধবার ওই চিকিৎসক অসুস্থ হয়ে পরেন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। বৃহস্পতিবার নলহাটি ২ নম্বর ব্লকের বিএমওএইচ সুরজিত কর্মকার শীতলগ্রাম স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গেলে গ্রামবাসীরা তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। খবর পেয়ে সেখানে যায় নলহাটি থানার পুলিশ (Nolhati Police Station)। তারা ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে। এরপর ওই চিকিৎসককে বদলি করা হবে না বলে আশ্বাস দেয় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ। আর জেরেই বিক্ষোভ তুলে নেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
আরও পড়ুন- 'দুয়ারে জলাশয়', মালদহে ভোট বয়কটের হুঁশিয়ারি দিয়ে কটাক্ষ বিজেপির
এই ঘটনা প্রসঙ্গে গ্রামের বাসিন্দা আশিস সিংহ ও অধীর মণ্ডলরা বলেন, “ওই চিকিৎসক কাজে যোগদান করেই মানুষের মন জয় করে নিয়েছেন। হাসপাতালে ওষুধ ছিল না। নিজের পয়সা খরচ করে ওষুধ কিনেছেন। জলের রিজার্ভার অপরিষ্কার ছিল। সেটাও নিজে পরিষ্কার করিয়েছেন। তারপরও চক্রান্ত করে তাঁকে সেফ হোমে ডিউটি করতে পাঠানো হচ্ছে। ওই চিকিৎসকের আটদিনের হাজিরা কেটে দেওয়া হয়েছে। তারই প্রতিবাদ করেছিলাম আমরা।”
আরও পড়ুন, 'পশ্চিমবঙ্গ গণতন্ত্রের গ্যাস চেম্বার-আক্রান্ত বিজেপি বিধায়ক মিহির', বিস্ফোরক শুভেন্দু
আর এই ঘটনা প্রসঙ্গে বিএমওএইচ সুরজিৎ কর্মকার বলেন, “প্রত্যেককে সেফ হোমে ডিউটি করতে হবে। সেই মতো ওনাকেও ডিউটি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, উনি যাননি। তাই ওনার আটদিনের ডিউটি কাটা হয়েছিল। আমিও চাইব কেউ ভালো পরিষেবা দিয়ে থাকলে তিনিই থাকবেন। কিন্তু এদিন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গিয়ে আমি ওনাকে দেখতে পায়নি।” এদিকে এই ঘটনার প্রেক্ষিতে যোগাযোগ করা হয়েছিল চিকিৎসক নিলাঞ্জনা সাহার সঙ্গে। যদিও তিনি ফোন না ধরায় তাঁর কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।