নান্দাবাজার এলাকার বাসিন্দা প্যাটেল পরিবার। বাড়ি লাগোয়া তাঁদের করাতকল। এটিই তাঁদের পারিবারিক ব্যবসা।
ধনেখালির পর এবার সিঙ্গুর(Singur)। ফের হাড়হিম করা খুনের ঘটনা ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়াল হুগলী(hooghly) জেলায়। এবারের ঘটনাটি ঘটেছে সিঙ্গুরের নান্দাবাজার এলাকায়। পারিবারিক অশান্তির জেরে একই পরিবারের চারজনকে কুপিয়ে খুন করার চেষ্টা হয় বলে অভিযোগ। প্রথমে মারা যান দু-জন (Two persons of a family allegedly murdered in Singur) । পরবর্তীতে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়েও মারা যান আরও দুজন। সিঙ্গুরের নান্দাবাজার এলাকার বাসিন্দা প্যাটেল পরিবার। বাড়ি লাগোয়া তাঁদের করাতকল। এটিই তাঁদের পারিবারিক ব্যবসা। বৃহস্পতিবার সাতসকালে এই বাড়ি থেকেই চার সদস্যকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।
পুলিশ সূত্রে খবর, আজ প্যাটেলদের বাড়িতে যান আত্মীয় যোগেশ ধাওয়ানী। সেখানে তাঁদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। তখনই রাগের মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা করেন যোগেশ। পারিবারিক শত্রুতা ও আর্থিক বিবাদের কারণেই খুন বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান পুলিশের। এদিকে ঘটনার পর থেকেই পলাতক যোগেশ। ইতিমধ্যেই তাঁর খোঁজে জোরদার তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। ঘটনা প্রসঙ্গে হুগলীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শিবপ্রসাদ পাত্র বলেন, "প্রাথমিক তদন্তে মনে হচ্ছে ব্যবসা বা সম্পত্তিগত বিষয়ে এই খুন করা হয়েছে৷ পরিকল্পনা করে নয়, সাময়িক উত্তেজনার বশে এই ঘটনা ঘটেছে বলে অনুমান।"
আরও পড়ুন-
পুলিশ আরও জানাচ্ছে আজ প্যাটেলদের বাড়িতে যখন আত্মীয় যোগেশ ধাওয়ানী যান তখন তাদের তাঁদের মধ্যে বিস্তর কথা কাটাকাটি হয়। বিগত কয়েকদিন থেকেই চলছিল ঝামেলা। কিন্তু আজ তা চরমে ওঠে। তখনই রাগের মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা করেন বসেন যোগেশ। চারজনকে কুপিয়ে খুন করার চেষ্টা করেন যোগেশ। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় দীনেশ প্যাটেল (৫০) এবং তাঁর স্ত্রী অনসূয়া প্যাটেলের (৪৫)। অন্যদিকে বাবা মাভজি প্যাটেল ও দীনেশের ছেলে ভাবিক প্যাটেল হাসাপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়লেও শেষ রক্ষা হয়নি।
আরও পড়ুন-
প্রথমে আহতদের উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় সিঙ্গুর গ্রামীণ হাসপাতালে। পরে দীনেশের বাবা এবং ছেলেকে স্থানান্তরিত করা হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়েন সকলেই। এদিকে ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ পুলিশের হাতে এসেছে। কয়েকজনকে আটক করে চলছে জিজ্ঞাসাবাদ। এদিকে সিঙ্গুরের দীর্ঘদিনের বাসিন্দা প্যাটেল পরিবার। কিন্তু তাদের পরিবারের আচমকা এই পরিণতিতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে গোটা এলাকাতেই। অন্যদিকে অন্যান্য আত্মীয়রাও কার্যত হতভম্ভ হয়ে পড়েছেন এই অকাল মৃত্যু। তবে যোগেশের খোঁজে ইতিমধ্যেই জোরদার তল্লাশি অভিযান শুরু করে দিয়েছে পুলিশ।