হাওড়া থেকে আলাদা বালি পৌরসভা, পুরভোটের দোরগড়ায় প্রস্তাব পাশ বিধানসভায়। বালি পৌরসভা আলাদা হলে সাধারণ মানুষের অনেক সমস্যা কমবে, বার্তা চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের।
হাওড়া থেকে আলাদা বালি পৌরসভা (Bally Municipality)। উল্লেখ্য,১৯ ডিসেম্বরই পুরভোট (Municipal Polls) কলকাতা-হাওড়ায়। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের প্রস্তাবে সায় দিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন (West Bengal Election Commission)। আর এহেন মুহূর্তে পুরভোটের দোরগড়ায় হাওড়া -বালি পৃথক হওয়ার প্রস্তাব পাশ বিধানসভায়।
চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য ( Chandrima Bhattacharya) জানিয়েছেন, পৌরসভা ইলেকশনের ঠিক মুখেই রাজ্যের হাওড়া পৌরসভাকে ভেঙে হাওড়া এবং বালি দুটোকে আলাদা করে দেওয়া হয়েছে। যদিও জানুয়ারি মাসে ক্যাবিনেটে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। এবার ১৬৯-এর প্রস্তাবের মাধ্যমে পাশ হল বিধানসভায় বালি পুরসভা আলাদা হয়ে গেল। আগে আলাদা পুরসভা ছিল, পরিকাঠামো আছে, সংযুক্তি করনের ২০১৫ তে সংযুক্তিকরন হয়েছিল। পরিষেবা দেওয়ার জন্য আবার আলাদা করা হল।' তিনি আরও বলেছেন, 'দীর্ঘদিন ধরেই ওখানকার মানুষ তাঁদের কাছে আবেদন করছিলেন। বিভিন্ন কাজে অসুবিধা হচ্ছিল। বালির ভৌগলিক কারণও এর অন্যতম কারণ। সামান্য কাজের জন্য বালির মানুষকে হাওড়ায় ছুটতে হয়। বালি পৌরসভা আলাদা হলে সাধারণ মানুষের অনেক সমস্যা কমবে। তাই এই সিদ্ধান্ত নিতে হল। এই প্রস্তাবের পক্ষে বলেন কান্দির বিধায়ক অপূর্ব সরকার এবং বালি বিধায়ক চিকিৎসক রাণা চট্টোপাধ্যায়। তারপরেই বিরোধীশূন্য বিধানসভায় প্রস্তাবটি ধ্বনি ভোটে পাশ হয়ে যায়।'
যদিও প্রস্তাব পাশ হলেও বিষয়টি থেমে থাকছে না। বিষয়টিতে আইনি বৈধতা পেতে আগামী ১৭ নভেম্বর বিধানসভার অধিবেশনে দ্য হাওড়া মিউনিসিপল কর্পোরেশন বিল ২০২১ আনা হবে। ওইদিন বিলটি আলোচনার পর পাশ হবে। বালি বিধায়ক রাণা চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, স্থানীয় মানুষের দাবি ছিল পৌরসভার কাজ স্থানীয়ভাবেই হোক। হাওড়া পৌরসভা অনেকদূর ওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দাদের অসুবিধা হচ্ছিল। কিন্তু নতুন করে সরকার বালি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ায় আমরা বালি বাসিন্দা হিসেবে খুশি। এখন হাওড়া পৌরনিগমে মোট ৬৬ টি ওয়ার্ড আছে। আলাদা হওয়ার পর বালি পৌরসভায় থাকবে ১৬ টি ওয়ার্ড। আর হাওড়া পৌরনিগমের সঙ্গে থাকছে ৫০ টি ওয়ার্ড। সরকারের মতে এতে দুই জায়গাতেই পরিষেবার ক্ষেত্রে সুবিধা হবে। প্রসঙ্গত, রাজ্য নির্বাচন কমিশনের এক শীর্ষ কর্তা জানিয়েছেন, ২১ নভেম্বর ভোটের নির্ঘন্ট ঘোষণার সঙ্গে গঙ্গার দুই দিকের শহরেই এবং সরকারি প্রশাসনে নির্বাচনী বিধিনিষেধ কঠোরভাবে চালু হয়ে যাবে।কমিশন সূত্রের খবর, ২৫ নভেম্বর কমিশনের তরফে বিজ্ঞপ্তি পরেই প্রার্থীদের মনোনয়ন জমার কাজ শুরু হয়ে যাবে। দুই পুরসভাতেই ২ ডিসেম্বর মনোনয়ন জমার শেষ দিন। মনোনয়ন স্কুটিনি হবে ৩ ডিসেম্বর। এবং প্রত্যাহারের শেষ দিন ৪ ডিসেম্বর।
আরও দেখুন, বিরিয়ানি থেকে তন্দুরি, রইল কলকাতার সেরা খাবারের ঠিকানার হদিশ
আরও দেখুন, কলকাতার কাছেই সেরা ৫ ঘুরতে যাওয়ার জায়গা, থাকল ছবি সহ ঠিকানা
আরও দেখুন, মাছ ধরতে ভালবাসেন, বেরিয়ে পড়ুন কলকাতার কাছেই এই ঠিকানায়
আরও পড়ুন, ভাইরাসের ভয় নেই তেমন এখানে, ঘুরে আসুন ভুটানে