সংক্ষিপ্ত
পুরসভার নির্বাচনকে পাখির চোখ করে আগাম প্রচারে ঘাস ফুল শিবিরের প্রমিলা বাহিনী। এদিকে, 'ভোটের আগেই মানুষের সঙ্গে জনযোগ বাড়িয়ে ভোট ব্যাংক ফেরাতে মরিয়া তৃনমূল। ভয় পেয়ে গেছে তৃণমূল', বলে কটাক্ষ বিজেপির ।
মাস পেরোলেই সামনেই (Municipal Polls) পুরসভার নির্বাচন। সেই নির্বাচনের দিনক্ষন ঘোষণা না হলেও এই নির্বাচনকে পাখির চোখ করে আগাম প্রচারে ঘাস ফুল শিবিরের প্রমিলা বাহিনী। এদিকে, 'ভোটের আগেই মানুষের সঙ্গে জনযোগ বাড়িয়ে ভোট ব্যাংক ফেরাতে মরিয়া তৃনমূল। ভয় পেয়ে গেছে তৃণমূল(TMC)', বলে কটাক্ষ বিজেপির (BJP)।
লোকসভা ও বিধানসভার নিরিখে বাঁকুড়া পুরসভার একাধিক ওয়ার্ডে পিছিয়ে রয়েছে তৃনমূল। একাধিক ওয়ার্ডের ভোট ব্যাংক হারিয়ে সেই হারানো ভোট ব্যাংক পুনঃরুদ্ধারে আগাম আসরে নেমেছে তৃনমূল নেতৃত্ব। প্রসঙ্গত ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের নিরিখে বাঁকুড়া পুরসভা এলাকায় একাধিক ওয়ার্ডে পিছিয়ে রয়েছে তৃনমূল। এই পুরসভার ১৩ নং ওয়ার্ডে প্রায় ৯০০ ভোটে পিছিয়ে রয়েছে তৃণমূল। হারানো ভোট ব্যংক ফিরিয়ে এই ওয়ার্ড নিজেদের দখলে রাখতে কোমর বেধে আগাম আসরে নেমে পড়ল তৃনমূল। তৃনমূল কংগ্রেসের মহিলা সভানেত্রীর নেতৃত্বে মহিলা কর্মী ও সমর্থকরা বাঁকুড়া পুরসভার ১৩ নং ওয়ার্ডের শ্যামডাঙ্গা এলাকায় বাড়ি বাড়ি ঘুরে জোরদার জনসংযোগ কর্মসুচী সারলেন। মানুষের দরজায় গিয়ে পারিবারিক খোঁজ নেওয়ার পাশাপাশি সরকারী প্রকল্পের নানান পরিষেবা বিষয়ে খোজ নিলেন তৃনমূলের প্রমিলা বাহিনী। রাজ্য সরকারের লক্ষী ভান্ডার প্রকল্পের টাকা এলাকায় মহিলারা পাচ্ছেন কিনা সেও খবর নিতে দেখা গেল কর্মীদের। এলাকার মানুষকে মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের পাশে থাকার বার্তা দিলেন তৃণমূলের মহিলা নেতৃত্ব।
বিজেপি মহিলা নেত্রী অনুসূয়া পাঠক বলেন, ২০১৯ লোকসভা ও ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে বাঁকুড়া পুরসভার মানুষ যে ভাবে দুহাত ভরে বীজেপিকে আশীর্বাদ করেছে পুরসভা নির্বাচনেও ঠিক একই ভাবে বিভিন্ন ওয়ার্ডের মানুষ বিজেপির পাশে থাকবেন আশাবাদী বিজেপি নেতৃত্ব। এই নির্বাচন গুলির ফলাফলে ভয় পেয়ে গেছে তৃণমূল তাই তারা আসরে নেমেছে। উল্লেখ্য, ১৯ ডিসেম্বরই পুরভোট কলকাতা-হাওড়ায়। রাজ্য আগেই আবেদন জানিয়েছিল যে, কলকাতার ১৪৪ টি এবং হাওড়ার ৫০ টি ওয়ার্ডে ভোটগ্রহন হবে ১৯ ডিসেম্বর, রবিবার। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের প্রস্তাবে সায় দিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন।কমিশন সূত্রের খবর, ১২ নভেম্বর কলকাতা ও হাওড়ায় নির্বাচনী আধিকারিক এবং পুলিশের সঙ্গে একটি বিশেষ বৈঠক ডাকা হয়েছে।রাজ্য নির্বাচন কমিশনের এক শীর্ষ কর্তা জানিয়েছেন, ২১ নভেম্বর ভোটের নির্ঘন্ট ঘোষণার সঙ্গে গঙ্গার দুই দিকের শহরেই এবং সরকারি প্রশাসনে নির্বাচনী বিধিনিষেধ কঠোরভাবে চালু হয়ে যাবে।কমিশন সূত্রের খবর, ২৫ নভেম্বর কমিশনের তরফে বিজ্ঞপ্তি পরেই প্রার্থীদের মনোনয়ন জমার কাজ শুরু হয়ে যাবে। দুই পুরসভাতেই ২ ডিসেম্বর মনোনয়ন জমার শেষ দিন। মনোনয়ন স্কুটিনি হবে ৩ ডিসেম্বর। এবং প্রত্যাহারের শেষ দিন ৪ ডিসেম্বর।
আরও দেখুন, বিরিয়ানি থেকে তন্দুরি, রইল কলকাতার সেরা খাবারের ঠিকানার হদিশ
আরও দেখুন, কলকাতার কাছেই সেরা ৫ ঘুরতে যাওয়ার জায়গা, থাকল ছবি সহ ঠিকানা
আরও দেখুন, মাছ ধরতে ভালবাসেন, বেরিয়ে পড়ুন কলকাতার কাছেই এই ঠিকানায়
আরও পড়ুন, ভাইরাসের ভয় নেই তেমন এখানে, ঘুরে আসুন ভুটানে