শনিবার দীর্ঘ ৩৭ দিন পর গোরুপাচার মামলার শুনানিতে আদালতে পেশ করা হয় অনুব্রত মণ্ডলকে। এদিন আসানসোল সিবিআই আদালতে হাজির হন তৃণমূলের এর দাপুটে নেতা।
এবারেও মিলল না জামিন, ফের ১৪ দিনের জেল হেফাজত বীরভূমের দাপুটে তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলের। শনিবার গোরুপাচার মামলার শুনানির জন্য আসানসোল সিবিআই আদালতে পেশ করা হয় তাঁকে। কিন্তু এদিনও মঞ্জুর হল না কেষ্টর জামিন। তবে এবার তদন্ত শেষ হতে কেন এত সময় লাগছে সে বিষয় সিবিআই-এর দিকে প্রশ্ন ছুড়ে দিল আদালত। আগামী ১১ নভেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি।
শনিবার দীর্ঘ ৩৭ দিন পর গোরুপাচার মামলার শুনানিতে আদালতে পেশ করা হয় অনুব্রত মণ্ডলকে। এদিন আসানসোল সিবিআই আদালতে হাজির হন তৃণমূলের এর দাপুটে নেতা। প্রত্যেকবারের মত এবারও কড়া নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয় সংশোধনাগার থেকে আদালত চত্বর। এদিন অনুব্রতর আইনজীবীর পক্ষ থেকে জোড়ালো সাওয়াল তোলা হলেও জামিনের আর্জি ধোপে টেকেনি। সিবিআইয়ের আবেদনে সারা দিইয়ে ফের অনুব্রতর ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। অন্যদিকে সিবিআইয়ের আইনজীবীকে বিচারক রাজেশ চক্রবর্তীর প্রশ্ন তদন্ত শেষ করতে আর কতদিন সময় লাগবে? সিবিআইয়ের তরফ থেকে উত্তর আসে আরও দু'মাস।
প্রসঙ্গত, গোরু পাচার কাণ্ডে অনুব্রতর বাড়িতে তল্লাশি চালায় সিবিআই। তাঁর বাড়ি থেকে প্রাপ্ত নথি থেকে জানা গিয়েছিল বিপুল সম্পত্তির মালিক অনুব্রতর মেয়ে সুকন্যা মণ্ডল। এই অভিযোগের তদন্ত চলাকালীন বুধবার হাইকোর্টে সুকন্যার নামে টেট না দিয়ে প্রাথমিক স্কুলে চাকরি পাওয়ার অভিযোগ দায়ের করা হয়। এরই মধ্যে আবার তাঁর একটি ফেসবুক প্রোফাইল থেকে জানা যায় একই সঙ্গে দুটি চাকরি করেন তিনি একটি সরকারি অপরটি বেসরকারি। শুধু সুকন্যাই নন অনুব্রতর ভাইপো সহ কেষ্ট ঘনিষ্ঠ আরও ছয় জনের বেআইনিভাবে চাকরি পাওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
কার নেতৃত্বে চলে এই রাইস মিল। কী ভাবে কাজ হয় এই মিলে? অনুব্রত মণ্ডলের কী ভূমিকা এই রাইস মিলে? কোনও ভাবে কি গোরু পাচারের টাকা এই মিলে ঘুকত? ইত্যাদি নানা বিষয় খতিয়ে দেখছে সিবিআই।
গোরু পাচার কাণ্ডের তদন্তে নেমে সিবিআই-এর হাতে গ্রেফতার হয় তৃণমূলের দুঁদে নেতা অনুব্রত মণ্ডল। এর পর থেকেই নানা ঘটনাক্রমের মাধ্যমে বারবার শিরোনামে উঠে আসে ভোলে বোম রাইস মিলের নাম। এবার বোলপুরের সেই ভোলে বোম রাইস মিলে পৌঁছল সিবিআই-এর ৪ সদস্যের প্রতিনিধি দল। তবে আধ ঘন্টার বেশি সময় হয়ে গেলেও খোলেনি রাইস মিলের দরজা। এমনকী রাইস মিলের কর্মীদের সিবিআই আধিকারিকদের কথা হওয়া সত্ত্বেও খোলা হয়নি রাইস মিলের দরজা। ফলে বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছিল। তদন্তের কাজ। প্রায় এক ঘন্টারও বেশি সময় ধরে রাইস মিলের বাইরেই অপেক্ষা করার পর রাইস মিলের এক কর্মী বাইরে এলেও মিলে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি সিবিআই আধিকারিকদের। অবশেষে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার পর ভেতর থেকে খোলা হয় রাইস মিলের গেট। দীর্ঘ ৪০-৫০ মিনিট অপেক্ষা করার পর রাইস মিলে প্রবেশ করল সিবিআই-এর গাড়ি।
আরও পডুনঃ
কিশোরীকে পার্টিতে মদ খাইয়ে বেহুঁশ করে গণধর্ষণ, নাম জড়াল রাজ্যের মন্ত্রীর ছেলের
জীবনভর শনিদের আশীর্বাদ পেতে এই ১২টি কাজ করুন, এই শনিবার থেকেই এই কাজগুলি শুরু করুন