সংক্ষিপ্ত

চন্দনগর মানেই জগদ্ধাত্রী পুজো। এই পুজোয় আলো একটি গুরুত্বপূর্ণ মণ্ডপ সজ্জার অঙ্গ। কিন্তু এবারও দশমীতে অন্ধকার থাকবে চন্দননগর। 
 

চন্দননগর মানেই জগদ্ধাত্রী পুজো। আর আলোর খেলা- আলোর মেলা। কিন্তু এবার জগদ্ধাত্রীপুজোর শোভাযাত্রার কারণে দশমীর দিন দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকবে। দিনের বেলা গোটা চন্দননগর শহর জুড়েই থাকবে বিদ্যুৎ সংযোগ। তেমনই জানিয়েছে প্রশাসন। শুক্রবার চন্দনগরের জ্যোতিরিন্দ্র সভাগৃগে জেলা প্রশাসন, বিদ্যুৎ দফতরের অধিকারিকদের নিয়ে একটি বৈঠক করেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস । বৈঠকের পর তিনি এই কথা জানিয়েছেন। 

 মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের উপস্থিতিতেত রাজ্য প্রশাসন জানিয়েছেন জগদ্ধাত্রী পুজোর দশমীতে সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যে ৬টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকবে। চন্দননগরে বিদ্যুৎ সমস্যা মেটাতে মাটির তলা দিয়ে কেবল বসানোর কাজ চলছে। আর সেই কারণএ ১০৫ কোটি টাকার অনুমোদন দিয়েছে রাজ্য সরকার। কিন্তু গত বছর রাজ্য প্রশাসন জানিয়েছিল চলতি বছর জগদ্ধাত্রী পুজোর আগেই এই প্রকল্পের কাজ শেষ হবে। আর সেই কারণে দশমীতে চন্দননগরে বিদ্যুৎ সমস্যা সমাধান হবে। কিন্তু মন্ত্রীর উপস্থিতিতে এদিন বৈঠকের পর জানান হয় এই কাজ শেষ হতে ডিসেম্বর মাসে। যদি তা না হয়, তাহলে আগামী বছর জানুয়ারি কাজ শেষ হবে। আর সেই কারণেই দশমীর দিন দিনের বেলা প্রায় ৭ ঘণ্টা বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকবে চন্দননগরে। 

চন্দননগরে পুজোর জন্য  বিদ্যুতের ওপর চাপ বাড়ছে প্রতি বছরই। জগদ্ধাত্রী পুজো নিয়ে রিভিউ মিটিং-এর এই কথা জানিয়েছেন বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। তিনি বলেন, ২০১১ সালে ১৪৫টি পুজো কমিটি পুজোর অনুমতি চেয়ে আবেদন জানিয়েছিল। কিন্তু ২০২২ সালে সেই সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২২১। তিনি আরও বলেন পুজোর সংখ্যা ৫২ শতাংশ বেড়েছে। ২০১১ সালে বিদ্যুতের লোড ছিল ২.২৭ মেগাওয়াট। ২০২২ সালে তা ১৮৮ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৭.৮ মেগাওয়াট। তিনি আরও বলেন, চন্দননগরে জগদ্ধাত্রী পুজোয় গত বছর সর্বোচ্চ ৩৮.৯৬ মেগাওয়াট বিদ্যুতের প্রয়োজন ছিল। চলতি বছর প্রয়োজন ৫০ মেগাওয়াট। রাজ্যের হাতে রয়েছে ৯৭.৮ মেগাওয়াট। তাই বিদ্যুতের চাহিদা ৫০ থেকে বেড় ১০০ হলেও কোনও সমস্যা নেই। 

রাজ্যের মন্ত্রী আশ্বাস দিয়ে বলেছেন, জগদ্ধাত্রী পুজোর সময় বিদ্যুতের কোনও সমস্যা  না হয় তার জন্য ৬৬৫ জন কর্মী দিনরাত কাজ করবেন। ১৩টি অফিস খোলা থাকবে। আর ৪১টি মোবাইল ভ্যাট টহল দেবে শহর জুড়ে। চন্দননগরে বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়ে যাতে সমস্যা না তৈরি হয় তারজন্য রাজ্য সরকারের অধীনে থাকা সবকটি দফতর একসহ্গে কাজ করবে। আর জশমীর দিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যে ৬টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকলেও সেই সময় জলের সমস্যা হবে নায জলের মোটর চালু থাকবে। পাশাপাশি জেনারেটরের ব্যবস্থাও করা হবে। 

অরূপ বিশ্বাস আরও জানিয়েছেন, জগদ্ধাত্রী পুজোর চার দিন একটি লজে বিশেষ ব্যবস্থা করা হবে। সেখানে বিদ্যুৎ দফতরের ১০০ জন আধিকারিকও থাকবে - বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়ে যাতে সমস্যা না হয় তারজন্য । তিনি আরও বলেন, বিদ্যুৎ সংক্রান্ত সমস্যা নিয়ে অভিযোগ জানানর জন্য কন্ট্রোল রুম খোলা হবে।। চন্দননগরের সর্বত্র থাকবে সেই নম্বরের ডিসপ্লে। 

অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের খাবারে পচা ডিম, স্থানীয়দের বিক্ষোভে উত্তাল গোটা গ্রাম

শুনানি জটিলতার জট কাটিয়ে ভার্চুয়াল শুনানিতে আপত্তি, সোমবার পার্থকে সশরীরে হাজির করানোর নির্দেশ দিল আদালত

ফের রাজ্যে ডেঙ্গিতে মৃত্যু, বছর শেষে নতুন করে আতঙ্ক ছড়াল জগদ্দলে