অগ্নিমূল্য বাজার দর, জামাই আপ্যায়ন হবে কি করে? মাথায় হাত বাঙালির

Published : Jun 04, 2022, 12:17 PM ISTUpdated : Jun 04, 2022, 12:59 PM IST
অগ্নিমূল্য বাজার দর, জামাই আপ্যায়ন হবে কি করে? মাথায় হাত বাঙালির

সংক্ষিপ্ত

রাত পোহালে জামাইষষ্ঠী, কিন্তু বাজারে গিয়ে কপালে হাত বাঙালির, অগ্নিমূল্যে বিক্রি হচ্ছে মাছ,মাংস,শাকসবজি সবই।  

রবিবার জামাইষষ্ঠী। শশুর বাড়ী এসে পাত পেড়ে, কব্জি ডুবিয়ে খাবার দিন জামাইয়ের কিন্তু তার আগে শনিবারের বাজারে অগ্নিমূল্য মাছ, মাংস থেকে শুরু করে ফল মূল শাক সবজি, এমনকি মিষ্টি সব কিছুরই যে আকাশ ছোঁয়া দাম।  সাধারণ বাঙালির মাথায় হাত!! এই আকাশ ছোঁয়া দামে কি করে বাজার করবেন তাঁরা? কিভাবে হবে জামাইয়ের আপ্যায়ন?,  সাধারণত এই দিনটি বাঙালির ভুঁড়ি ভোজের দিন। আর সেই ভুরিভোজের বাজার করতে গিয়ে কপালে ঘাম ছুটে যাচ্ছে বাঙালির। 

বিশেষ করে ইলিশ, চিংড়ি, ভেটকি এগুলি তে তো হাত ছোয়ানোর উপায় নেই,  কলকাতার গড়িয়াহাট বাজারে প্রায় ২ কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার টাকা।  বাগদা চিংড়ির দাম ৮০০-১৫০০ টাকা। গলদা চিংড়ি বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা দরে। আবার ছোট ভেটকি মাছ বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকা দরে। বড় ভেটকি ৬০০ টাকা দরে। মাছ বাজারের মতন হাল মাংসের দোকানেও, মাংসের দাম কিছু দিন আগেই বেড়ে যাওয়ায় মাংসের দোকানে ভিড় কিছু টা কমেছিলো এবং জামাইষষ্ঠীর আগেও কোনো বদল হলো না সেই ভিড়ে। কাটা মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৪০ থেকে। 

আরও পড়ুন- সময়ের আগেই বর্ষা ঢুকল বাংলায়, কলকাতায় ঝড়-বৃষ্টি, প্রবল বর্ষণ দুই বঙ্গে

আরও পড়ুন- বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চ থেকে সরল এসএসসি-র অতি গুরুত্বপূর্ণ মামলা, কোন পথে জল

আরও পড়ুন- গুগল-ডুডলে সত্যেন্দ্রনাথকে শ্রদ্ধা, 'বোস' আজকের দিনেই আইনস্টাইনকে পাঠান কোয়ান্টামের বিখ্যাত তত্ত্ব

ঢোকার উপায় নেই ফলের বাজারেও, মধ্যাহ্নভোজের পর জামাইকে শেষ পাতে আম খাওয়ানোর বোধয় আর উপায় নেই। হিমসাগর বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়। ল্যাংড়া, গোলাপখাস বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়। লিচুর জন্য খরচ করতে হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা।  গোটা কাঁঠালের দাম পড়ছে ১০০ থেকে ১৫০ টাকা।

পিছিয়ে নেই সবজিও। সবজির দাম মাছ মাংসের মতন তরতড়িয়ে না বাড়লেও বেশ ভালো দামেই বিক্রি হচ্ছে বেগুন, ঢ্যরোশ, আলু, পটল, কোফি সবই, পকেটে টান পড়ছে আম জনতার। তাই জামাই আপ্যায়ন তো পরের কথা দৈনন্দিন বাজার করাও বিপদ হয়ে দাঁড়িয়েছে সাধারণ মানুষের পক্ষে। নামমাত্র বাজার করেই বাড়ি ফিরতে হচ্ছে অধিকাংশ মানুষকে। আবার রোদে ঘেমে নেয়ে বাজার ঘুরে দরদাম করে খালি হাতেই ফিরতে হচ্ছে অনেক কে। তবে কষ্ট করে হলেও হাজার হোক জামাই বলে কথা!! তাই পকেটে টান পড়া সত্ত্বেও কিছু মানুষ খুব কষ্ট করে হলেও বাজার করছেন জামাই অভ্যর্থনার।

PREV
click me!

Recommended Stories

ডিসেম্বরের শুরুতেই শীতের ব্যাটিং শুরু, সপ্তাহান্তে পারা পতনে কাঁপবে কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গ
TMC-তে বড় ভাঙন! মমতার তুলোধোনা করে জঙ্গিপুরে তৃণমূল ছেড়ে মিমের পতাকাতলে ৫০ যুবক