সিঙ্গুর আন্দোলনের স্মৃতিচারণা করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সিঙ্গুর আন্দোলন শুরুর সময় সন্তোষী মায়ের কাছে মানত করেছিলাম, বলেছিলাম সিঙ্গুর আন্দোলনে জয় পেলে সন্তোষী মায়ের মন্দির করব।
আগেই স্বপ্ন দেখেছিলেন। সেইমত শুক্রবার সিঙ্গুরে গিয়ে সন্তোষী মাতার পুজো দেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন সিঙ্গুর বাজেমেলিয়া সন্তোষী মাতার মন্দিরে পুজো দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি শিশুদের হাতে খাবার ও উপহার তুলে দেন।
সিঙ্গুর আন্দোলনকে কেন্দ্র করেই একটা সময় বিরোধী নেত্রী থেকে এই রাজ্যেকর মসনদে বসেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজও কিন্তু তিনি সিঙ্গুরকে ভুলে যাননি। মনে রখেছেন সেই সিঙ্গুর আন্দোলনে কথা। এদিনও সেই কথাই বলেন তিনি। এদিন কামারকুন্ডু রেলওয়ে ব্রিজ ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করেন । তিনি বলেন ,রাজ্য সরকার এই ব্রিজ তৈরির জন্য জমি ও টাকা দিয়েছে, অসংখ্য মানুষ উপকৃত হবেন। চন্দননগর লাইট হাব তৈরি করেছি। এদিনের জনসভায় মমতা রাজ্যের আরও উন্নয়নমূলক কাজের কথা তুলে ধরেন। বলেন, দক্ষিণেশ্বরে স্কাইওয়াক তৈরি করেছি। উত্তরবঙ্গ যাওয়ার নতুন রাস্তা তৈরি হবে । দীঘায় পুরীর আদলে জগন্নাথ মন্দির।
সিঙ্গুর আন্দোলনের স্মৃতিচারণা করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সিঙ্গুর আন্দোলন শুরুর সময় সন্তোষী মায়ের কাছে মানত করেছিলাম, বলেছিলাম সিঙ্গুর আন্দোলনে জয় পেলে সন্তোষী মায়ের মন্দির করব। ১৬ সপ্তাহ আগে ব্রত রেখেছিলাম বলেছিলাম সিঙ্গুরে গিয়ে সন্তোষী মা কে পুজো দেবো। সিঙ্গুর আন্দোলনের সময় আমাদের মারতে মারতে বের করে দেওয়া হয়েছিল। আমাকে লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়েছে, সবাই তখন দুর্গা পুজোর আনন্দে মেতে ছিল কিন্তু আমার তখন রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। আমি সব ধর্মকে ভালবাসি মন্দির, মসজিদ, গির্জা, গুরুদ্বয়ারা সব জায়গাতে যাই।
মমতা নিজের মুখেই জানিয়েছেন তিনি মানসিক করেছিলেন, সিঙ্গুর আন্দোলনে জয়লাভ করলে তিনি মন্দির তৈরি করেদেবেন। সেই মত সন্তোষী মায়ের মন্দির তিনি তৈরি করেছেন। সূত্রের খবর এই মন্দির নির্মাণের জন্য সিঙ্গুরের নেতা বেচারাম মান্নার থেকে জমিও নাকি চেয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা জানিয়েছেন, তিনি যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন আজ তা পুরণ করেছেন।