অভিযোগ, আব্বাস অনুগামীদের বাড়িতে গিয়ে তাঁদের উপর হামলা চালিয়েছে তৃণমূল কর্মীরা। এই ঘটনায় বেশ কয়েকজন জখম হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। এরপর জখম আইএসএফ কর্মীদের ভর্তি করা হয় কলকাতা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে।
আব্বাস সিদ্দিকীর (Abbas Siddiqui) একটি ধর্মীয় জলসাকে (Festival) কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল ভাঙড় (Bhangar)। একে অপরের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন তৃণমূল ও আইএসএফ কর্মীরা (ISF and TMC Clash)। শনিবার রাতে এই ঘটনাটি ঘটেছে ভাঙড় থানার বড়ালী মালঞ্চ এলাকায়। পুলিশের (Police) তরফে জানানো হয়েছে, এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কেউ কোনও লিখিত অভিযোগ (FIR) দায়ের করেনি। এখনও পর্যন্ত কেই গ্রেফতার (Arrest) হয়নি। গোটা বিষয়টি তদন্ত (Investigation) করে দেখা হচ্ছে।
অভিযোগ, আব্বাস অনুগামীদের বাড়িতে গিয়ে তাঁদের উপর হামলা চালিয়েছে তৃণমূল কর্মীরা। এই ঘটনায় বেশ কয়েকজন জখম (Injured) হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। এরপর জখম আইএসএফ কর্মীদের (ISF Worker) ভর্তি করা হয় কলকাতা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে (Calcutta National Medical College & Hospital)। এই ঘটনার খবর পেয়েই হাসপাতালে জখমদের দেখতে যান ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি (Nawsad Siddique)।
আরও পড়ুন- দিলীপ ঘোষকে 'গুরুত্ব দিই না', দ্বন্দ্ব জারি রাখলেন তথাগত
পুলিশ সূত্রে খবর, রবিবার দুপুরে ভাঙড়ের বড়ালী পদ্মপুকুর এলাকায় পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকীর একটি ধর্মীয় জলসা রয়েছে। অভিযোগ, সেই ধর্মীয় জলসা ভেস্তে দিতে প্রতিনিয়ত আব্বাস অনুগামীদের হুমকি দিচ্ছিল তৃণমূল কর্মীরা (TMC Worker)। এরপর এই ঘটনার প্রতিবাদ করে সিদ্দিকির অনুগামীরা। তখনই শুরু হয় বচসা। এরপর তৃণমূল কর্মীরা ওই এলাকায় আব্বাস অনুগামীদের বাড়িঘরে ভাঙচুর (vandalize) চালায় বলে অভিযোগ। আসাদুল মোল্লা নামে এক কর্মীর বাড়িতে ভাঙচুর চালানোর পাশাপাশি সেই কর্মীকে মারধরও (Beaten) করে বলে অভিযোগ। ঘটনার খবর পেয়ে ভাঙড় থানার পুলিশ ঘটনাস্থানে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে পরিস্থিতি।
আরও পড়ুন- মোদীকে চিঠি দিয়ে বিজেপি ছাড়লেন, ‘অভিমানী’ জয় বন্দ্যোপাধ্যায় কি এবার তৃণমূলের পথে
এই সংঘর্ষের প্রসঙ্গে আইএসএফ বিধায়ক (ISF MLA) নওশাদ সিদ্দিকি বলেন, "প্রশাসনের একটা অংশ সরকারের কথায় ওঠ-বস করে। এলাকা থেকে আইএসএফকে মুছে ফেলতে চাইছে তারা। যখন দেখছে জোর করে ঝান্ডা ধরালেও কোনও লাভ হচ্ছে না, তখন এই সব করছে। এই ঘটনার সঙ্গে এলাকার পুলিশ প্রশাসনের যোগ রয়েছে।"
আরও পড়ুন- "এত লজ্জা না পেয়ে দল ছেড়ে দিন", ‘ধৈর্যের বাঁধ’ ভেঙে তথাগতর বিরুদ্ধে মন্তব্য দিলীপের
আইএসএফ কর্মীদের অভিযোগ, এই সংঘর্ষের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোনও পদক্ষেপ করেনি। যদিও পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, কোনও পক্ষ লিখিত অভিযোগ করেনি। হামলায় জড়িত কাউকেই এখনও গ্রেফতার করা হয়নি। তবে ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এদিকে হামলার জেরে উত্তেজনা রয়েছে এলাকায়।