ফোন করে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে বেধড়ক মারধর করে খুনের অভিযোগ। বিজেপি নেতা চন্দন মাইতিকে খুন করার অভিযোগ উঠতেই উত্তাল পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুর।
ফের বিজেপি নেতা (BJP Leader) খুন রাজ্যে। বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে বেধড়ক মারধর করে খুনের অভিযোগ। বিজেপি নেতা চন্দন মাইতিকে খুন করার অভিযোগ উঠতেই উত্তাল পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুর (Bhagabanpur in East Midnapur)। রাজনৈতিক কারণে খুন নাকি অন্যকোনও কারণ লুকিয়ে রয়েছে, খতিয়ে দেখতে তদন্তে পুলিশ। এখনও অবধি এই ঘটনায় কেউ গ্রেফতার (Arrest) হয়নি।
আরও পড়ুন, Municipal Election-কলকাতা-হাওড়া পুরভোটের দিনক্ষণ চূড়ান্ত, কবে বিজ্ঞপ্তি জারি করবে কমিশন
নিহত চন্দন মাইতি ওরফে শম্ভু ভগবানপুর পূর্ব মণ্ডলের শক্তিকেন্দ্রর প্রমুখ ছিলেন। ভগবানপুর ১ নম্বর ব্লকের মহম্মদপুরের বাসিন্দা তিনি। পরিবার সূত্রে খবর, বছর আটত্রিশের ওই বিজেপি কর্মী শনিবার রাতে বাড়িতে ছিলেন। আচমকাই তাঁর ফোন বেজে ওঠে। কথা বলা শুরু করতেই ফোনের অপরপ্রান্ত থেকে কেউ তাঁকে বাড়ির বাইরে আসতে বলেন। সেকথা শুনেই বিজেপি নেতা বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েন। এদিকে রাত পেরিয়ে আলো ফোটে। তাও কোনও খোঁজ খবর না পেয়ে চিন্তায় পড়ে যান পরিবারের সদস্যরা। খোঁজাখুজি শুরু হয় এবং খবর দেওয়া হয় পুলিশে। রবিবার ভোরে বাড়ির অদূরেই ওই বিজেপি নেতার ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। উদ্ধার করে প্রথমে তাকে গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু শারীরিক অবস্থা আরও অবনতি হতেই চন্দন মাইতিকে নিয়ে যাওয়া হয় তমলুক জেলা হাসপাতালে। কিন্তু নিতে নিতে সব শেষ। বিজেপি নেতার মৃত্য়ু হয়েছে বলে জানান চিকিৎসক।
আরও পড়ুন, Bhai Phota 2021: মোদীর ছবিতে ৩ কেজি ওজনের লাড্ডু খাইয়ে ভাইফোঁটা, উৎসবে সামিল জয়প্রকাশও
প্রসঙ্গত, বাংলায় ভোট পরবর্তী হিংসায় একের পর এক খুন হয়েছে। এখনও অনেকে ঘর ছাড়া বলে দাবি বিজেপির। জাতীয় মানবধিকার কমিশনের রিপোর্ট পাওয়ার পর হাইকোর্টের নির্দেশ পেয়ে তদন্তে নেমেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। তবে ভোট পরবর্তী হিংসায় বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে তৃণমূল। একাধিক তৃণমূল কর্মীর মৃত্যু পর সরব তৃণমূলও। তবে রাজ্যে অমিত শাহ এসে ভোটের পর এক ভয়াবহ পরিসংখ্যান দিয়েছিলেন। ওদিকে ভবানীপুর উপনির্বাচনের আগে ভো পরবর্তী হিংসায় মৃত মগরাহাটের বিজেপি প্রার্থী মানস সাহার দেহ নিয়ে মিছিল শুরু করে রাজ্য বিজেপি। রাস্তায় বসে পড়ে পথ অবরোধ করেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার , অর্জুন সিংহ , ভবানীপুরের বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়াল। অভিযোগ, চলতি বছরের মে মাসের ২ তারিখে ডায়মন্ড হারবার মহাবিদ্যালয় ভোট গননা কেন্দ্রে থেকে ফেরার পথে তৃণমূল কংগ্রেসের আশ্রিত দুষ্কৃতীদের হাতে আক্রান্ত হন মানস সাহা সহ বিজেপি কর্মী সমর্থকেরা। তারপর বহুদিন অসুস্থ থাকার পর মারা যান মানস সাহা। এরপরেই ধুন্ধুমার লাগে কালীঘাটে। বিজেপিকে হুঁশিয়ারি দেন মমতা।যদিও বিজেপি প্রার্থী মানস সাহা হত্যাকাণ্ডেও তদন্ত চালাচ্ছে সিবিআই।
আরও দেখুন, বিরিয়ানি থেকে তন্দুরি, রইল কলকাতার সেরা খাবারের ঠিকানার হদিশ
আরও দেখুন, কলকাতার কাছেই সেরা ৫ ঘুরতে যাওয়ার জায়গা, থাকল ছবি সহ ঠিকানা
আরও দেখুন, মাছ ধরতে ভালবাসেন, বেরিয়ে পড়ুন কলকাতার কাছেই এই ঠিকানায়
আরও পড়ুন, ভাইরাসের ভয় নেই তেমন এখানে, ঘুরে আসুন ভুটানে