প্রয়াত হলেন উত্তরবঙ্গের তৃণমূল নেতা কৃষ্ণকুমার কল্যাণী। কৃষ্ণকুমারের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়।
প্রয়াত হলেন উত্তরবঙ্গের তৃণমূল নেতা কৃষ্ণকুমার কল্যাণী। জলপাইগুড়ির একটি নার্সিংহোমে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। উল্লেখ্য, উত্তরবঙ্গের রাজনীতির একটি পরিচিত নাম ছিলেন তিনি। প্রায়ত রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়কে নিজের রাজনৈতিক গুরু বলে মানতেন কৃষ্ণকুমার কল্যাণী। কৃষ্ণকুমারের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় টুইট করে জানিয়েছেন, 'উত্তরবঙ্গের একজন শীর্ষস্থানীয় চা শিল্পপতি কৃষ্ণ কুমার কল্যাণীর অকাল মৃত্যুতে আমি গভীর শোক প্রকাশ করছি। আমি তাঁকে ডুয়ার্সে সাধারণ মানুষের নের্তৃত্বস্থানীয় মুখ বলে চিনতাম। তার পরিবার এবং অনুগ্রামীদের প্রতি সমবেদনা জানাই।'
উল্লেখ্য, উত্তরবঙ্গের রাজনীতির একটি পরিচিত নাম ছিলেন তিনি। প্রায়ত রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়কে নিজের রাজনৈতিক গুরু বলে মানতেন কৃষ্ণকুমার কল্যাণী। দীর্ঘদিন ধরে তৃণমূলের জেলা সভাপতিত্ব সামলেছেন। ২০১১ সালে বিধানসভা ভোটের পরে তাঁকে রাজ্য সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছিল। রাজনীতির পাশাপাশি চাবাগান মালিক হিসেবেও জলপাইগুডড়িতে পরিচিত ছিলেন তিনি। তার মৃত্যু খবরে শোকপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। কৃষ্ণকুমারের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় টুইট করে জানিয়েছেন, 'উত্তরবঙ্গের একজন শীর্ষস্থানীয় চা শিল্পপতি কৃষ্ণ কুমার কল্যাণীর অকাল মৃত্যুতে আমি গভীর শোক প্রকাশ করছি। আমি তাঁকে ডুয়ার্সে সাধারণ মানুষের নের্তৃত্বস্থানীয় মুখ বলে চিনতাম। তার পরিবার এবং অনুগ্রামীদের প্রতি সমবেদনা জানাই।'
আৎও পড়ুন, 'বাংলা আজ যা ভাবে, ভারত ভাবে কালকে', মমতার প্রশাংসায় পঞ্চমুখ রাজ্যপাল, বিস্ফোরক দিলীপ
আরও পড়ুন, আজ ধেয়ে আসতে পারে কালবৈশাখী কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে, বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি এই জেলাগুলিতে
জানা গিয়েছে, বেশ কয়েকমাস ধরে কোভিড পরবর্তী জটিলতায় ভুগছিলেন উত্তরবঙ্গের তৃণমূল নেতা কৃষ্ণকুমার কল্যাণী। মঙ্গলবার দুপুরে শ্বাসকষ্ট শুরু হওয়ায় জলপাইগুড়ির একটি নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হয়। বুধবার তাঁকে মুম্বই নিয়ে যাওয়ার কথা হয়েছিল। তবে তাঁর আগেই প্রয়াত হন তিনি। প্রসঙ্গত, কোভিডে ২০২০ সাল থেকে ২০২২ সাল অবধি একাধিক রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্বের মৃত্যু হয়েছে। পোস্ট কোভিডে অন্য অরগ্যান ফেল করে প্রাণ হারিয়েছেন। এর মধ্যে ফোকাসে মুর্শিদাবাদ, খড়দহ। একুশের বিধানসভা ভোটে বসে ভোট জয়ের ফলাফলটা আর দেখে যেতে পারেননি খড়দহের তৃণমূল প্রার্থী কাজল। এদিকে মুর্শিদাবাদের শামসেরগঞ্জ এবং জঙ্গিপুরে কোভিডের কামড়ে প্রার্থীর মৃত্যু হয়। সেখানেও ভোট বাতিল হয়ে যায়। পরে ভোট হয় সেখানে। কোভিডে আক্রান্ত হয়েছিলেন মদন মিত্র। তারপরে তার শরীরেও আসে নানা অসুবিধা। বিশেষজ্ঞদের মতে, পোস্ট কোভিডে বিশেষ করে বয়ষ্কদের নানা সমস্যার মুখে পড়তে হয়। যা কিনা বুঝে ওঠার আগেই ক্ষতি সম্মুক্ষীন হতে হয় অনেকেই।
আরও পড়ুন, যৌন সঙ্গমের পরেই কি খুন, বীরভূমের কীর্ণাহারে বিধবা মহিলার দেহ উদ্ধার