সামশেরগঞ্জের ২৩১ বুথের অধিকাংশই বিরোধীহীন পোলিং এজেন্ট, কমিশনের যাওয়ার হুঁশিয়ারি কংগ্রেসের


নজরকাড়া সামশেরগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের ভোটে ২৩১ টি বুথের অধিকাংশই বিরোধী হীনপোলিং এজেন্ট। নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে কংগ্রেস।

 

Asianet News Bangla | Published : Sep 29, 2021 11:51 AM IST / Updated: Sep 29 2021, 05:23 PM IST


বৃহস্পতিবার মুর্শিদাবাদের নজরকাড়া বহু প্রতীক্ষিত সামশেরগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের ভোট (Samsherganj Assembly constituency)। আর তার আগেই  সকল বুথে (Polling Agents )  পোলিং এজেন্ট খুঁজে না পেয়ে রীতিমতো দিশেহারা অবস্থায় পড়েছে কংগ্রেস ( Congress) ও সিপিএম (CPIM) উভয় বিরোধী রাজনৈতিক দলই।শেষ পর্যন্ত তারা এজেন্ট দিতে আদৌ পারবেন কিনা সে নিয়ে দেখা দিয়েছে জটিলতা।

 আরও পড়ুন, WB Assembly Election: 'স্বেচ্ছায়'আসতে পারেন', অধীরকে BJP-তে যোগদানের আহ্বান দিলীপের

যদিও এদিন স্থানীয় কংগ্রেস প্রার্থী জয়ী জৈদূর রহমান বলেন,' আমরা আমাদের দলীয় কর্মীদের নিয়ে  প্রতিটা পোলিং বুথ পরিক্রমা করছি অবশ্যই এজেন্ট দিতে পারবো বলে বিশ্বাসী। তৃণমূল কর্মীরা, আমাদের সমর্থকদের ভয় দেখাতে শুরু করেছে যাতে আমরা সব বুথে পোলিং এজেন্ট দিতে না পারি । প্রয়োজনে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হব।' যদিও এদিন  পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিয়ে তৃণমূলের তরফে বলা হয়,'শত চেষ্টা করেও কংগ্রেস  সামশেরগঞ্জ ভোটে পোলিং এজেন্ট খুঁজে পাবে না। মানুষ ওদের সঙ্গে থাকবে না।' সামশেরগঞ্জে কংগ্রেসের নিজেদের কোন্দল অনেক আগেই তাদের কাহিল করে রেখেছে।প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, সামশেরগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে ২৩১টি মূল বুথ রয়েছে। অক্সিলারি বুথের সংখ্যা ৯৮। পোলিং স্টেশন ৩২৯টি রয়েছে। মোট বিএলও’র সংখ্যা ২৩১। এই বিধানসভা কেন্দ্রে মোট দু’লক্ষ ৩৭ হাজার ৭৫০ জন ভোটার রয়েছে। তারমধ্যে এক লক্ষ ১৬ হাজার ৩৭৫ জন পুরুষ। এক লক্ষ ২১হাজার ৩৭৩ জন মহিলা ভোটার রয়েছেন। জঙ্গিপুর বিধানসভা কেন্দ্রে ২৫৯ টি পোলিং স্টেশন রয়েছে। অক্সিলারি পোলিং স্টেশন ১০৪। এখানে মোট দু’লক্ষ ৫৫ হাজার ৯৯৮ জন ভোটার রয়েছেন। ৮০ঊর্ধ্ব ভোটারের সংখ্যা দু’হাজার ৫৩৫। তৃণমূল জানিয়েছে, এই বিধানসভা কেন্দ্রে তারা ভোটারদের বাড়ি বাড়ি যাচ্ছে শেষ মুহূর্তে। অধিকাংশ বুথে এজেন্টও ঠিক হয়ে রয়েছে।

আরও পড়ুন, WB Assembly Election:'তৃণমূল ছাড়া বিকল্প নেই', BJP-কে মুছে দেওয়ার হুঁশিয়ারি অভিষেকের

 তৃণমূল প্রার্থী আমিরুল ইসলাম বলেন, 'জয় নিয়ে আমরা চিন্তিত নই। আগেরবারের চেয়েও বেশি মার্জিনে জয়ী হব। সব বুথে বিরোধী দলগুলির কর্মী-সমর্থক নেই। তাই তারা লড়াই দেওয়ার জায়গায় নেই। বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, দুই কেন্দ্রে তারা পুরনো প্রার্থীদেরই রেখে দিচ্ছে।' বিজেপির জেলা সভাপতি সুজিত দাস বলেন, 'আমরা লড়াই দেওয়ার চেষ্টা করব। তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর রাজ্যে সন্ত্রাসের পরিবেশ দেখেছেন জেলার বাসিন্দারা। তাই তাঁরা বিবেচনা করে নিশ্চয়ই ভোট দেবেন। সব বুথেই আমরা এজেন্ট দেওয়ার চেষ্টা করব। তবে ভোটে কী হবে জানি না ।' কংগ্রেস সূত্রে জানা গিয়েছে, বিধানসভার ফল ঘোষণা হওয়ার পরই সামশেরগঞ্জে তাদের প্রার্থী বেঁকে বসেছিলেন। তিনি লড়াই করতে চান না বলে অনেক আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ায় তাঁকে কংগ্রেস সরাতে পারছে না। এখানে দলের কর্মীদের অনেকেই তৃণমূলের দিকে চলে গিয়েছে। তাই এখানে সব বুথে এজেন্ট দেওয়া নিয়ে তারা সংশয়ে রয়েছে। কংগ্রেসের জেলা নেতা মহফুজ আলম ডালিম বলেন, আমরা জইদুল রহমানকে প্রার্থী হিসেবে জিতিয়ে আনতে   সব বুথে এজেন্ট দিতে পারব বলেই আমরা আশা করছি।'

 আরও পড়ুন, ভাইরাসের ভয় নেই তেমন এখানে, ঘুরে আসুন ভুটানে  

আরও দেখুন, মাছ ধরতে ভালবাসেন, বেরিয়ে পড়ুন কলকাতার কাছেই এই ঠিকানায়  

আরও দেখুন, বৃষ্টিতে বিরিয়ানি থেকে তন্দুরি, রইল কলকাতার সেরা খাবারের ঠিকানার হদিশ  

আরও দেখুন, কলকাতার কাছেই সেরা ৫ ঘুরতে যাওয়ার জায়গা, থাকল ছবি সহ ঠিকানা  

 

Share this article
click me!