আনিশ হত্যার বিরুদ্ধে সরাসরি রাজ্য সরকারকে দায়ী করে বলেন সিট গঠন করে মুখ্যমন্ত্রীর মাথায় ছিট হয়ে গেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ধাপ্পাবাজি করছেন বলেও তিনি অভিযোগ করেন সিপিআইএমের নয়া রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম।
সিট গঠন করে মুখ্যমন্ত্রীর মাথায় ছিট হয়ে গিয়েছে। মঙ্গলবার হাওড়া পানিয়ারা এলাকার ডিএন মার্কেটের জয়পুর মোড়ে এক জনসভাতে এভাবেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়কে তোপ লাগলেন সিপিআইএমের নয়া রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম( CPIM's new state secretary Mohammad Selim )। তিনি আনিশ হত্যার(Anish Khan murder case) বিরুদ্ধে সরাসরি রাজ্য সরকারকে দায়ী করে বলেন সিট গঠন করে মুখ্যমন্ত্রীর মাথায় ছিট হয়ে গেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ধাপ্পাবাজি করছেন বলেও তিনি অভিযোগ করেন। এদিন তিনি আনিশের বাড়ির মাটি হাতে ধরে শপথ নিয়ে জানান আনিশ হত্যা মামলার বিচারের তারা শেষ দেখেই ছাড়বেন।
পাশাপাশি চলতি মাসের বামেদের ডাকা সারা ভারত ধর্মঘটে আনিশ ও রামপুরহাটের গনহত্যার মতো ইস্যুও সামিল হবে বলে দাবি করেন তিনি। পাশাপাশি তিনি রাজ্য সরকারের উপর চাঁচাছোলা ভাষায় কটাক্ষবান শানিয়ে বলেন “যারা চিটফান্ডের প্রতারণার সঙ্গে যুক্ত তারা কালীঘাটে তাদের টাকার ভাগ দিচ্ছে”। এছাড়াও এদিন আনিশের সমাধিতে মালা দিয়ে তার কবরের মাটি হাতে ধরে হাওড়া গ্রামীন পুলিশের পুলিশ সুপারিনটেনডেন্ট সৌম্য রায়ের অপসারণ দাবি করেন তিনি। তিনি আরও দাবি করে বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যে খেলা হবে বলেছেন। প্রকৃতই তিনি খেলার পরে খেলোয়াড়দের ছুটি দিচ্ছেন। যার দরুন আনিশ ও রামপুরহাট গণহত্যা হয়েছে।”
আরও পড়ুন- ‘গ্রেফতার করলে দোষী হয় না, আদালতে প্রমান করতে হয়’, অভিষেক ইস্যুতে ফের সরব কুণাল
পাশাপাশি তিনি দিল্লিতে মোদী ও বাংলায় দিদির সেটিং রয়েছে বলে অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, “দুজনেই একই কথা বলছে। দিল্লিতে মোদী আচ্ছে দিন আসার কথা বলছেন আর বাংলায় দিদি উন্নয়ন হচ্ছে বলছেন। এরা দুজনেই মানুষকে প্রতারণা করছে বলেই তিনি অভিযোগ করেন।” পাশাপাশি তিনি কুনাল ঘোষের নাম না নিয়ে তাকে চোর বলে অভিহিত করেন। চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ শানিয়ে তিনি বলেন, “রাজ্যে একটা চোর বড়বড় কথা বলছে। তার নাম উচ্চারণ করাও পাপ”। এদিক রামপুরহাট গণহত্যা নিয়ে এদিন দিনভর উত্তাল ছিল বাংলার রাজ্য-রাজনীতি। বীরভূমের তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অনুব্রত মন্ডল রামপুরহাট গণহত্যার ঘটনাকে বাড়িতে শর্টসার্কিট হয়ে আগুন লাগার মন্তব্য করেন। তাঁকে কটাক্ষ করে সেলিম বলেন, “ওর মাথায় অক্সিজেন কম ঢোকে বলে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন। তবে এখন ওর গোটা মাথাটাই শর্ট হইয়ে গিয়েছে”। এদিন পানিয়ারার মোড়ে সভা করার কথা থাকলেও জেলা প্রশাসনের অনুমতি না থাকার জন্য পানিয়ারার থেকে ভেতরে ডিএন মার্কেটের জয়পুর মোড়ে এক জনসভা করেন সেলিম।