তপন কান্দু খুনে সমবেদনা জানাতে তার পরিবারের কাছে এলেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী যা নিয়েই ফের নতুন করে চর্চা শুরু হয়েছে পুরুলিয়ার রাজনৈতিক ময়দানে।
ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলর(Congress Councilor of Jhalda) তপন কান্দু খুনে সমবেদনা জানাতে তার পরিবারের কাছে এলেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী(CPM leader Sujan Chakraborty)। যা নিয়েই ফের নতুন করে চর্চা শুরু হয়েছে পুরুলিয়ার রাজনৈতিক ময়দানে। এদিন তপন কান্দুর বাড়িতে গিয়ে তার স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দুর সাথে কথা বলেন সুজন চক্রবর্তী। পরে সাংবাদিকদের সুজন বাবু জানান, “তপন কান্দুকে যেভাবে খুন করা হয়েছে তা শুধু নৃশংসতায় নয় এটা পুলিশ ও ক্রিমিনালের সাথে তৃণমূলের যে যোগাযোগ রয়েছে তার মুখ্য প্রমান। ক্ষমতা দখলের জন্য তৃণমূল খুন করেছে তপনবাবুকে। রাজনৈতিক চক্রান্তের স্বীকার হয়েছেন তপনকান্দু। আইসি বারবার ফোন করে ওই পরিবারকে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার কথা বলেছেন। আই সি এর দল হতে পারে? এটা কখনই সিটের তদন্ত হতে পারে না। যে পুলিশ অভিযুক্ত সেই পুলিশের বিরুদ্ধে তদন্ত করবে পুলিশ। এটা কখনোই হতে পারে না। আইসি এখনও বহাল তবিয়তে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।পুলিশ মন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিত।”
এখামেই না থেমে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানিয়ে তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর কোন দায়িত্ব নেই। আইসি-কে গ্রেপ্তার করা হল না এখনও। কোর্টের মনিটারিং এ সিবিআই তদন্ত চাই। অপরাধী যারা খুন করেছে। তার চেয়ে অপরাধী আই সি তারও চেয়ে বড় অপরাধী যারা তৃনমুলের হয়ে বোর্ড জেতার জন্য খুন করার পরিকল্পনা করেছে তারা। পরিবারের পাশে আমরা আছি।” এদিন সুজন চক্রবর্তীর সাথে ছিলেন সিপিআইএম জেলা সম্পাদক প্রদীপ রায় ,জেলা কংগ্রেস সভাপতি নেপাল মাহাত সহ অন্যান্য নেতা-কর্মীরা। অন্যদিকে এদিন আবার এদিন কলকাতায় মেয়র তথা মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম গুলি কান্ড নিয়ে বামেদের বিরুদ্ধে কটাক্ষবান শানিয়ে বলেন, "বামফ্রন্টের শাসনকালে কি রাম রাজত্ব ছিল?" এই প্রসঙ্গে সিপিআইএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর ফিরহাদ হাকিমের পাল্টা তুলোধোনা করেন।
আরও পড়ুন- টক্করে বাবুল সুপ্রিয়, অভিজাত বালিগঞ্জে বামেদের তুরুপের তাস ফুয়াদ হালিম স্ত্রী
আরও পড়ুন- বয়সকালে স্মৃতিভ্রমের কারণে জটিল ব্যাধি সারাবে এই ওষুধ, নয়া গবেষণা ঘিরে বাড়ছে আশার আলো
পাল্টা আক্রমণ শানিয়ে তিনি বলেন, “একজন মন্ত্রী যিনি সংবিধানে শপথ নিয়েছেন তিনি এরকম কথা কি করে বলছেন। একজন রকবাজ এবং স্কাউন্ড্রেল এর মত কথা বলেছেন।উনার মন্ত্রিত্বের কোন যোগ্যতাই নেই।” প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এদিনই আবার ঝালদা পৌরসভার এই কংগ্রেস কাউন্সিলার হত্যার ৭ দিন পর গোপন জবানবন্দি দিলেন তাঁর স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দু। শনিবার পুরুলিয়া জেলা আদালতে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট থার্ড কোটে গোপন জবানবন্দি দেন তিনি।
আরও পড়ুন- কাউন্সিলর খুনে শোকস্তব্ধ গোটা শহর, রঙের উৎসবে বেরঙীন পুরুলিয়ার ঝালদা
আরও পড়ুন- দোলে ‘রঙ রুটে’ যাদবপুর, ভাইরাল ভিডিও ঘিরে দানা বাঁধছে বিতর্ক