Digital Money-ডিজিটাল প্রযুক্তিতে বেচাকেনা,গ্রামের মেঠো পথে পেটিএম-ভীম পের ছোঁয়া

Published : Nov 08, 2021, 10:07 AM IST
Digital Money-ডিজিটাল প্রযুক্তিতে বেচাকেনা,গ্রামের মেঠো পথে পেটিএম-ভীম পের ছোঁয়া

সংক্ষিপ্ত

ডিজিট্যাল প্রযুক্তি পৌঁছে গিয়েছে গ্রামের পথের ফেরিওয়ালার কাছে। আর সেই প্রযুক্তিকে হাতিয়ার করেই ব্যবসায়িক সাফল্য লাভের দিশে দেখাচ্ছে মুর্শিদাবাদের ইসরাফিল শেখ। 

শহরের ঝাঁ-চকচকে গণ্ডি ছাড়িয়ে 'ডিজিট্যাল' প্রযুক্তি (Digital Transaction) পৌঁছে গিয়েছে গ্রামের পথের ফেরিওয়ালার (Village Hawker) কাছে। আর সেই প্রযুক্তিকে হাতিয়ার করেই ব্যবসায়িক সাফল্য লাভের দিশা দেখাচ্ছে মুর্শিদাবাদের(Murshidabad) লালগোলার (Lalgola) ইসরাফিল শেখ। এমন কান্ডে রীতিমতো হতবাক পথচলতি সাধারণ গ্রাহক থেকে শুরু করে এলাকার মানুষ জন। খুশি ইসরাফিলও। গ্রামের মেঠো পথ ঘুরে ঘুরে ফেরি করা ওই হকার এসবিআই ভীম পে, পেটিএম ব্যাবহার করেই আধুনিকতার ছোঁয়ায় ব্যাবসায় লাভের পরিমান বাড়িয়েছেন বলেও দাবি করেছেন। 

ইতিমধ্যে তার ওই সাফল্য দেখে আরও কয়েক জন হকার রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের মাধ্যমে যোগাযোগ করে এই রকম অ্যাপ ব্যবহার করবেন বলেও মন্তব্য করেছেন। এই ব্যাপারে লালগোলা এসবিআই ম্যানেজার অমিত ভকত বলেন, “যে কোনও মানি ট্র্যান্সফার অ্যাপ অত্যন্ত সুরক্ষিত এবং সুবিধা যুক্ত। তবে সতর্ক থাকতে হবে কোনও ভাবেই ওই অ্যাপের ইউজার আই ডি কিংবা পাসওয়ার্ড কাউকে শেয়ার না করা হয়"।কখনও জিয়াগঞ্জ শ্রীপৎ সিং কলেজ তো কখনও লালবাগ কলেজ কিংবা বহরমপুর গার্লস কলেজের সামনে দেখা মেলে ইসরাফিল শেখের।

ইসরাফিল বর্তমান মরশুমে ঝুড়িতে করে কলেজ কিংবা জন বহুল গঞ্জ শহরে ঘুরে ঘুরে কদবেল বিক্রি করেন। পাকা কদবেলকে হাতের কায়দায় সুন্দর করে দু ভাগ করে তাতে বিভিন্ন মশলা এমন কি ধনে পাতা দিয়ে মাখিয়ে,ফের কদবেলের খোলার মধ্যে মাখানো কদবেল পুরে দিয়ে ক্রেতা সাধারনের হাতে তুলে দেন। মাখানো ছাড়াও আস্ত কদবেলও পাওয়া যায় ওই ফেরিওয়ালার কাছে। আস্ত কদবেলের ক্ষেত্রে ১৫ টাকা এবং মাখানোর হলে তা ২০ টাকায় বিক্রি হয়। কিন্তু ১৫ টাকা কিংবা ২০ টাকার খুচরো অনেক ক্রেতার কাছে থাকে না। তখন গ্রাহককে ফিরিয়ে দিতে হয়।

এই ভাবনা থেকেই ইসরাফিল তার ঝুড়িতে বসিয়ে নিয়েছেন মানি ট্র্যান্সফার অ্যাপ। এর ফলে তার বিক্রি যেমন বেড়েছে, স্বাভাবিক ভাবে লাভের বেড়ে গিয়েছে কয়েক গুন। এই ব্যাপারে তার বক্তব্য,“আগে   খুচরো টাকার অভাবে অনেক খরিদ্দার ঘুরে যেতেন। এখন নগদ টাকা না  থাকলেও অ্যাপ ব্যবহার করে অনায়াসে ক্রয় করতে পারছেন কদবেল । এতে আমার বিক্রি যেমন বেড়েছে, তেমনি অত্যন্ত সুরক্ষিত ভাবে আমার অ্যাকাউন্টে  টাকা জমা হয়ে যাচ্ছে।” 

Global Warming-২০৩০ সালের মধ্যে জলের তলায় ডুববে কলকাতা, তালিকায় বড় বড় শহরের নামও

Aryan Khan Case- মাদক মামলায় আরিয়ান খানকে ফাঁসানো হয়েছে-বিস্ফোরক তথ্য প্রকাশ্যে

Modi in Approval ratings-বিশ্বনেতাদের ব়্যাঙ্কিংয়ে এক নম্বর, জনপ্রিয়তার শীর্ষে মোদী

ইসারাফিলের দাবি তার এই সুবিধার কথা জানতে পেরে বেশ কয়েক জন ফেরিওয়ালা এসবিআই ভীম পে, পেটিএম পরিষেবা পেতে ব্যাঙ্কের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। পথ চলতি মহিলা ক্রেতারা মুচকি হেসে বলছেন," কদবেল মহিলাদের জন্য অত্যন্ত লোভনীয় জিনিস, ফুটপাতে বিক্রি হচ্ছে দেখে দাঁড়িয়ে পড়ি। কাছে খুচরো টাকা না থাকায় অ্যাপ ব্যবহার করে দিব্যি বড় বড় ডিপার্টমেন্টাল স্টোরের মত নির্দ্বিধায় খুচরো টাকা মিটিয়ে দিতে পারছি। এই ভাবেই তো 'ডিজিট্যাল' ভারতবর্ষের স্বপ্ন কেবল শহরের নয়,গ্রামের প্রান্তিক মানুষের মধ্যেও আজ ছড়িয়ে পড়েছে। এর চেয়ে ভাল আর কি হতে পারে"।

PREV
click me!

Recommended Stories

১ বছর পরে ২ দিনের সফরে কোচবিহার যাচ্ছেন মমতা, রইল সোম ও মঙ্গলের ঠাসা কর্মসূচি
Dilip Ghosh: বাংলায় ‘বাবরি মসজিদ’! বিজেপির দিলীপ হুমায়ুনকে দিলেন চরম উপদেশ