বন্ধ ঘরে মিলল স্বামী-স্ত্রীর দেহ, লাভপুরে বৃ্দ্ধ দম্পতির মৃত্যুতে ঘনাচ্ছে রহস্য

  • ডাকাতিতে বাধা দিতে গিয়েই কি খুন?
  • বন্ধ ঘরে মিলল বৃদ্ধ দম্পতির রক্তাক্ত দেহ
  • চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বীরভূমের লাভপুরে
  • তদন্তে নেমেছে পুলিশ

Asianet News Bangla | Published : Sep 25, 2020 1:02 PM IST

আশিষ মণ্ডল, বীরভূম: ডাকাতিতে বাধা দিতে গিয়েই কি খুন হয়ে গেলেন? সাতসকালে ঘরের দরজা ভেঙে এক বৃদ্ধ দম্পতির দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বীরভূমের লাভপুরে। হতবাক প্রতিবেশীরা। 

আরও পড়ুন: মন্দির তৈরির সাধ অধরা, প্রতারকের খপ্পরে পড়ে লক্ষাধিক টাকা খোয়ালেন সন্ন্যাসী

স্বামী অবসরপ্রাপ্ত রেলকর্মী, আর স্ত্রী শিক্ষিকা। পরিবারের আর্থিক অবস্থা যথেষ্ট ভালো। লাভপুরের ঠিবা পঞ্চায়েতের ব্রাহ্মণপাড়া গ্রামে থাকতেন পূর্ণেন্দু চট্টোপাধ্যায় ও স্বপ্না চট্টোপাধ্যায়। প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, পাড়ায় সকলের সঙ্গে অত্যন্ত ভালো সম্পর্ক ছিল ওই দম্পতির। বিপদে-আপদে পাশে দাঁড়ানোই শুধু নয়, প্রয়োজনে আর্থিক সাহায্য করতেন তাঁরা। একমাত্র ছেলের অবশ্য বাবা-মায়ের সঙ্গে বসবাস করতেন না। 

প্রতিদিনই খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠে পড়তেন স্বামী ও স্ত্রী। কিন্তু শুক্রবার বেলা গড়িয়ে গেলে তাঁদের কোনও সাড়া শব্দ পাওয়া যাচ্ছিল না। কী ব্যাপার? তখন প্রায় ঘড়িতে প্রায় সাড়ে ছ'টা। চট্টোপাধ্যায় দম্পতির বাড়ির দরজায় ধাক্কা দেন প্রতিবেশী এক মহিলা। কিন্তু বাড়ির ভিতর থেকে কেউ সাড়া দেয়নি। সন্দেহ হওয়ায় ওই মহিলা আশেপাশের লোকজনকে খবর দেন। শেষপর্যন্ত পুলিশ যখন দরজা ভেঙে বাড়ির ভিতরে ঢোকে, তখন দেখা যায়, মেঝেতে মৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন পূর্ণেন্দু চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর স্ত্রী স্বপ্না। গোটা ঘর রক্তে ভেসে যাচ্ছে! দেহটি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। 

আরও পড়ুন: ঘরে ফিরেছে নাগা বাহিনী, এবার পুরুলিয়ায় মাওবাদী দমনে সিআরপিএফ

কিন্তু কীভাবে এমন ঘটনা ঘটল? যেখানে দেহ দুটি পড়েছিল, সেখান থেকে দুটি ভারী ধাতব বস্তু উদ্ধার করেছে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, লুটপাটের উদ্দেশ্য় হয়তো বাড়িতে কেউ এসেছিল। বাধা দিতে গেলে ভারী বস্তুর আঘাতে ওই দম্পতিকে খুন করা হয়েছে। প্রতিবেশীদের অবশ্য দাবি, বাড়ির সদর দরজা ভিতর থেকে বন্ধ ছিল। তাহলে? মৃত দম্পতির ছেলে জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার রাতে ছাদের দুটি দরজার মধ্যে একটি খোলা ছিল। সেই পথে কেউ ঘরে ঢুকে ছিল। পরিচিত কেউ ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয় তো? খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

Share this article
click me!