গরু পাচার চক্রে তদন্ত যতই এগোচ্ছে। ততই রহস্যের জাল ঘণীভূত হচ্ছে। সিবিআই স্ক্যানারে থাকা এক বিএসএফ কর্তা ও এক পাচারাকারী সম্পর্কে বিস্ফোরক তথ্য পেল সিবিআই। গরু পাচারকাণ্ডে জড়িত ওই বিএসএফ সতীশ কুমারের বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির হদিশ মিলেছে। পাশাপাশি, পাচারকারী এনামূল হকের বিরুদ্ধে বিপুল পরিমাণ টাকা লেনদেনের অভিযোগ উঠছে।
আরও পড়ুন-ভ্রমণ প্রেমীদের জন্য সুখবর, পুজোর মুখেই পর্যটনের জন্য খুলল সুন্দরবন
গরু পাচার চক্রে ২১ সেপ্টেম্বর মামলা নথিভুক্ত করে সিবিআই। পরের দিনই অর্থাৎ ২২ সেপ্টেম্বর সিবিআইকে তল্লাশির অনুমতি দেয় আসানসোল আদালত। তারপর থেকে বুধবার রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় দিনভর তল্লাশি চালায় সিবিআই আধিকারিকরা। গরু পাচারকারী এনামূল হকের কলকাতায় একটি আস্তানা ও মুর্শিদাবাদের কয়েক জায়গায় তল্লাশি চালানো হয়। তার একটি ব্য়াঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে ১৩০ কোটি টাকার হদিশ মিলেছে। পাশাপাশি, চাল কল, বাংলাদেশ পেঁয়াজ রপ্তানি সহ বিভিন্ন কারবারের হদিশ পেয়েছেন গোয়েন্দারা।
আরও পড়ুন-'টাকা দিলেই বাড়তি পেনশন', স্কুল পরিদর্শকের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ মেদিনীপুরে
অন্যদিকে, গরু পাচার চক্রে জড়িত বিএসএফ কর্তা সতীশ কুমারের সম্পর্কেও বিস্ফোরক তথ্য পেল সিবিআই। সল্টলেকে বাড়ি ও ফ্ল্যাট রয়েছে তাঁর। পাশাপাশি, অমৃতসরে তিনটি বাড়ি, ফ্ল্যাট, অমৃতসরে বাগানবাড়ি, মুসৌরিতে হোটেল, রায়পুর ও শিলিগুড়িতে বাড়ি রয়েছে ওই বিএসএফ কর্তার। সল্টলেকের বাড়িটিকে সিল করেছে সিবিআই।
গরু পাচার চক্রে নামজাদা লোকের নাম এখন সিবিআই স্ক্যানারে। তদন্ত যতই এগোচ্ছে ততই ঘণীভূত হচ্ছে রহস্য। পাশাপাশি, সতীশ কুমারের মতো সাধরণ বিএসএফ জওয়ানের এত এত পরিমাণ সম্পত্তির হদিশ রীতিমত উদ্বিগ্ন সিবিআই আধিকারিকরা।