মধ্য়মগ্রামে পুলিশের জালে এবার ভুয়ো তৃণমূল নেতা । ধৃত ব্যাক্তি দলের কেউ নন বলেই দাবি তৃণমূলের।
মধ্য়মগ্রামে (Madhyamgram) পুলিশের জালে এবার ভুয়ো তৃণমূল নেতা (Fake TMC Leader )। উল্লেখ্য, ভুয়ো আইএস অফিসার, ভুয়ো আইপিএস অফিসার, ভুয়ো ইন্সপেক্টর, ভুয়ো অ্যাসিটেন্ট সুপার, ভুয়ো রেলের চালকের পর এবার ভুয়ো তৃণমূল নেতার পর্দা ফাঁস করল রাজ্য পুলিশ (WB Police)। তৃণমূলের সদস্য় পদ পাইয়ে দেবার নামে মোটা টাকা লুঠের অভিযোগ উঠেছে মধ্যমগ্রামের ওই ভুয়ো নেতা সুব্রত ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে। তবে ইতিমধ্যেই (TMC) তৃণমূলের তরফে দাবি করা হয়েছে, ধৃত ব্যাক্তি দলের কেউ নন। যদি অভিযোগ অস্বীকার করে ফাঁসানোর অভিযোগ তুলেছেন ধৃতের পরিবার।
আরও পড়ুন, Crime: পুলিশের জালে এবার ভুয়ো 'নাসা'-র এজেন্ট, গ্রেফতার এয়ারপোর্টের বাসিন্দা মধুমিতা সাহা
প্রসঙ্গত, ভোটের পর থেকে ভুয়ো আইএএস দেবাঞ্জন কাণ্ড ফাঁস হবার পর থেকেই নড়ে বসেছে রাজ্য প্রসাশন। ইতিমধ্যেই ভুয়ো আইপিএস, ভুয়ো সিবিআই আধিকারিক, মানবাধিকার কমিশনের কর্মী, এমনকি ন্যাশনাল ক্রাইম ব্য়ুরোর ভুয়ো আধিকারিকও পুলিশের জালে ধরা পড়েছে। শহরের রাস্তায় কড়া নজর রাখা হচ্ছে নীল বাতি গাড়ি কিংবা রাজ্য-কেন্দ্রের নামে লেখা স্টিকার এবং নেমপ্লেটে। গাড়ি থামিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আর এতে সহয়োগিতাও করছে প্রকৃত নীলগাড়ির বড় কর্তারা। তবে মাঝে মাঝে মধ্যে বেগতিক দেখলে পুলিশ গাড়ি থামাতেই ধরা পড়ছে একের পর এক ভুয়ো গুণধরেরা। কখনও আইপিএস বা ভারত সরকার-রাজ্য সরকারের শীর্ষ পদে নামাঙ্কিত করে গাড়ির উপরে রাখছে দুষ্কৃতিরা। একাধিক প্রতারকের পর্দা ফাঁস করেছেন কলকাতা ও রাজ্য পুলিশ। তবে এখনও অবধি যতো ভুয়ো কাণ্ড ধরা পড়েছে, তার মধ্যে রাজনৈতিক ক্ষেত্রে কেউ ভুয়ো নেতা হিসেবে ধরার পড়ার তেমন কোনও খবর এর আগে কখনও না মিললেও ভুয়ো তৃণমূল নেতার খবর প্রকাশ্যে আসতেই উপনির্বাচনের আগে ফের গুঞ্জন রাজনৈতিক মহলে। প্রশ্ন উঠেছে তবে কি সষ্যের মধ্যেই ভূত। কারণ আইএস দেবাঞ্জনের একাধিক ছবি এসেছে শাসকদলের সঙ্গে। যা নিয়ে অভিযোগ জানিয়েছিল বিজেপি। যদিও তা অস্বীকার করেছে তৃণমূল। বলেছে ওই ঘটনার সঙ্গে কোনও যোগাযোগ নেই। আর এবার মধ্যমগ্রামে পুলিশে জালে ভুয়ো তৃণমূল নেতার খবর আসতেই স্বাভাবিকভাবেই বঙ্গ রাজনীতিতে নতুন আলোড়ন তুলেছে।
আরও পড়ুন, রেলের চোখে ধুলো দিয়ে শিয়ালদহ শাখায় ৫ বছর চাকরি, পুলিশের জালে এবার ভুয়ো ট্রেন চালক
পুলিশ সূত্রে খবর, এক ব্যাক্তি মধ্যমগ্রাম থানায় এসে সুব্রত ভট্টাচার্যের নামে অভিযোগ জানান। অভিযোগ, ভুয়ো তৃণমূল নেতা সেজে দলে সদস্যপদ পাইয়ে দেওয়ার নামে কাজ করতেন মধ্যমগ্রামের বাসিন্দা সুব্রত ভট্টাচার্য। এবং নিজেকে ওয়েস্ট বেঙ্গল সোশ্যাল মিডিয়া কমিটির সভাপতি বলে পরিচয় দিতেন তিনি। এই অভিযোগ পেয়েই সুব্রত ভট্টাচার্যকে গ্রেফতার করে পুলিশ। স্থানীয় সূত্রের দাবি, সরকারি আইনজীবী লেখা বোর্ড লাগানো একটি গাড়িতে চড়ে ঘুরে বেড়াতেন ধৃত ওই ব্যাক্তি। এবং নীচে লেখা মধ্যমগ্রাম তৃণমূল কংগ্রেস। সেই সঙ্গে ওয়েস্টবেঙ্গল আইটি সেলের সভাপতি বলেও পরিচয় দিতেন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়াতেও ঘাসফুল চিহ্নের লোগো ব্যবহার করতেন তিনি। যদিও ধৃত ব্যাক্তির সঙ্গে দলের কোনও যোগাযোগ নেই বলেই দাবি তৃণমূলের। যদিও এই ঘটনায় নিশানা করেছে বিজেপি। মধ্যমগ্রাম পশ্চিম মণ্ডল সভাপতি দেবাশীষ চৌধুরী বলেছেন,' ভোটের পর থেকে শুধু ফেক দেখছি। তৃণমূলের এসব হবে। মানুষ এদের ভোট দিয়েছে।'
আরও পড়ুন, ভাইরাসের ভয় নেই তেমন এখানে, ঘুরে আসুন ভুটানে
আরও দেখুন, মাছ ধরতে ভালবাসেন, বেরিয়ে পড়ুন কলকাতার কাছেই এই ঠিকানায়
আরও দেখুন, বৃষ্টিতে বিরিয়ানি থেকে তন্দুরি, রইল কলকাতার সেরা খাবারের ঠিকানার হদিশ
আরও দেখুন, কলকাতার কাছেই সেরা ৫ ঘুরতে যাওয়ার জায়গা, থাকল ছবি সহ ঠিকানা