ঝালদায় কংগ্রেস কাউন্সিলার খুনে সমবেদনা জানাতে পরিবারের কাছে এলেন আজসু সুপ্রিমো তথা ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন উপ মুখ্যমন্ত্ৰী সুদেশ মাহাতো। সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়ে ঝালদা থানার আইসি-র এখনও দায়িত্বে থেকে যাওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন উপ মুখ্যমন্ত্ৰী।
ঝালদায় কংগ্রেস কাউন্সিলার খুনে ( Jhalda Councillor Murder Case) সমবেদনা জানাতে পরিবারের ( Tapan Kandu's Family )কাছে এলেন আজসু সুপ্রিমো তথা ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন উপ মুখ্যমন্ত্ৰী সুদেশ মাহাতো। সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছেন তিনি। ঝালদা থানার আইসি-র এখনও দায়িত্বে থেকে যাওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন উপ মুখ্যমন্ত্ৰী (Former Jharkhand Minister Sudesh Mahato)।
পুরুলিয়ার ঝালদা শহরে কংগ্রেস কাউন্সিলার হত্যাকাণ্ডের পর সোমবার রাতে সুদেশ মাহাতো তপন কান্দুর বাড়িতে এসে পূর্ণিমা কান্দুর সঙ্গে দেখা করে পুরো ঘটনার বিবরণ নেন। পরিবারের সঙ্গে কথা বলে সুদেশ মাহাতো জানান,' তপন কান্দুকে যেভাবে খুন করা হয়েছে তা নিন্দনীয় এবং দুঃখজনক। তাই এর তীব্র নিন্দা করি।' প্রসঙ্গত, পুরুলিয়ার ঝালদায় কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। গুলিবিদ্ধ অবস্থাতেই তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়, রাঁচির একটি বেসরকারি হাসপাতলে। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। মৃত্য়ু হয় কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুর। এদিকে ত্রিশঙ্কু ঝালদা পুরসভায় কংগ্রেসকে সংখ্যালঘু করতেই শাসকদল হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন জেলা কংগ্রেস সভাপতি নেপাল মাহাতো। নবনির্বাচিত কাউন্সিলরদের নিয়ে সংবর্ধনা সভা করেছিল কংগ্রেস। সেখানে সস্ত্রীক যোগ দিয়েছিলেন কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু। সভা থেকে বিকেলে একাই বেরিয়ে যান। রাস্তায় আচমকাই তিন দুষ্কৃতি গুলি করে পালায়। প্রথমে গুরুতর জখম তপন কান্দুকে নিয়ে যাওয়া হয় ঝালদা মহাকুমা হাসপাতালে। সেখান থেকেই স্থানান্তরিত করা হয়, রাঁচির বেসরকারি হাসপাতালে। এরপরেই মৃত্যু হয় তাঁর।
আরও পড়ুন, তৃণমূলে যোগ দিতে তপন কান্দুকে চাপ দেন আইসি, অভিযোগ ঝালদায় নিহত কাউন্সিলরের স্ত্রীর
ঝালদায় কংগ্রেস কাউন্সিলার খুনে ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন উপ মুখ্যমন্ত্ৰী আরও বলেন, 'এখানে এসে পরিবারের সঙ্গে কথা বলে বুঝলাম, তাদের অভিযোগ ঝালদা থানার আইসি-সহ আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে। কিন্তু এখানে শুনছি আইসি এখনও রয়েছেন। তাঁকে তো সাসপেন্ড করা দরকার ছিল।' উল্লেখ্য, নিহত কাউন্সিলর তপন কান্দুর স্ত্রী পূর্ণিমাদেবীর অভিযোগ থেকে জানা যায়, রাজ্যের পুরভোটের পর তপন কান্দুকে থানায় ডেকে পাঠিয়েছিলেন ঝালদা থানার আইসি। সেখানে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জন্য তপন কান্দুকে চাপ দিচ্ছিলেন খোদ আইসি। এমনকি কথা না শুনলে অপহরণ করে গুম করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি পর্যন্ত দেওয়া হয়েছিল বলে দাবি করেন পূর্ণিমাদেবী। এমনকি তার থেকেও খারাপ কিছু হতে পারে বলে জানিয়েছিলেন তিনি। এরপরেই খুন হন ঝালদায় কংগ্রেস কাউন্সিলার তপন কান্দু। ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন উপ মুখ্যমন্ত্ৰী বলেন,' নিহত তপন কান্দুর পরিবারের দাবি সিবিআই তদন্তের। তাতে আমি একমত। যাতে পরিবারটি ন্যায় পায়। আমি ও আমার দল পরিবারের পাশে আছি। ঝালদা শহরকে ভয়ভীতি মুক্ত করবো' বলে আশ্বাস দেন আজসু সুপ্রিমো সুদেশ মাহাতো। ইতিমধ্যেই এই একই দাবি তুলেছেন কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরি এবং আবদুল মান্নান।