সংক্ষিপ্ত
বাংলার দুই কাউন্সিলরের হত্যাকাণ্ডে তোপ দেগেছেন বিরোধীরা। বাংলার নির্বাচন কি তাহলে হিংসা মুক্ত, প্রশ্ন উঠেছে। ইতিমধ্যেই এই হত্যাকাণ্ডের পর মমতার সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেছে বিরোধীরা।
বাংলার দুই কাউন্সিলরের হত্যাকাণ্ডে তোপ দেগেছেন বিরোধীরা। (WB Election 2022) বাংলার নির্বাচন কি তাহলে হিংসা মুক্ত, প্রশ্ন উঠেছে। ইতিমধ্যেই এই হত্যাকাণ্ডের পর মমতার (Mamata Banerjee) নের্তৃত্বাধীন সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেছে বিরোধীরা। এই ঘটনায় টুইট করে প্রশ্ন তুলেছেন এবং নিশানা করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারি এবং সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar and Suvendu Adhikari)। উল্লেখ্য, রাজ্যে এই দুই কাউন্সিলর হত্যাকাণ্ডে ইতিমধ্যেই গ্রেফাতার একাধিক।
'তৃণমূলের মাত্রাছাড়ানো ক্ষমতার লোভের কারণে হারালো প্রাণ'
বিজেপির রাজ্যসভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেছেন, 'পশ্চিমবঙ্গে রাজনৈতিক হিংসার শেষ নেই। প্রকাশ্যে দিনের আলোয় ২জন কাউন্সিলরকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা নিরাপদ না থাকলে সাধারন মানুষের অবস্থান কোথায় দাঁড়িয়ে,একবার ভাবুন।' পাশাপাশি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারি বলেছেন, 'পুরুলিয়া জেলার ঝালদা পুরসভার ৫ ওয়ার্ড কংগ্রেস, ৫ টি তৃণমূল কংগ্রেস এবং বাকি ২ নির্দল প্রার্থী। বর্তমানে সেখানে ক্ষমতার টানা পোড়েন চলছে। এরই মধ্যে ঝালদা পুরসভার নবনির্বাচিত এবং চারবারের কংগ্রেসের কাউন্সিলর তপন কান্দুকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। মূলত তৃণমূলের মাত্রাছাড়ানো ক্ষমতার লোভের কারণে একটি প্রাণ হারাতে হয়েছে।' উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই খুনের মামলায় নিহত তপন কান্দুর ভাইকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন, সকাল থেকেই আকাশের মুখ ভার, বৃষ্টি নিয়ে কী বলছে হাওয়া অফিস
আচমকাই দুই কাউন্সিলরের উপর গুলিবর্ষণ
প্রসঙ্গত, পুরুলিয়ার ঝালদায় কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। গুলিবিদ্ধ অবস্থাতেই তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়, রাঁচির একটি বেসরকারি হাসপাতলে। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। মৃত্য়ু হয় কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুর। এদিকে ত্রিশঙ্কু ঝালদা পুরসভায় কংগ্রেসকে সংখ্যালঘু করতেই শাসকদল হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন জেলা কংগ্রেস সভাপতি নেপাল মাহাতো। রবিবার দুপুরে নবনির্বাচিত কাউন্সিলরদের নিয়ে সংবর্ধনা সভা করেছিল কংগ্রেস। সেখানে সস্ত্রীক যোগ দিয়েছিলেন কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু। সভা থেকে বিকেলে একাই বেরিয়ে যান। রাস্তায় আচমকাই তিন দুষ্কৃতি গুলি করে পালায়। প্রথমে গুরুতর জখম তপন কান্দুকে নিয়ে যাওয়া হয় ঝালদা মহাকুমা হাসপাতালে। সেখান থেকেই স্থানান্তরিত করা হয়, রাঁচির বেসরকারি হাসপাতালে। এরপরেই মৃত্যু হয় তার। অপরদিকে, উত্তর ২৪ পরগণার পাণিহাটি পুরসভার ৮ নং ওয়ার্ডের জয়ী তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী অনুপম দত্তকেও গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। রবিবার সন্ধ্যায় আগারপাড়া নর্থ স্টেশন রোড সংলগ্ন শিশু উদ্যান পার্কের সামনে দিয়ে বাইকে করে যাওয়ার সময় আক্রমণ চালানো হয় তাঁর উপরেও। বাইকে করে দুই দুষ্কৃতি তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী অনুপম দত্তের উপরে গুলি চালায়। জানা গিয়েছে তিনি রবিবার হরিসভায় একটি মিটিং সেরে আসছিলেন। তখনই তাঁকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।
পুলিশের জালে নদিয়ার হরিণঘাটার বাসিন্দা
পানিহাটির নবনির্বাচিত তৃণমূল কাউন্সিলরকে গুলি করে খুনের ঘটনায় ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে একজনকে। ধৃত ওই ব্যক্তির নাম অমিত পন্ডিত। বাড়ি নদিয়ার হরিণঘাটায়। সোমবার ওই ব্যক্তিকে ব্যারাকপুর মহকুমা আদালতে পুলিশি হেফাজতের আবেদন জানিয়ে পেশ করা হবে বলে জানা গেছে। রবিবার সন্ধেয় আট নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলর অনুপম দত্তকে খুব কাছ থেকে গুলি করে পালায় একদল দুষ্কৃতী । এরপর সঙ্গে সঙ্গেই ওই কাউন্সিলরকে সাগর দত্ত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে বেলঘড়িয়ার একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে স্থানান্তরিত করা হয়। এরপর ওই বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয় তার। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পরিদর্শনে যান মনোজ ভার্মা ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনার। কাউন্সিলরকে খুনের ঘটনায় রাস্তা অবরোধ করে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা। পুরো ঘটনার তদন্ত করছে পুলিশ।