সরকারি কর্মীর বাড়িতে বেআইনিভাবে বন্দুক এবং গুলি রয়েছে। এই অভিযোগে হানা দিয়েছিল পুলিশ। ধরা পড়ে যাওয়ার ভয়ে আস্ত বুলেটই খেয়ে ফেললেন ওই
সরকারি কর্মী। গুলি উদ্ধারে গিয়ে এভাবেই কার্যত নাকানিচোবানি খেতে হল রায়গঞ্জ থানার পুলিশকে।
আরও পড়ুন- মাঝরাস্তায় ফিল্মি কায়দায় তৃণমূল নেতা খুন, মুর্শিদাবাদে হত্যালীলা চলছেই
শেষ পর্যন্ত অস্ত্রোপচার করে ওই সরকারি কর্মীর পেট থেকে গুলি বের করা হয়েছে। আপাতত তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল বলেই জানা গিয়েছে।
সূত্রের খবর, গত বুধবার সন্ধ্যায় নুর ইসলাম নামে রায়গঞ্জ হাসপাতালের ওই গ্রুপ ডি কর্মীর বাড়িতে হানা দেয় রায়গঞ্জ থানার পুলিশ। তিনি উত্তর দিনাজপুরের হেমতাবাদ থানার বারুইবাড়ি এলাকার বাসিন্দা। পুলিশের দাবি, সরকারি কর্মীর কাছে গুলি এবং আগ্নেয়াস্ত্র আছে বলে নিশ্চিত খবর পেয়েই তারা সেগুলি উদ্ধারে হানা দিয়েছিল। আর পুলিশ দেখেই ওই সরকারি কর্মী আস্ত গুলিটিই গিলে ফেলেন। গুলি উদ্ধারে গিয়ে উল্টে বিপাকে পড়েন পুলিশকর্মীরা। তড়িঘড়ি ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আরও পড়ুন- স্ত্রীর সঙ্গে অন্তরঙ্গ দাপুটে তৃণমূল নেতা, হাতেনাতে ধরে বেঁধে রাখলেন স্বামী
হাসপাতালে আনার পরে এক্সে রে করে দেখা যায় গুলি রয়েছে ওই সরকারি কর্মীর পেটের ভিতরেই। বৃহস্পতিবার শেষ পর্যন্ত অস্ত্রোপচার করে তা বের করা হয়। গুলিটি বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। আপাতত নুর ইসলামকে হাসপাতালে নজরবন্দি করে রাখা হয়েছে। কারণ পুলিশের ধারণা, গুলির পাশাপাশি ওই সরকারি কর্মীর কাছে আগ্নেয়াস্ত্রও রয়েছে। কিন্তু কোনওভাবে তিনি তা লুকিয়ে ফেলেছেন। কী উদ্দেশ্যে বা কোথা থেকে ওই গুলি তাঁর কাছে এলো, তাও জেরা করে জানতে চায় পুলিশ।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই সরকারি কর্মীর অবশ্য অভিযোগ, স্ত্রীর সঙ্গে তাঁর বিবাহবিচ্ছেদের মামল চলছে। ষড়যন্ত্র করে স্ত্রীই তাঁর বাড়িতে পুলিশ পাঠিয়েছেন বলে তাঁর অভিযোগ। সার্চ ওয়ারেন্ট ছাড়াই পুলিশ তল্লাশি শুরু করে বলেও অভিযোগ তাঁর। তবে গুলি তাঁর কাছে কোথা থেকে এল, তা বলতে পারেননি ওই সরকারি কর্মী।