পণের টাকা না মেলায় শ্বশুর বাড়িতে ফিরে বধূর দেহ উদ্ধার, বালিশ চাপা দিয়ে খুনের অভিযোগ

  • পণের দাবিতে গৃহবধূকে খুনের অভিযোগ
  • বালিশ চাপা দিয়ে বধূকে খুনের অভিযোগ
  • ঘটনার তদন্তে নেমে চাঞ্চল্যকর তথ্য 
  • ঘটনার জেরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মালদহে

Asianet News Bangla | Published : Nov 4, 2020 2:57 PM IST

দ্বৈপায়ন লালা, মালদহ-পণের দাবিতে গৃহবধূর উপর দীর্ঘদিন ধরে অত্যাচারের অভিযোগ ছিল শ্বশুর বাড়ির বিরুদ্ধে। বুধবার সকালে বাপের বাড়িতে চল্লশি হাজার টাকা চাইতে গিয়েছিল গৃহবধূ। মা গিয়ে তিনি বলেছিলেন, আমাকে ৪০ হাজার টাকা না দিলে আমাকে শ্বশুর বাড়ির লোকেরা মেরে ফেলবে। অন্তঃসত্ত্বা মেয়েকে মা বলেছিলেন, ভিন রাজ্যে ছেলেরা কাজে গিয়েছে। তাঁরা টাকা পাঠালেই পৌঁছে দেবেন। কিন্তু বাপের বাড়ি থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে শ্বশুর বাড়িতে ফেরার কয়েক ঘণ্টা মধ্যে দেহ উদ্ধার হল ওই গৃহবধূর।

আরও পড়ুন-পুকুর সংস্কারের কাজের সময় উদ্ধার বিশালকৃতির ২টি সাপ, পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনায় চাঞ্চল্য

চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের পুখুরিয়া থানার পরাণপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিষাণপুর এলাকায়। মৃত গৃহবধূ বছর তেইশের আসমিরা খাতুন। পণের টাকা না নিয়ে বাড়িতে ফেরায় তাঁকে বালিশ চাপা দিয়ে খুন করা  হয়েছে বলে অভিযোগ। মৃতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে স্বামী ও শাশুড়িকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ।

আরও পড়ুন-সরকারি কর্মী হিসেবে স্বীকৃতি দাবি, জেলাশাসকের কাছে স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদন স্বাস্থ্যকর্মীদের

জানাগেছে. বছর চারেক আগে চাঁদপুরের আসমিরার সঙ্গে দেখাশুনা করে বিয়ে হয়েছিল পেশায় শ্রমিক বিষাণপুরের শেখ হাইউলের সঙ্গে। বিয়ের সময় দাবি মতো পণ না মেলায় তাঁর স্ত্রীকে বাপের বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছিল হাইউল। সেই টাকা মেটাতে তাণঁর তিন ভাই ভিন রাজ্যের শ্রমিকের কাজে চলে যান। টাকা পেয়ে দশ মাস বাদে স্ত্রীকে বাড়িতে নিয়ে যায় হাইউল। কিন্তু আরও টাকার দাবিতে আসমিরার উপর অত্যাচার চালানো হয় বলে অভিযোগ। কয়েক দিন আগে ফের ৪০ হাজার টাকা দাবি করে হাইউল। টাকা না মিললে আসমিরাকে মেরে ফেলার হুমকিও দিয়েছিল হাইউল। সেকারণে মঙ্গলবার বাপের বাড়িতে টাকা নিতে গিয়েছিল আসমিরা। কিন্তু টাকা না মেলায় তাঁকে বালিশ চাপা দিয়ে থুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ। ঘটনায় অভিযুক্ত শ্বশুর বাড়ির লোকজনদের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছে পরিবার।


 

Share this article
click me!