হাওড়া শহরের সার্বিক নিরাপত্তার জন্য শহরের বড়ো হোটেল গুলিতে অতিরিক্ত সিসিটিভি লাগানো হয়েছে। সমস্ত ক্যামেরা যাতে ঠিকঠাক ভাবে কাজ করে, সেই বিষয়টিও নিশ্চিত করা হয়েছে। একইসঙ্গে হাওড়ায় ঢোকার মুখে দু’টি টোল প্লাজা এবং শপিং মলের চারপাশে বর্ষবরণ উপলক্ষে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
এদিকে ওমিক্রণের(Omicron) চোখ রাঙানি অন্যদিকে নাশকতার সম্ভাবনা(Possibility of sabotage)। সব মিলিয়ে ইতিমধ্যেই গোটা তিলোত্তমাকেই কড়া নিরাপত্তার চাদড়ে মুড়ে ফেলতে শুরু করেছে কলকাতা পুলিশ(Kolkata)। সেই সঙ্গে তত্পরতা বাড়িয়েছে হাওড়া সিটি পুলিশ(Howrah City Police)। বর্ষবরনের পূর্বে বর্ষ বিদায়ের রাতে কোনোরকম অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে একাধিক উদ্যোগ নেওয়া হল হাওড়া সিটি পুলিশের তরফে। বিদ্যাসাগর সেতু, হাওড়া ব্রিজ(Howrah Bridge), বালি ব্রিজ সহ হাওড়া শহরে ঢোকার সমস্ত প্রবেশপথগুলিতে ইতিপূর্বে রাত থেকে শুরু হয়েছে বিশেষ নজরদারি। পাশাপাশি এই জায়গাগুলিতে কর্তব্যরত পুলিশ কর্মীদের সঙ্গে থাকছে ব্রেথ অ্যানালাইজার যন্ত্র। মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালালে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে হাওড়া সিটি পুলিশ।
পাশাপাশি হাওড়ার সমস্ত রাস্তাতেই পুলিশি টহলদারিও বাড়ানো হয়েছে। রাতের দিকে তা আরও কড়া হবে বলে জানা যাচ্ছে। বিশেষ নজরদারি চলবে বছরের শেষ ও শুরুর দিন দুটিতে। এর পাশাপাশি হাওড়া সিটি পুলিশের মহিলা উইনার্স দল মহিলাদের সুরক্ষার দেওয়ার জন্যও প্রস্তুত রয়েছে। এছাড়াও থাকছে সাদা পোশাকের পুলিশও। নিরাপত্তা প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে হাওড়া পুলিশ কমিশনারেটের(Howrah Police Commissionerate) ডিসি (হেড কোয়ার্টার) দ্যুতিমান ভট্টাচার্য বলেন, “আমরা সবরকমের সতর্কতামূলক ব্যবস্থাই করেছি। মানুষ আনন্দ করুন। কিন্তু তাতে যেন অন্য কারও সমস্যা না হয় বা বেআইনি কিছু না হয়। সেদিকে আমরা নজর রাখব। পাশাপাশি শহরের বেশ কিছু স্থানে ও বিভিন্ন মলে বোম স্কোয়ার্ড, স্নিপার ডগ নিয়ে চলছে তল্লাশি অভিযান।”
আরও পড়ুন-পদ্ম হোক বা ঘাসফুল, বছরভর বিতর্কিত মন্তব্য করে শিরোনামে থেকে এই দিকপাল নেতারা
একই সঙ্গে তিনি আরও জানান, “পদস্থ পুলিশ কর্তাদের এক-একটি এলাকার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। হাওড়ার বিভিন্ন হোটেলে কারা ঢুকছেন, কারা কখন বেরচ্ছেন, সেসবের জন্য একাধিকবার অভিযান করা হচ্ছে। হাওড়া শহরের বিভিন্ন পানশালা, রেস্তরাঁ এবং কার পার্কিংয়ের জায়গাগুলিতে বিশেষ নজরদারি রাখা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, কলকাতার দিক থেকে মধ্যরাতের পার্টি শেষ করে যাঁরা ফেরেন, তাঁদের উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করতে দেখলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ব্রেথ অ্যানালাইজার ব্যবহার করে মদ্যপ চালকদের ধরাও হবে।”
আরও পড়ুন-তৃতীয় ঢেউয়ের দোরগোড়ায় বাংলা, বর্ষবরণের মুখে নাইট কার্ফু নিয়ে কী ভাবছে রাজ্য
পুলিস ও প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, হাওড়া শহরের সার্বিক নিরাপত্তার জন্য শহরের বড়ো হোটেলে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। সমস্ত ক্যামেরা যাতে ঠিকঠাক ভাবে কাজ করে, সেই বিষয়টিও নিশ্চিত করা হয়েছে। একইসঙ্গে হাওড়ায় ঢোকার মুখে দু’টি টোল প্লাজা এবং শপিং মলের চারপাশে বর্ষবরণ উপলক্ষে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।