টিকা না মিললে মণ্ডপে জ্বলবে না আলো, অন্ধকারেই দুর্গাপুজো হবে আসানসোলে

অ্যাসোসিয়েশনের দাবি, ওই কাজের সঙ্গে যুক্ত শ্রমিকদের টিকা না দেওয়া হলে তাঁরা কাজ করতে পারবেন না। শুধু পুজোই নয়, ১৫ অগাস্ট থেকেই এই কাজ না করার কর্মসূচি নেবেন তাঁরা। 

Asianet News Bangla | Published : Aug 3, 2021 3:08 PM IST / Updated: Aug 03 2021, 08:44 PM IST

দুর্গাপুজো মানে সেখানে ঝলমল করবে আলো, দূর থেকে ভেসে আসবে মন্ত্র আর ঢাকের শব্দ। আর মণ্ডপের মধ্যে জ্বলজ্বল করবে প্রতিমার মুখ। প্রতিমার পাশাপাশি মণ্ডপকেও সুন্দর করে সাজিয়ে তোলা হয়। মণ্ডপে আলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আলোর ভূমিকা অনেক বেশি। কিন্তু, ভাবুন তো মণ্ডপে যদি আলোই না থাকে তাহলে কি হবে। মাত্র একটা বাল্ব জ্বলবে। তা দিয়েই মায়ের মুখ দর্শন করতে হবে। এমনটা সাধারণত কোথাও দেখতে পাওয়া যায় না। তবে ব্যতিক্রম সব জায়গাতেই থাকে। আর আসানসোল তথা পশ্চিম বর্ধমানের সব পুজো প্যান্ডেলে এবার এই ছবিই ধরা পড়তে চলেছে। লাইট মাইক অ্যাসোসিয়েশনের তরফে একথা জানানো হয়েছে। 

 

আরও পড়ুন- ভারী বর্ষণে প্লাবিত একাধিক গ্রাম, বুধবার ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে যাবেন মুখ্যমন্ত্রী

অ্যাসোসিয়েশনের দাবি, ওই কাজের সঙ্গে যুক্ত শ্রমিকদের টিকা না দেওয়া হলে তাঁরা কাজ করতে পারবেন না। শুধু পুজোই নয়, ১৫ অগাস্ট থেকেই এই কাজ না করার কর্মসূচি নেবেন তাঁরা। তবে শুধু টিকাই নয়, প্রায় দু'বছর করোনার জেরে ব্যবসায় অনেকটা ক্ষতি হয়ে গিয়েছে। কাজ না থাকায় আর্থিক সমস্যায় পড়েছেন তাঁরা। আর সেই পরিস্থিতি কাটিয়ে ওঠার জন্য সরকারের থেকে ঋণ দাবি করেছেন। 

"

করোনা টিকার জন্য হন্যে হয়ে ঘুরেও কোনও লাভ হচ্ছে না বলে অভিযোগ অ্যাসোসিয়েশনের। একাধিকবার আশ্বাস দিয়েছেন আসানসোল মিউনিসিপ্যাল করপোরেশনের প্রশাসক অমরনাথ চট্টোপাধ্যায় ও বারাবনির বিধায়ক বিধান উপাধ্যায়। কিন্তু, তা সত্ত্বেও টিকা মিলছে না। ফলে টিকা না নিয়ে কাজ করলে করোনায় আক্রান্ত হতে পারেন শ্রমিকরা। আর তাঁদের থেকে পরিবারের মধ্যেও সেই সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে। সেই ভয়তেই তাঁরা কাজ করতে চাইছেন না। সংগঠনের কোষাগারেও তেমন টাকা নেই। বন্ধ রয়েছে ব্যবসা। এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সাহায্য দাবি করেছেন তাঁরা। 

আরও পড়ুন- অস্ত্র কারখানার হদিশ মিলল কাটোয়ায়, ডেকরেটর্স ব্যবসায়ীর বাড়িতে তৈরি হত বন্দুক

এদিকে দাবি না মিটলে কাজ বন্ধ রাখার কথা বলছেন অ্যাসোসিয়েশনের পাদাধিকারী সঞ্জয় রায়। তিনি বলেছেন, "পুজোতে মাইক বাজবে না। আলো জ্বলবে না। এতে কিছুই করার নেই। ১৫ অগাস্টের আগে টিকা না পেলে তখন থেকেই কাজ বন্ধের ডাক দেওয়া হবে। আর আর্থিক অনুদান না পেলে পুজোতে তো মাইক বাজানো বা গান শোনানো সম্ভবই নয়।"

আরও পড়ুন- হুমায়ুন কবীর ‘‌কাটমানি’‌ নেন, পঞ্চায়েত প্রধানদের বিরুদ্ধে আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি বিধায়কের

প্রসঙ্গত, গত দু বছরে করোনা পরিস্থিতিতে আর্থিক সমস্যায় পড়েছেন অনেকেই। ইলেকট্রিকের কাজের সঙ্গে যুক্ত কর্মীরা কেউ সবজি বিক্রি করছেন, কেউ বা অন্য কিছু। যেখানে সরকারি নির্দেশ যে পুজো কমিটির সকল সদস্যকে টিকা নিতে হবে সেখানে টিকা না নিয়ে কীভাবে লাইট ও মাইকের কাজ করবেন তাঁরা। তাই মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তাঁদের অনুরোধ, রূপশ্রী, কন্যাশ্রী প্রকল্পের মতো তাঁদের জন্যও কিছু ব্যবস্থা করা হোক। 


Share this article
click me!