শনিবার বিকেলে জার ভর্তি পেট্রোল নিয়ে ঢুকে পড়ে পেশায় বিএসএফ কর্মী আশীষ খাঁড়া। মেদিনীপুর শহরেরই শরৎ পল্লির বাসিন্দা আশীষ। তাঁর দাবি ছিল প্রেমিকা বিয়েতে যে অমত পোষণ করেছে তা প্রত্যাহার করতে হবে।
বিয়েতে রাজি নয় প্রেমিকা। তাই বিয়ের মত পেতে পেট্রোল জার হাতে করে প্রেমিকার বাড়িতে ঢুকে পড়ল প্রেমিক। এরপর যা ঘটল তা আরও রোমহর্ষক। জার ভর্তি পেট্রোল সোজা নিজের শরীরে ঢেলে ফেলে সেই প্রেমিক। পরিস্থিতি দেখে হুলস্থুল কাণ্ড। এমনকী, প্রেমিকার বাবা-কে ভোজালি দিয়ে কোপানোর চেষ্টার অভিযোগও রয়েছে ওই পাগলা আশিকের বিরুদ্ধে। মেদিনীপুর শহরের পাটনা বাজার এলাকার এই ঘটনা।
আরও পড়ুন- প্রচারে চাই চমক, কেষ্টদাকে চায় ত্রিপুরা তৃণমূল
আরও পড়ুন- 'ভালোবাসার শাস্তি', কিশোরের যৌনাঙ্গ কেটে পিটিয়ে হত্যা করল প্রেমিকার আত্মীয়রা
জানা গিয়েছে, শনিবার বিকেলে জার ভর্তি পেট্রোল নিয়ে ঢুকে পড়ে পেশায় বিএসএফ কর্মী আশীষ খাঁড়া। মেদিনীপুর শহরেরই শরৎ পল্লির বাসিন্দা আশীষ। তাঁর দাবি ছিল প্রেমিকা বিয়েতে যে অমত পোষণ করেছে তা প্রত্যাহার করতে হবে। কিন্তু, বিয়েতে কোনওভাবেই মত দিতে রাজি ছিলেন না প্রেমিকা। কারণ, তাঁর দাবি ওই বিএসএফ জওয়ান আগে থেকেই বিবাহিত এবং এক পুত্র সন্তানের জনক। ২০১৮ সালে এক দুর্গাপুজোর মণ্ডপে পরিচয় হয়েছিল তাঁর। এরপর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিয়ের বিষয়েও তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন প্রেমিকা। কিন্তু, তিনি পরে জানতে পারেন প্রেমিক আশীষ আগে থেকেই বিবাহিত। এই সত্য গোপন করে তাঁর সঙ্গে সে মিশেছে। এরপরই প্রেমিকা সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চান। অভিযোগ, আশীষ জানিয়েছিল, স্ত্রী-র সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা চলছে। কিন্তু, সেই বিচ্ছেদের মামলারও কোনও মিমাংসা না হওয়ায় প্রেমিকা পাকাপাকিভাবে সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসে। অভিযোগ এরপর থেকেই নানাভাবে ইমোশনাল অত্যাচার শুরু করে আশীষ। পরিস্থিতি একটা চরম আকার ধারণ করে যখন শনিবার আশীষ পেট্রোল ভর্তি জার নিয়ে পাটনা বাজারে প্রেমিকার বাড়িতে হাজির হয় তখন।
আরও পড়ুন- অভিনয়ে সুযোগ দেওয়ার নামে সোশ্যাল মিডিয়ায় মডেলের অর্ধনগ্ন ছবি ফাঁস, গ্রেফতার ২
আশীষ-কে পেট্রোল ঢালতে দেখে প্রেমিকার বাবা ও পরিবারের অন্য সদস্যরা এগিয়ে আসেন। সকলে মিলে আশীষকে বাড়ি থেকে টেনে বের করে পাশের একটি ফাঁকা দোকানঘরে নিয়ে যান। কিন্তু সেখানে সে প্রেমিকার বাবাকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে আঘাতের চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে আশীষকে দোকানঘরের মধ্যে বন্দি করে রাখা হয়। খবর দেওয়া হয় পুলিশে।
আরও পড়ুন- 'মোদীর বিরুদ্ধে লড়াই অব্যাহত রাখতে চাই', বার্তা দিলেন রাজ্যসভায় মমতার প্রার্থী জহর সরকার
অভিযোগ, পুলিশ আসার খবর পেয়েই পালানোর চেষ্টা করে আশীষ। কিন্তু শরীর পেট্রোলে ভিজে থাকায় অসুস্থ হয়ে পড়ে সে। পুলিশ তাকে গ্রেফতারের পর হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে আশীষ পাল্টা অভিযোগ করে যে প্রেমিকার পরিবারের লোক তাকে প্রাণে মেরে ফেলার চেষ্টা করেছিল। প্রেমিকার বাবা ও পরিবারের অন্য সদস্যরা তার গায়ে পেট্রোল ঢেলে দিয়েছিল বলেও অভিযোগ করে আশীষ। যদিও, সিসিটিভি ফুটেজে আশীষকেই পেট্রোলের জার হাতে করে ভিতরে ঢুকতে দেখা গিয়েছে। আশীষের কড়া শাস্তির দাবি জানিয়েছে প্রেমিকার পরিবার।