বিজেপির পশ্চিমবঙ্গের কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়র নিশানায় এবার এরাজ্যের পুলিশ কর্মীরা। আর তাঁদের হুঁশিয়ারি দিতে একেবারে গব্বরের বুলি শোনা গেল বিজেপির এই কেন্দ্রীয় নেতার কন্ঠে।
শুক্রবার পুরুলিয়ায় দলীয় একটি জনসভায় অংশ নেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়। সেখানেই তিনি দাবি করেন, ২০২১ সালে পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতায় আসবে বিজেপি। আর তখনি বিজেপি কর্মীদের উপর অত্যাচার চালান সরকারি কর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দেখুন ভিডিও: 'অব তেরা কেয়া হোগা কালিয়া', পুলিশকে হুমকি দিতে গব্বরের বুলি কৈলাসের গলায়
বিজয়বর্গীয়র অভিযোগ, রাজ্যে বিজেপি কর্মীদের নিয়মিত হেনস্থা করা হচ্ছে। আর এই হেনস্থা করছেন রাজ্য সরকারের পুলিশ। ক্ষমতায় থাকা তৃণমূলের উস্কানিতেই এই পথে হাঁটছেন পুলিশ কারি কর্মীরা। রাজ্যে ২০২১ সালে ক্ষমতায় এলে এই সরকারি আধিকারিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এই বিষয়ে তালিকা তৈরি করা হচ্ছে বলে দাবি করেন পদ্ম শিবিরের এই নেতা। এই প্রসঙ্গে সরকারি কর্মীদের উদ্দেশ্যে শোলে ছবির বিখ্যাত ডায়লগ, 'অব তেরা কেয়া হোগা কালিয়া'।
আরও পড়ুন : নির্ভয়ার দোষীদের প্রাণভিক্ষার আবেদন, শীর্ষ আদালতে শুনানি আগামী ১৪ জানুয়ারি
বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা আরও বলেন, এরাজ্যে দলীয় কর্মীরা চুড়ি পরে নেই। তাঁরা যেমন বিনয়ের সঙ্গে কাজ করতে পারে তেমনি কড়া জবাবও দিতে জানে। এদিনে বদলা নেওয়ার হুঁশিয়ারি ছিল বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক কৈলাস বিজয়বর্গীয়র গলাতে।
শুক্রবার পুরুলিয়ার ঝালদায় পুলিশের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ কর্মসূচি ছিল বিজেপির। সেখান থেকেই রাজ্যের পুলিশ আধিকারিকদের হুমকি দেন বিজয়বর্গীয়। পাশাপাশি সংশোধিত নাগরকিত্ব আইন নিয়েও তৃণমূলেক বেঁধেন তিনি।
বিজেপির এই প্রতিবাদ কর্মসূচিতে সামিল ছিলেন বিজেপির চার সাংসদ পুরুলিয়ার জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো, বাঁকুড়ার সুভাষ সরকার, ঝাড়গ্রামের কুনার হেমব্রম ও বারাকপুরের অর্জুন সিং-ও। গত ৬ জানুয়ারি ঝালদায় সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের সমর্থনে বিজেপির মিছিলকে বাধা দেয় পুলিশ। তখনই বিজেপি- পুলিশ খণ্ডযুদ্ধ বাঁধে। পুলিশ লাঠি চালায় বলে অভিযোগ। যাতে জখম হন বিজেপির একাধিক কর্মী। এই ঘটনায় পুরুলিয়ার সাংসদ সহ ৩০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়। গ্রেফতার হন ৬ জন। তারই প্রতিবাদে অংশ নিতে পুরুলিয়ায় এসেছিলেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়।