চাকরি দেওয়ার নাম করে একের পর এক এলাকাবাসীর টাকা লুট! কামারহাটিতে অভিযুক্ত তৃণমূল কাউন্সিলর, ক্ষুব্ধ মদন মিত্র

এলাকার বহু মানুষকে চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রচুর পরিমাণে টাকা লুটের অভিযোগ, কামারহাটির তৃণমূল কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করলেন প্রতারিতরা। 

Web Desk - ANB | Published : Oct 21, 2022 1:21 PM IST

চাকরি দেওয়ার নাম করে পশ্চিমবঙ্গে একের পর এক দুর্নীতি নিয়ে সরগরম রাজনীতির ময়দান। সেই আবহের মধ্যেই আবার ফাঁস হয়ে গেল শাসকদলের নেতার দুর্নীতির কাণ্ড। চাকরি দেওয়ার নাম করে এলাকার মানুষের কাছ থেকে বিপুল টাকা নিয়ে এলাকা ছেড়ে গা ঢাকা দিলেন তৃণমূল কাউন্সিলর। কামারহাটি পুরসভার ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর বিমল সাহার বিরুদ্ধে দক্ষিণেশ্বর থানায় অভিযোগ দায়ের করলেন প্রতারিত মানুষ।

কামারহাটির ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, এলাকার বহু মানুষের কাছ থেকে সরকারি চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে টাকা তুলেছেন বিমল সাহা। ঘটনা চাউর হতেই বিগত কয়েক মাস ধরে এলাকা থেকে তিনি একেবারে বেপাত্তা, তাঁকে নাকি আর দেখাই যাচ্ছে না ওই অঞ্চলে। একদিকে যেমন প্রদত্ত অর্থ ফেরৎ পাওয়ার জন্য হন্যে হয়ে ঘুরছেন সাধারণ মানুষ, তেমনই পৌর পরিষেবা পেতে নাজেহাল হচ্ছেন ওয়ার্ডের বাসিন্দারাও।

স্থানীয় এক বাসিন্দা জানিয়েছেন, ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে নিম্নবিত্ত মানুষের বাস। বহু গুরুত্বপূর্ণ কাজের জন্য তাঁদের কাউন্সিলরকে প্রয়োজন হয়। কিন্তু, এতগুলি মাস ধরে এলাকায় কাউন্সিলরের দেখা নেই। তাঁর অফিসও বন্ধ রয়েছে। যে কারণে প্রভূত অসুবিধায় পড়ছেন মানুষ। এতদিন যাবৎ অসুবিধার মুখোমুখি হওয়ার জন্যই ওনাকে ভোট দেওয়া হয়েছিল কিনা, তাও এখন প্রশ্ন তুলছেন এলাকাবাসী। 

কাউন্সিলরের প্রতারণার খবর পেয়ে ঘটনায় বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র। তাঁর বক্তব্য, ‘ওনার বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট প্রমাণের ভিত্তিতে অভিযোগ দায়ের হয়েছে বলে শুনেছি। এই ধরণের দুর্নীতিতে জড়িতদের পাশে দল থাকবে না। আমি দলীয় কাউন্সিলরদের নিয়ে একটা বৈঠক ডেকেছি। সেখানে যা বলার বলব।’

অন্যদিকে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপির বক্তব্য, ‘দিদি’-র শাসনে কাউন্সিলরকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। মানুষকে পুরপ্রধানের কাছে অভিযোগ জানাতে হচ্ছে। আর কী কী দেখব?

অপর এক বিরোধী গোষ্ঠী সিপিএমের দাবি, লুঠ করে ভোটে জিতে মানুষের টাকা লুটে নিয়ে পালিয়ে গেছে বিমল সাহা। তৃণমূলের জমানায় সবই সম্ভব। এই নেতারাই তৃণমূলের সম্পদ। মুখে মদনবাবু যাই বলুন, শেষে গিয়ে এরাই দলে পুরস্কৃত হবেন। এই পুলিশের ওর গায়ে হাত দেওয়ার ক্ষমতা নেই। পুলিশ ধরবে নিরীহ চাকরিপ্রার্থীদের।


আরও পড়ুন-
১০ চাকার লরি সজোরে ধাক্কা মেরে দিল পরিবহণমন্ত্রীর গাড়িতে! ডানকুনিতে ভয়াবহ দুর্ঘটনার মুখে স্নেহাশিস চক্রবর্তী 
১০ লক্ষ চাকরি দেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, আগের ২কোটি চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতির কী হল? কটাক্ষ বিরোধীদের 
‘সবুজ’ বাজি কী? কালীপুজোর আগে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি গ্রিন ক্র্যাকার চিনতে ধন্দে পড়ে যাচ্ছেন বাজি বিক্রেতারাও

Share this article
click me!