ফের একবার সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media) পোস্ট করার জন্য গ্রেফতার এক তরুণী। বুধবার সন্ধ্যায় যাদবপুরের (Jadavpur) অন্তর্গত গড়ফার বাসিন্দা এক ছাত্রীকে সোশ্যাল মিডিয়াতে বিতর্কিত পোস্ট করার জন্য গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ।
ফের একবার সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media) পোস্ট করার জন্য গ্রেফতার এক তরুণী। বুধবার সন্ধ্যায় যাদবপুরের (Jadavpur) অন্তর্গত গড়ফার বাসিন্দা এক ছাত্রীকে সোশ্যাল মিডিয়াতে বিতর্কিত পোস্ট করার জন্য গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ।
ছাত্রীর নাম রূপসা মণ্ডল। সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি বিশেষ পোস্টের জন্য তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে প্রথমে যাদবপুর থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সেখানে মহিলা সেল না থাকার কারণে, পরে ঐ ছাত্রীকে লালবাজারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এই খবর পাওয়ার পরেই বহু মানুষ জড়ো হন যাদবপুর থানার সামনে।
এমনকি, এলাকার বাম কর্মীরাও পৌঁছে যান সেখানে। সূত্রের খবর, সরকার বিরোধী পোস্ট করার জন্যই তাঁকে আটক করা হয়েছে। জানা গেছে, রূপসা মণ্ডল নামে ঐ ছাত্রী যোগেশচন্দ্র কলেজে বি.কম তৃতীয় বর্ষে পড়াশোনা করছেন।
পুলিশ সূত্রে খবর, তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৩৫৩, ১১১, ১৯২, ৩৫৩ সহ একাধিক ধারায় মামলা করেছে পুলিশ। সেই ছাত্রীর বিরুদ্ধে ওঠা মূল অভিযোগ, ‘প্রতিবাদ’ নামে তিনি একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে ছিলেন। সেই গ্রুপে নাকি কালীঘাটে জমায়েত হওয়ার কথা বলা হয়েছিল।
রাজ্যের সব পুলিশ স্টেশন জ্বালিয়ে দেওয়ার কথাও বলা হয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই ঐ ছাত্রীকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
আর এই গ্রেফতারির খবর সামনে আসতেই বহু মানুষ থানার সামনে জড়ো হন। এমনকি, যারা আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে প্রতিনিয়ত রাস্তায় রয়েছেন, তারাও পৌঁছে যান। সরকার বিরোধী পোস্ট করলেই কি জেলে যেতে হবে? প্রশ্ন তোলেন বাম কর্মীরাও।
এই প্রসঙ্গে এসএফআই নেত্রী দীপ্সিতা ধর নিজের সোশ্যাল মিডিয়াতে লেখেন, “রূপসা মন্ডল নামে যোগেশ চন্দ্র কলেজের তৃতীয় বর্ষের এক ছাত্রীকে বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে গড়ফা থানার পুলিশ। বাড়ির লোকের কথা অনুযায়ী, দরজা ভেঙে ঘুমন্ত মেয়েকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পুলিশ কোনওরকম কাগজ দেখাতে পারেনি। এখন মেয়েটি কোথায় আছে সেটা ট্রেস করা যাচ্ছে না। Is this a police state that is running? Update: মেয়েটিকে যাদবপুর থানায় পাওয়া গেছে, স্থানীয় কমরেডরা রয়েছেন।”
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।