আরজি কর ইস্যুতে বিস্ফোরক অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়, প্রমাণ লোপাট থেকে দ্রুত দাহ- সরাসরি টার্গেট মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

আরজি কর ও রাজ্যে নারী নির্যাতন ইস্যুতে বিজেপির ধর্নামঞ্চে উপস্থিত হয়ে রীতিমত বোমা ফাটালেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি বলেছেন বিচারপতি হিসেবে ৬ বছর কাজ করেছেন। তাই আইনজীবী হিসেবে তিনি যা যা লক্ষ্য করেছেন তাই বলছেন।

আরজি কর ইস্যে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকেই অভিযোগের আঙুল তোলেন। তাঁর দাবি মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশেই ঘটনার প্রমাণ লোপাট করা হয়েছে।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হেফাজতে নিয়ে জেরা করার দাবি জানিয়েছেন অভিজিৎ। সিবিআই-এর কাছে এই দাবি জানান। স্পষ্ট করে বলেন, এটা তাঁর আর্জি নয়, দাবি।

আরজি ইস্যুতে সব প্রমাণ নষ্ট করার জন্য মুখ্যমন্ত্রী পুলিশকে কাজে লাগিয়েছেন।

আরজি কর ইস্যেতে সময়ের তফাৎ- কখন এফআইআর দায়ের করা হল, কখন পুলিশ এল তার কোনও ব্যাখ্যা নেই।

মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ ছাড়া কখনও মৃতদের দ্রুত নিয়ে গিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হবে। অভিজিৎ আরও বলেন, সকলেই বুঝতে পারছিল যে দ্বিতীয় পোস্টমর্টেমের প্রয়োজন রয়েছে। কিন্তু তা হয়নি।

অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় দাবি করেন, মেয়েটির বাবা ও মাকে পুলিশ আলাদা করে রেখেছিল। তারা সন্তান হারানোর শোকে কাতর ছিল। তাদের খেয়াল হয়নি দ্বিতীয় পোস্টমর্টেমের কথা। কিন্তু যাদের খেয়াল হয়েছিল তাদের পরিবারের কাছে যেতে দেওয়া হয়নি। গোটা ঘটনায় সক্রিয় ছিল পুলিশ। অভিযোগ অভিজিতের।

অভিজিৎ অভিযোগ করেন মৃতদেহ দাহ করার জন্য মমতার নির্দেশেই পুলিশ অতিসক্রিয় ছিল। অভিজিৎ আরও বলেন, সাক্ষ্য প্রমাণ নষ্ট কার সব রকম কাজ পুলিশকে দিয়ে করিয়েছেন।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিক অভিযোগ করে নিজেকে বাঁচিয়ে রেখেছেন।

অভিজিৎ বলেন সিঙ্গুর নন্দীগ্রামের মতই রাজ্যের মানুষ এবার পথে নামছেন। সকলেই মমতার পদত্যাগ দাবি করেছেন।

অভিজিৎ বলেন, মমতা পদত্যাগ করবেন না। তাঁকে টেনে নামাতে হবে। রাজ্যের মানুষ তেমনই চাইছে বলেও দাবি অভিজিতের।

আরজি করের আর্থিক দুর্নীতির তদন্তভার এদিন রাজ্য সরকারের তৈরি করা কমিটির হাত থেকে বিয়ে সিটের হাতে তুলে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। সেই ঘটনাতে স্বাগত জানিয়েছেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।